দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
কয়েক বছর ধরে পাসের হার নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সমালোচনার মুখে পড়ছিল। এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে ঢাকা-বরিশালকেও পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বোর্ডটি। বেড়েছে জিপিএ-৫-এর সংখ্যাও। সেই সঙ্গে বেড়েছে শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছিল না শূন্য পাসের কোনো কলেজ।
এবার বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দেশের ৯টি বোর্ডের মধ্যে কুমিল্লা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। যা বিগত বছরের চেয়ে সবচেয়ে ভালো ফলাফল।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান জানান, বোর্ডের অধীনে এবার পাস করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন। এ বোর্ডে ৪০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস করেছেন ৯৭টি প্রতিষ্ঠান। এ বছরে বোর্ডে একজনও পাস করেননি এমন প্রতিষ্ঠান একটিও নেই।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৫ দশমিক ৪২ এবং ২০১৯ সালে ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এদিকে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা হয়নি।
অপর দিকে ২০১৭ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৭টি, ২০১৮ সালে ১৪ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩০টি। ২০২১ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭টিতে। এটিকেও একটি অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তবে আশার কথা, এ বছর শূন্য পাসের কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। এর আগে ২০১৭ সালে ছিল ৩টি, ২০১৮ সালে ২ এবং ২০১৯ সালে ৩টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি। ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬৭৮ শিক্ষার্থী। তা বেড়ে ২০২১ সালে ১৪ হাজার ১৫৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস ছালাম বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় শিক্ষাব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমরা সরকারের সব পদক্ষেপসহ নিজস্ব বিশেষ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাঠদানসহ বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেছি। গ্রুপভিত্তিক কাজ করেছি। প্রতিষ্ঠানগুলোও অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করেছে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বিত চেষ্টায় এ ফলাফল হয়েছে।’
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমাদের পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। শিক্ষকেরা পাঠদানে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
কামাল উদ্দিন নামের এক অভিভাবক জানান, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ মহামারির সময়ে শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীর সমন্বয় ও প্রচেষ্টার ফলে এ রকম ভালো ফল সম্ভব হয়েছে।
কলেজের সাফল্যের কারণ হিসেবে সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজা সৌরভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরপর ১০ বার শতভাগ পাসের সাফল্য ধরে রেখেছি। এ প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ ও অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে তদারক করায় ভালো ফল হয়েছে।’
কয়েক বছর ধরে পাসের হার নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সমালোচনার মুখে পড়ছিল। এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে ঢাকা-বরিশালকেও পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বোর্ডটি। বেড়েছে জিপিএ-৫-এর সংখ্যাও। সেই সঙ্গে বেড়েছে শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছিল না শূন্য পাসের কোনো কলেজ।
এবার বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দেশের ৯টি বোর্ডের মধ্যে কুমিল্লা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। যা বিগত বছরের চেয়ে সবচেয়ে ভালো ফলাফল।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান জানান, বোর্ডের অধীনে এবার পাস করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন। এ বোর্ডে ৪০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস করেছেন ৯৭টি প্রতিষ্ঠান। এ বছরে বোর্ডে একজনও পাস করেননি এমন প্রতিষ্ঠান একটিও নেই।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৫ দশমিক ৪২ এবং ২০১৯ সালে ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এদিকে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা হয়নি।
অপর দিকে ২০১৭ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৭টি, ২০১৮ সালে ১৪ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩০টি। ২০২১ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭টিতে। এটিকেও একটি অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তবে আশার কথা, এ বছর শূন্য পাসের কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। এর আগে ২০১৭ সালে ছিল ৩টি, ২০১৮ সালে ২ এবং ২০১৯ সালে ৩টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি। ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬৭৮ শিক্ষার্থী। তা বেড়ে ২০২১ সালে ১৪ হাজার ১৫৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস ছালাম বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় শিক্ষাব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমরা সরকারের সব পদক্ষেপসহ নিজস্ব বিশেষ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাঠদানসহ বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেছি। গ্রুপভিত্তিক কাজ করেছি। প্রতিষ্ঠানগুলোও অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করেছে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বিত চেষ্টায় এ ফলাফল হয়েছে।’
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমাদের পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। শিক্ষকেরা পাঠদানে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
কামাল উদ্দিন নামের এক অভিভাবক জানান, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ মহামারির সময়ে শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীর সমন্বয় ও প্রচেষ্টার ফলে এ রকম ভালো ফল সম্ভব হয়েছে।
কলেজের সাফল্যের কারণ হিসেবে সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজা সৌরভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরপর ১০ বার শতভাগ পাসের সাফল্য ধরে রেখেছি। এ প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ ও অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে তদারক করায় ভালো ফল হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪