Ajker Patrika

কুশিয়ারা ও তিস্তা নিয়ে আবারও শুধু আশ্বাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

কুশিয়ারা নদী থেকে সেচের পানি তোলার জন্য সমঝোতা স্মারক এবং তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের জবাবে ভারত আবারও আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রস্তুতি হিসেবে কমিশনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সেচের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে পানি তুলতে দ্রুত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য ভারতের সমর্থন চান। জবাবে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, বিষয়টি তাঁদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বছরের পর বছর ঝুলে থাকা তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির চুক্তি যত দ্রুত সম্ভব স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন। জবাবে ভারতীয় পক্ষ বলেছে, তারা চুক্তিটি স্বাক্ষর সম্পন্ন করার জন্য ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ করবে।

গতকালের বৈঠকে মনু, মহুরি, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ভাগাভাগির লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির খসড়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এই খসড়া তৈরির জন্য আরও তথ্য-উপাত্ত বিনিময় প্রয়োজন হবে বলে বৈঠকে দুই পক্ষ একমত হয়।

এ ছাড়া দুই দেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সদ্ব্যবহার প্রসঙ্গে একটি সমীক্ষা করার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তির বিধানগুলো বিবেচনায় নিয়ে এ সমীক্ষা পরিচালিত হবে। আগামী ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য খসড়া চুক্তি নিয়ে ২০১০ সালের যৌথ নদী কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল। তবে ভারত শেষ পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা থেকে পিছিয়ে যায়।

যৌথ নদী কমিশনের গতকালের বৈঠকে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং ভারতের পানিসম্পদ সচিব পঙ্কজ কুমার উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহমান ৫৪টি নদীর প্রবাহসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে দুই দেশ আলোচনা করে থাকে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত