নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
উজান-ভাটি দুদিকের পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচংয়ে। নবীগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা যায়, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কুশিয়ারা-কালনী, বিবিয়ানা দিয়ে নামছে নবীগঞ্জ উপজেলায়। ভাটি অঞ্চলের হাওরগুলোতে পানি বেড়ে বইছে উজানের দিকে। ফলে উজান-ভাটি দুদিক থেকেই নবীগঞ্জ উপজেলায় ঢুকছে পানি।
এ ছাড়া আজমিরীগঞ্জে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ও নবীগঞ্জে স্লুইসগেটের রাস্তা, রেগুলেটর এবং বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে নবীগঞ্জের পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোতে। ফলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে বৃষ্টি ও ঢলে নদ-নদী ও হাওরে পানি বেড়ে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক, করগাঁও, বড় ভাকৈর (পশ্চিম), বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের সকল এলাকা তলিয়ে গেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ পৌরসভা ও আউশকান্দি, কুর্শি, নবীগঞ্জ সদর, বাউসা, গজনাইপুর, কালিয়ারভাঙ্গা, পানিউমদা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৪০টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৩০টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
অসহায় মানুষ গবাদিপশু ও শিশু সন্তান নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় চার হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৩৩ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলার সামাজিক সংগঠনগুলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলায় ১৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা বলেন, পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। সময় যত যাচ্ছে পানি বাড়ছে, ভাটির পানিতে করগাঁও ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের (ডিজিএম) আলীবর্দি খান সুজন বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার্ত মানুষের পাশে প্রশাসন রয়েছে। খাদ্য সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে চাল-শুকনো খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে এই দুর্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইউএনও।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, ভাটি অঞ্চলের হাওরগুলোতে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় উজানের কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি নামছে না। এতে উজান-ভাটি দুদিক দিয়ে নবীগঞ্জ-আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচংয়ে পানি প্রবেশ করছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। হাওরের পানি আস্তে আস্তে নেমে গেলে বন্যার উন্নতি হবে।
উজান-ভাটি দুদিকের পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচংয়ে। নবীগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা যায়, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কুশিয়ারা-কালনী, বিবিয়ানা দিয়ে নামছে নবীগঞ্জ উপজেলায়। ভাটি অঞ্চলের হাওরগুলোতে পানি বেড়ে বইছে উজানের দিকে। ফলে উজান-ভাটি দুদিক থেকেই নবীগঞ্জ উপজেলায় ঢুকছে পানি।
এ ছাড়া আজমিরীগঞ্জে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ও নবীগঞ্জে স্লুইসগেটের রাস্তা, রেগুলেটর এবং বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে নবীগঞ্জের পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোতে। ফলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে বৃষ্টি ও ঢলে নদ-নদী ও হাওরে পানি বেড়ে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক, করগাঁও, বড় ভাকৈর (পশ্চিম), বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের সকল এলাকা তলিয়ে গেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ পৌরসভা ও আউশকান্দি, কুর্শি, নবীগঞ্জ সদর, বাউসা, গজনাইপুর, কালিয়ারভাঙ্গা, পানিউমদা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৪০টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৩০টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
অসহায় মানুষ গবাদিপশু ও শিশু সন্তান নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় চার হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৩৩ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলার সামাজিক সংগঠনগুলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলায় ১৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা বলেন, পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। সময় যত যাচ্ছে পানি বাড়ছে, ভাটির পানিতে করগাঁও ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের (ডিজিএম) আলীবর্দি খান সুজন বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার্ত মানুষের পাশে প্রশাসন রয়েছে। খাদ্য সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে চাল-শুকনো খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে এই দুর্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইউএনও।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, ভাটি অঞ্চলের হাওরগুলোতে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় উজানের কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি নামছে না। এতে উজান-ভাটি দুদিক দিয়ে নবীগঞ্জ-আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচংয়ে পানি প্রবেশ করছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। হাওরের পানি আস্তে আস্তে নেমে গেলে বন্যার উন্নতি হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪