Ajker Patrika

‘আর কত দিন গেলে তাগো হুঁশ হইব’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৩৮
‘আর কত দিন গেলে তাগো হুঁশ হইব’

এক-দুদিন নয়, চলছে টানা ১০ দিন। খেয়ে না-খেয়ে পড়ে আছেন দুটি পোশাক কারখানার প্রায় এক হাজার শ্রমিক। কারও ছয় মাস, কারও নয় মাস ধরে বেতন বাকি। এর মধ্যে আবার হয়ে পড়েছেন বেকার, বন্ধ হয়ে গেছে কারখানা। সেই বকেয়া বেতনের দাবিতেই বিজয়নগর শ্রম ভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান।

দাবি আদায়ে এমন কর্মসূচির দশম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গাজীপুরের স্টাইল ক্র্যাফট লিমিটেড এবং ইয়ং ওয়ান লিমিটেডের শ্রমিকদের পুলিশের বাধার মুখেও পড়তে হয়। শ্রমিকেরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শ্রম ভবনের সামনেই প্রথমে মিছিল করতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে প্রেসক্লাবের সামনে গেলে পুলিশ তাঁদের থামিয়ে দেয়। এরপর প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে চলে সমাবেশ। একপর্যায়ে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

এতে বলা হয়, ‘আমরা কারখানার ৪ হাজার ২৪৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী প্রাপ্য মজুরি বঞ্চিত হয়ে অর্ধাহার-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি; কারখানার শ্রমিকদের ছয় মাসের এবং কর্মচারীদের নয় মাসের বেতন বকেয়া। মালিকপক্ষ বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিপুল অঙ্কের আইনগত পাওনা পরিশোধ করছে না।’

গত ৫ সেপ্টেম্বরে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধের দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে শ্রমিকদের সীমাহীন হয়রানি করায় মালিক এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। প্রয়োজনে কোম্পানির সব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের ছয় মাসের বকেয়া বেতন এবং আইনানুগ সব পাওনা নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানান তাঁরা।

এর আগে শ্রম ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ঘরভাড়া বেড়েছে, বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে, সন্তানদের পড়াশোনার খরচসহ সবকিছুই বেড়েছে। অথচ আমরা পাওনা টাকাই পাচ্ছি না।’

স্টাইল ক্র্যাফটের শ্রমিক শাহীন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকেরা কি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাইতে পারবে না? এখানে রাতে শীতের মধ্যে রাস্তায়, বারান্দায় ঘুমায়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করতাছি। আর কত দিন গেলে তাগো হুঁশ হইব, আমাদের খাবার নাই, কাপড়চোপড় নাই, তা-ও এভাবে আজ কতটা দিন রাস্তায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত