Ajker Patrika

পণ্যের দামে নাভিশ্বাস

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১৪: ১৪
Thumbnail image

রমজান মাস সামনে রেখে খুলনায় গত ১০ দিনে চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। প্রতি কেজি চালে ২-৫ টাকা, তেলে লিটার প্রতি ১০, ডালে কেজিতে ১০ ও চিনিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর সবজির দাম ইচ্ছামতো হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের জীবনে উঠেছে নাভিশ্বাস। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসন নামছে অভিযানে।

গতকাল শুক্রবার খুলনার বাজারে দেখা যায়, মোটা চাল ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ , মাঝারি ৫৩ থেকে ৫৬ এবং চিকন ৬৩ থেকে ৬৬ দামে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত প্রতি লিটার ১৭০ , খোলা ১৮০ , চিনি ৮০ , মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০, পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অথচ গত ১০ দিন আগেও সব চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা কম ছিল। তেল প্রতি লিটার ছিল ১০ টাকা, চিনি প্রতিকেজি ৫ টাকা, মসুর ডালে ১০ টাকা কম ছিল, পেঁয়াজে কম ছিল ৫ টাকা।

এ ছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে আলু, টমেটো, শিম, ফুলকপি পেঁপে, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম। নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে বিক্রেতারা বলছেন উৎপাদন পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে পণ্যর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন কাচা বাজারের বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, ‘বছরের এই সময়ে চালের দাম কম থাকলেও এই বছর ভিন্ন। আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে গত ১০ দিনে সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ২ টাকা থেকে ৫ টাকা। তা ছাড়া পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণেও চালের দাম বেড়েছে।’

এই বাজারের অপর ব্যবসায়ী মো. বিপ্লব বলেন, ‘পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনার কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিনে খুচরা বাজারে তেল, মসুর ডাল ও চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সবজি বিক্রেতা মো. এনামুল বলেন, ‘গত মাসে বৃষ্টির কারণে সবজি খেত নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে সবজির যোগান কিছুটা কম। নতুন সবজি না ওঠা পর্যন্ত দাম কমবে না বলে ধারণা করছি। এ ছাড়া উৎপাদন এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণেও সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।’

এদিকে নিত্যপণ্যর ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ ব্যাপারে নগরীর টুটপাড়া এলাকার মো. সাদিক বলেন, ‘লাগামহীনভাবে নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সাধারণ মানুষের বেতন বাড়ছে না। আর খেয়াল খুশিমতো পণ্যর দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই ন্যূনতম ভূমিকা।’ এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার তদারকির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, ‘নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্য নেওয়ার বিষয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকাদ বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করেছে। রমজানের আগে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত