Ajker Patrika

পাকুন্দিয়ায় নলকূপে উঠছে না পানি, বেড়েছে সংকট

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৯: ২৮
পাকুন্দিয়ায় নলকূপে উঠছে না পানি, বেড়েছে সংকট

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। চৈত্রের কাটফাটা গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। তাই বিভিন্ন এলাকার নলকূপে আসছে না পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে নলকূপের পানির কমতে থাকে এবং চৈত্রের শেষ দিকে প্রায় প্রতি বছরই পানির সংকটে পড়তে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।

অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, চলতি অর্থ বছরে ২৩৪টি নলকূপের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যা নিরসনে আরও কয়েকটি প্রকল্পও রয়েছে। দ্রুত পানির সমস্যা দুর করা সম্ভব হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় দেড় হাজারের বেশি টিউবওয়েল ও ইঞ্জিন চালিত মেশিনে পানি উঠছে না। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে অগভীর নলকূপগুলোর পানির প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা দেয় সু-পেয় পানির সংকট। উপজেলার এগারসিন্দুর অঞ্চলে উঁচু টিলার উপরে বেশ কিছু মানুষের ঘরবাড়ি রয়েছে। ওই এলাকায় পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সময়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের সাহায্যে গভীর নলকূপের মাধ্যমে ফসলি জমিতে সেচ সরবরাহ করা। শীত মৌসুমে রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসল চাষে প্রচুর পরিমানে সেচের প্রয়োজন হয়। তাই নদী নালা, খাল, বিল, পুকুরসহ অন্যান্য সকল জলাধারই পানি শুণ্য হয়ে পড়ে।

অমরপুর গ্রামের সজল মিয়া বলেন, আমার বাড়িতে ২৮০ ফুট গভীরতা সম্পন্ন টিউবওয়েলটির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ১৫ হাজার টাকা খরচ করে একটি মোটর বসানো হয়েছে। এতে আপাতত পানির অভাব পূরণ করতে পেরেছি। মার্চ এপ্রিলের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত না হয় তা হলে এতেও পাণি উঠবে কই না সন্দেহ।

উপজেলার জাঙালিয়া এলাকার বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নলকূপটিতে পাণি আসছে না।

পানি সংকট নিয়ে পৌর সদরের নামা লক্ষিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমার বাড়ির টিউবওয়েল টি ২৭০ ফুট গভীর। এতেও পানি উঠছে না দুই মাস ধরে। আমাদের বাড়িতে খাবার পানি সংকট। আধা কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি এনে পান করছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাকুন্দিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, বিশুদ্ধ পানির সমস্যা এই মৌসুমে হয়েই থাকে। আমি সরেজমিনে বিষয়টি দেখে এসেছি। সেচ কাজে ও বিভিন্ন সময় পাম্প দিয়ে অতিরিক্ত পানি তোলার কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। পানির সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি।

গত অর্থ বছরে ২৪৮টি এবং চলতি অর্থ বছরে ২৩৪টি নলকূপের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে আরও কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। আশা করছি পানির সমস্যা দুর করা সম্ভব হবে।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, এ সময় সব এলাকাতেই পানির স্তর নিচে নেমে যায় এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। ইতিমধ্যে এ বছর ২৩৪টি নলকুপের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত