Ajker Patrika

বিতর্কের জবাব দিলেন নিশো

বিতর্কের জবাব দিলেন নিশো

এবার ঈদের আলোচিত দুই সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’। আলোচনা চলছে এ দুই সিনেমার নায়ক শাকিব খান ও আফরান নিশোকে নিয়েও। এ দুই অভিনেতার ভক্তদের মধ্যে বিভক্তি ছিল সিনেমা দুটি মুক্তির আগে থেকেই। সেটা বেড়েছে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আফরান নিশোর এক মন্তব্যকে ঘিরে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নিশো বলেন, ‘আমি তো সেই সো কল্ড হিরো না যে বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না।’ কারও নাম উল্লেখ না করলেও এমন মন্তব্যে শাকিব খানের ভক্তদের রোষানলে পড়েন নিশো। শাকিবভক্তরা ধরেই নেন, শাকিবকে ছোট করার জন্যই এমন কথা বলেছেন বড় পর্দায় সদ্য পা রাখা নিশো। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশোর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে অনেকে। তাঁকে বয়কটের ঘোষণাও দেন শাকিবভক্তরা। এ ঘটনার পর সিনেমাসংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, কথা বলায় আরও সংযত হতে হবে নিশোকে।

সমালোচনার মুখে পড়ে এবার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন আফরান নিশো। জানালেন, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং নিজের ব্যক্তিদর্শন থেকেই এমন কথা বলেছেন তিনি। নিশো বলেন, ‘আমার নিজস্ব ফিলোসফি বা দর্শন আছে। সেখান থেকেই কথাগুলো বলা। একজন নায়ক ও অভিনেতার মধ্যে পার্থক্য আছে।

অভিনেতাদের কোনো বয়স লাগে না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে পারেন। অন্যদিকে হিরো বা যাঁদেরকে নায়ক বলা হয়, একটি সময় শেষে তাঁদের নায়কোচিত ভাবটা আর থাকে না। তাই হিরোইজম বা হিরো আমার কাছে সো কল্ড মনে হয়।’

আমি তো সেই সো কল্ড হিরো না যে বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না।—আফরান নিশো, অভিনেতা

নিশো আরও বলেন, ‘একটা সময় সবাই বলত পর্দার নায়কেরা অসাধারণ হয়ে থাকে। অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের একটু দূরে থাকতে হয়, আড়ালে থাকতে হয়। আমিও এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমাকেও বলা হতো, তুমি কিন্তু তোমার প্রেমের কথা বলে দিয়ো না। তাহলে মেয়ে দর্শকেরা আর পছন্দ করবে না।আমি সেই হিরোইজম ফলো করি না যে নিজের বয়স বলা যাবে না, বিয়ের কথা বলা যাবে না, সন্তানের কথা বলা যাবে না।’

নিশো জানিয়েছেন, তিনি এসব গতানুগতিক ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী নন। দর্শকদের সঙ্গে দূরত্ব বা গোপনীয়তা নয়, বরং দর্শকদের কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। নিশো বলেন, ‘আমি ওই ধরনের হিরো হতে চাই না, যে মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবে না। আমি প্রতিদিন হল ভিজিটে যাচ্ছি। অনেকেই বলতে পারেন, এটা তো হিরোদের কাজ না। আমার দর্শন হচ্ছে, আমি যদি কোনো সিনেমা বা কোনো কনটেন্টে কাজ করি, সেটার মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগটা সৃষ্টি করি। যে চরিত্রই করি না কেন, বাস্তবের সেই চরিত্রের সঙ্গে কথা বলতে, আড্ডা দিতে চাই। তাই আমাকে মাঠে থাকতে হবে এবং বন্ধুত্ব করতে হবে। এটা আমার দর্শন। কেউ যদি ভেবে থাকে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেছি, এটা ঠিক নয়। তারা হয়তো বুঝতে পারেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত