Ajker Patrika

যমুনায় পানি বাড়ছেই বিলীন ১০ ঘরবাড়ি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীর তীব্র ভাঙন। গতকাল রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে জালালপুর গ্রামে অন্তত ১০টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, তাঁত কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এলাকাবাসী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ঘরসহ আসবাব অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে আগামী ৪-৫ দিন যমুনা নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। 
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, কয়েক দিনে যমুনার পানি বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা 
পর্যন্ত) যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জালালপুর গ্রামের সমাজসেবক আব্দুস সালাম বলেন, গতকাল রোববার দুপুরে মুহূর্তের মধ্যে দিনু পোদ্দার, শহিদুল ইসলাম, ইমান আলী, খলিলুর রহমান, আনোয়ার হোসেনের বাড়িসহ ১০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। যেভাবে নদী ভাঙছে, তাতে বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৫ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) এই পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, জালালপুর গ্রামে নদীভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে অফিসের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ভাঙন রোধে তাঁরা কাজ করবেন। আগামী ৪-৫ দিন নদীতে পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে। তবে এ মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত