আজাদুল আদনান, ঢাকা
অসংক্রামক বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগলেও অনেকে টিকা নেননি। এদের কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ এসএমএসের অপেক্ষায় ছিলেন, আবার কেউ অসুস্থ হওয়ায় কেন্দ্রে যেতে না পেরে নিতে পারেননি টিকা। সম্প্রতি করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এমন লোকের সংখ্যা ৮০ ভাগ। তবে এ জন্য দায় নিচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতদের অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব বা বয়স্ক। যারা কিনা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। ফলে বয়স্কদের টিকা নিশ্চিতের বিষয়টি শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় সরকার।
গত সোমবার টিকাদান কর্মসূচির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ দিন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিতে পেয়েছেন প্রায় ৯ কোটি ৯৪ লাখ মানুষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত শতভাগ নিশ্চিত করা যায়নি সব বয়স্ক ব্যক্তির টিকা। টিকা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো ২৮ হাজার ৭০৩ জনের মধ্যে টিকাই নেননি ৮০ ভাগ।
তবে টিকা নেওয়া ছাড়া এত মানুষের প্রাণহানি হলেও নীরব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, টিকা নেওয়ার দায়িত্ব ব্যক্তির। সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু মানুষ টিকা নিতে আসছে না। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বয়স্কদের টিকা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, এখনো আছে। কিন্তু যাঁরা টিকা নেবেন তাঁরাই আন্তরিক নন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো আর টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। যেখানে এত জটিলতা নিয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ, তারপরও টিকা নিতে অনীহা। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও আছে। বাড়িতে গিয়ে দিতে হলে যে পরিমাণ জনবল দরকার, সেটি নেই। শুধু পরিকল্পনা করলে তো হবে না, বাস্তবায়ন লাগবে।’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলেও বয়স্কদের টিকা নিশ্চিত করতে না পারায় প্রাণহানি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। টিকাদানের শুরু থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় যে ঘাটতি ছিল, এখনো সেগুলো রয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মারা যাওয়াদের বেশির ভাগই টিকার বাইরে ছিলেন। তাহলে টিকাটা দেওয়া হচ্ছে কাদের? তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তদের বেশির ভাগই বয়স্ক এবং তাদের জটিলতা অনেক বেশি। তাহলে কেন প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো না? সক্ষমতার নেই এমনটা নয়, বরং পরিকল্পনার ব্যাপক ঘাটতির ফলেই এটি হচ্ছে।
এদিকে ওমিক্রনের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল এটি ডেলটার মতো প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। যার পেছনে নতুন এই ধরনটি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৭০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৬ জন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনে পৌঁছেছে। এদিন আক্রান্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলছেন, বর্তমানে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই ওমিক্রনের প্রভাবে। ধরনটিতে সংক্রমণের মাত্রা যখন রেকর্ড ছাড়াল, সেই সময়ে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারাই এখন মারা যাচ্ছেন। এটি কবে নাগাদ কমবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা বারবার বলে এসেছি, টিকা করোনার ঝুঁকি কমায় না, বরং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও আইসিইউ পর্যন্ত যাওয়ার হার কমায়।
অসংক্রামক বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগলেও অনেকে টিকা নেননি। এদের কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ এসএমএসের অপেক্ষায় ছিলেন, আবার কেউ অসুস্থ হওয়ায় কেন্দ্রে যেতে না পেরে নিতে পারেননি টিকা। সম্প্রতি করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এমন লোকের সংখ্যা ৮০ ভাগ। তবে এ জন্য দায় নিচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতদের অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব বা বয়স্ক। যারা কিনা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। ফলে বয়স্কদের টিকা নিশ্চিতের বিষয়টি শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় সরকার।
গত সোমবার টিকাদান কর্মসূচির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ দিন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিতে পেয়েছেন প্রায় ৯ কোটি ৯৪ লাখ মানুষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত শতভাগ নিশ্চিত করা যায়নি সব বয়স্ক ব্যক্তির টিকা। টিকা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো ২৮ হাজার ৭০৩ জনের মধ্যে টিকাই নেননি ৮০ ভাগ।
তবে টিকা নেওয়া ছাড়া এত মানুষের প্রাণহানি হলেও নীরব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, টিকা নেওয়ার দায়িত্ব ব্যক্তির। সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু মানুষ টিকা নিতে আসছে না। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বয়স্কদের টিকা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, এখনো আছে। কিন্তু যাঁরা টিকা নেবেন তাঁরাই আন্তরিক নন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো আর টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। যেখানে এত জটিলতা নিয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ, তারপরও টিকা নিতে অনীহা। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও আছে। বাড়িতে গিয়ে দিতে হলে যে পরিমাণ জনবল দরকার, সেটি নেই। শুধু পরিকল্পনা করলে তো হবে না, বাস্তবায়ন লাগবে।’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলেও বয়স্কদের টিকা নিশ্চিত করতে না পারায় প্রাণহানি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। টিকাদানের শুরু থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় যে ঘাটতি ছিল, এখনো সেগুলো রয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মারা যাওয়াদের বেশির ভাগই টিকার বাইরে ছিলেন। তাহলে টিকাটা দেওয়া হচ্ছে কাদের? তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তদের বেশির ভাগই বয়স্ক এবং তাদের জটিলতা অনেক বেশি। তাহলে কেন প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো না? সক্ষমতার নেই এমনটা নয়, বরং পরিকল্পনার ব্যাপক ঘাটতির ফলেই এটি হচ্ছে।
এদিকে ওমিক্রনের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল এটি ডেলটার মতো প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। যার পেছনে নতুন এই ধরনটি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৭০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৬ জন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনে পৌঁছেছে। এদিন আক্রান্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলছেন, বর্তমানে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই ওমিক্রনের প্রভাবে। ধরনটিতে সংক্রমণের মাত্রা যখন রেকর্ড ছাড়াল, সেই সময়ে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারাই এখন মারা যাচ্ছেন। এটি কবে নাগাদ কমবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা বারবার বলে এসেছি, টিকা করোনার ঝুঁকি কমায় না, বরং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও আইসিইউ পর্যন্ত যাওয়ার হার কমায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪