রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়নি। তাই উপজেলার ভোলা মোড়স্থ শাপলা চত্বরের শ্রমের হাটে মন্দা দেখা দিয়েছে। এতে অনেকে শ্রম বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে রৌমারীর ভোলা মোড়স্থ শাপলা চত্বরের শ্রমের হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রাম থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা দুই শতাধিক কর্মজীবী মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন শ্রম বিক্রির আশায়। কয়েকজন কৃষক এসেছেন শ্রম কিনতে। তাঁদের কাছে ভিড় করছেন শ্রমজীবীরা।
শ্রমের হাটে কথা হয় বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্রামের শ্রমিক বাহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কামকাজ নাই, ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এখানে প্রতিদিন আসি কামলা বেচতে। কোনো দিন কাজ পাই, কোনো দিন পাই না। একজন গেরস্ত দুইটা কামলা নিতে আসলে ১০ জন ঘিরে ধরে। যেদিন কাজ পাই সেদিন দুমুঠো খেতে পাই। আর যে দিন কাজ পাই না সে দিন দুবেলা না খেয়ে থাকতে হয়।’
কথা হয় শৌলমারী ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের মহুজল, রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের তাইজুদ্দিন, বামনেরচর গ্রামের ঈশা আলী, বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামের হজো মিয়া ও খঞ্জনমারা গ্রামের রহম আলীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া। কিন্তু আমাদের কামলার দাম কম। আগে কাজ করতাম দিনে ৫০০ টাকায়, এখন ৩০০ টাকাও নিতে চায় না। এরপরেও প্রতিদিন কাজ পাই না। ফলে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয় পরিবারের সদস্যেদের নিয়ে।
ইছাকুড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, এখন আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ হয়। একেক জাতের ধান একেক সময় পাকে, ফলে কামলার চাহিদা কম থাকে। আগে দেশি জাতের আমন ধান একই সময়ে পাকত, ফলে কামলার চাহিদা থাকত, দামও বেশি হতো।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, এ সময়টাতে এলাকায় তেমন একটা কাজ থাকে না। সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি চাল দেওয়া হয়। সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। রিলিফের কোনো বরাদ্দ নেই। কর্মসৃজনের কাজ চলত, কিন্তু এবার এখনো চালু হয়নি। তাই শ্রমজীবীরা কষ্টে আছেন।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, এ সময়টাতে কাজ একটু কম থাকে। প্রতিবছর এ সময়ে কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করে শ্রমজীবীদের কর্মের ব্যবস্থা করা হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দের চিঠি পাইনি। কিছু টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়নি। তাই উপজেলার ভোলা মোড়স্থ শাপলা চত্বরের শ্রমের হাটে মন্দা দেখা দিয়েছে। এতে অনেকে শ্রম বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে রৌমারীর ভোলা মোড়স্থ শাপলা চত্বরের শ্রমের হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রাম থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা দুই শতাধিক কর্মজীবী মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন শ্রম বিক্রির আশায়। কয়েকজন কৃষক এসেছেন শ্রম কিনতে। তাঁদের কাছে ভিড় করছেন শ্রমজীবীরা।
শ্রমের হাটে কথা হয় বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্রামের শ্রমিক বাহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কামকাজ নাই, ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এখানে প্রতিদিন আসি কামলা বেচতে। কোনো দিন কাজ পাই, কোনো দিন পাই না। একজন গেরস্ত দুইটা কামলা নিতে আসলে ১০ জন ঘিরে ধরে। যেদিন কাজ পাই সেদিন দুমুঠো খেতে পাই। আর যে দিন কাজ পাই না সে দিন দুবেলা না খেয়ে থাকতে হয়।’
কথা হয় শৌলমারী ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের মহুজল, রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের তাইজুদ্দিন, বামনেরচর গ্রামের ঈশা আলী, বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামের হজো মিয়া ও খঞ্জনমারা গ্রামের রহম আলীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া। কিন্তু আমাদের কামলার দাম কম। আগে কাজ করতাম দিনে ৫০০ টাকায়, এখন ৩০০ টাকাও নিতে চায় না। এরপরেও প্রতিদিন কাজ পাই না। ফলে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয় পরিবারের সদস্যেদের নিয়ে।
ইছাকুড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, এখন আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ হয়। একেক জাতের ধান একেক সময় পাকে, ফলে কামলার চাহিদা কম থাকে। আগে দেশি জাতের আমন ধান একই সময়ে পাকত, ফলে কামলার চাহিদা থাকত, দামও বেশি হতো।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, এ সময়টাতে এলাকায় তেমন একটা কাজ থাকে না। সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি চাল দেওয়া হয়। সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। রিলিফের কোনো বরাদ্দ নেই। কর্মসৃজনের কাজ চলত, কিন্তু এবার এখনো চালু হয়নি। তাই শ্রমজীবীরা কষ্টে আছেন।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, এ সময়টাতে কাজ একটু কম থাকে। প্রতিবছর এ সময়ে কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করে শ্রমজীবীদের কর্মের ব্যবস্থা করা হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দের চিঠি পাইনি। কিছু টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪