Ajker Patrika

সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০৩
সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া অসংখ্য নেতা তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ভূমিকা রেখেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। পূর্ববঙ্গে শিক্ষার বিস্তারেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। গৌরবের মহিমায় দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার শতবর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করছে। ঢাবির শতবর্ষ পূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন আলোচনা পর্বে বক্তারা শিক্ষা রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গতকাল প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. সুলতানা কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুসহ অনেকেই।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্য ধরে রেখে শিক্ষা-রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও ভূমিকা রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ ১০০ বছরে দাঁড়িয়ে আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরও গতিশীল, ক্রিয়েটিভটি সম্পন্ন ও ভাইব্রেন্ট কাজ করে দেশবাসীকে আরও উন্নততর জীবনে নিয়ে যাবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যার বিচারে নয়, গুনের বিচারেও উত্তরোত্তর সফলতা অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ৷

মোস্তফা জব্বার বলেন, আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কখনো কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি। শিক্ষার যে ঐতিহ্য সেটা এখনো হারিয়ে যায়নি। সেই কারণে দেশের চাকা এখনো সচল রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক জন্ম দিয়েছে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেও জন্ম দিয়েছে ৷

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তাঁর বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, আন্দোলন-সংগ্রামের অনুরণন জাগানো এবং আন্দোলন সংগ্রামের সু-উত্তরাধিকারী হয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে ধরে রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত