Ajker Patrika

১১ কিমির ৯ স্থানে ভাঙন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৪৮
১১ কিমির ৯ স্থানে ভাঙন

ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তার ৯টি স্থান ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আট গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। কখনো যাত্রীরা নিজেরাই অটোরিকশা ঠেলে রাস্তার ভাঙা অংশ পার করছেন। অন্যদিকে অসাবধানতাবশত মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে গেলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপচা বাজার থেকে নান্দিনারচর বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার তিনটি স্থানে এবং যমুনার ডাকাতমারা নৌঘাট থেকে শোনপচা বাজারগামী ৪ কিলোমিটার রাস্তার ৬টি স্থানে ভেঙে বিশাল বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নানা সময় ভারী বৃষ্টি এবং বন্যার পানিতে রাস্তাটির অসংখ্য জায়গা কয়েক মাস আগে ভেঙে গেছে। কিন্তু রাস্তাটির সংস্কার কাজে কেউ এগিয়ে আসেননি। এ কারণে তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নান্দিনারচর, মূলবাড়ী, শোনপচা, ডাকাতমারা, আটাত্তর, শংকরপুর, মান্নান বাজার এবং ইন্দুরমারা গ্রামের ১২ হাজার মানুষের বাস। এই ভাঙা রাস্তার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাসহ যানচালকদের প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার সীমা থাকে না।

গ্রামগুলোতে আছে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, এতিমখানা ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ১৪টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী কষ্ট করে যাতায়াত করে। কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে তাদের দেরি হয়।

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক কামাল মিয়া বলেন, ‘আমি এই রাস্তায় প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করি। রাস্তার ভাঙা অংশগুলোতে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয়। ভাঙা অংশ পার হয়ে আবার তাঁদের তুলে নিতে হয়। কখনো যাত্রীরা অটোরিকশা ঠেলা দিয়ে ভাঙা অংশ পার করে দেন।’

শাহাদাৎ হোসেন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। তিনি বলেন, ভাঙা অংশগুলো থেকে রাস্তার ওপরের দিকে উঠতে কখনো যদি মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায় অথবা চাকা পিছলে যায়, তাহলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

ঘোড়সওয়ার আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল পরিবহন করি। রাস্তার ভাঙা অংশগুলোতে কয়েকজন ধরে ঠেলা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িকে রাস্তার ওপরে তুলতে হয়। এতে ঘোড়া কখনো মারাত্মক আহত হয়।’

নান্দিনারচর বাজারের সার কীটনাশক ব্যবসায়ী এইচ ডি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রাস্তা ভাঙার কারণে দোকানের মালামাল পরিবহন খরচ খুবই বেশি হয়। কখনো তিন গুণ ভাড়া দিতে হয়। কখনো বাধ্য হয়ে নিজ জেলা বগুড়া থেকে মালামাল না নিয়ে জামালপুর থেকে দোকানের পণ্য আনতে হয়।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজহার আলী মণ্ডল বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বৃষ্টি এবং বন্যার পানির তোড়ে রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি সংস্কার করে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহন সুগম করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত