Ajker Patrika

এ যুগেও এমন রাস্তা দেখা যায় তাড়াশে

রফিকুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৩: ৪৯
এ যুগেও এমন রাস্তা দেখা যায় তাড়াশে

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হেদারখাল-কুন্দইল তিন কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কাদা মাড়িয়ে চলতে হয় এলাকাবাসীকে। এদিকে বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তায় নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ কারণে চার গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রাস্তাটির প্রকল্প দেওয়া আছে। প্রকল্প পাস হলেই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে।

এলাকাবাসী জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; কিন্তু উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পাকা না করায় বর্তমানে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ সড়ক দিয়ে সান্দুরীয়া, ধাপতেতুলিয়া, প্রতিরামপুর ও কুন্দইল গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিদিন কাদা ভেঙে যাতায়াত করতে হয়।

বর্ষায় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এ কারণে কোনো ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল দূরের কথা, মানুষ হেঁটেও চলতে পারে না। এ সড়ক দিয়ে ওই চার গ্রামের হাজারো মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বছরের বেশির ভাগ সময় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। তাতে জমেছে বৃষ্টির পানি। চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য।

রাস্তাটি পাকা হলে একদিকে যেমন গ্রামের স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে এলাকার কৃষকেরা ধান, পাট, শাক-সবজি কম খরচে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

ধাপতেলিয়ার কৃষক জহির উদ্দিন, বাছের প্রামাণিকসহ একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। বর্ষার দিনে এই রাস্তা ডুবে যায়। তখন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে একেবারেই চলাচল করা যায় না। অনেক সময় পা পিছলে বয়স্ক মানুষ পড়ে গুরুতর আহত হন। আর যাতায়াতে মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি, সাইকেল কাদার মধ্যে দেবে গিয়ে উল্টে যায়। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

সগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, রাস্তাটি কাঁচা থাকায় এলাকার মানুষ কষ্ট করে চলাচল করছে। তবে রাস্তাটির প্রকল্প দেওয়া আছে। প্রকল্প পাস হয়ে এলে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার সরোয়ার ধ্রুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই রাস্তার দেড় কিলোমিটার পাকাকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তা পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস হয়ে এলে দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত