ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
কনকনে শীত। শূন্য ভিটার ওপর ত্রিপল দিয়ে তাঁবু তৈরি করে বাস করছেন তাঁরা। উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে জোয়ারের পানিতে কুড়িয়ে পাওয়া ঘরের আসবাব-জিনিস। পাশে কয়েকটি নারকেলগাছ দাঁড়িয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের চিহ্ন নিয়ে। তীব্র ঝড়ে কয়েকটি গাছের মাঝখানে ভেঙে যাওয়া অংশ শুকিয়ে গেছে।
জোয়ারের তোড়ে বাড়ির ভিটামাটিতে এখনো বড় বড় গর্তের চিহ্ন। পাশে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা চালবিহীন ঘরে চলছে রান্নার কাজ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে আবুল কালামের পরিবারের বর্তমান অবস্থা এটি।
গত ২৫ অক্টোবর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ভিটামাটি হারায় পরিবারটি। মৎস্যজীবী আবুল কালাম সে সময় রাতের জোয়ারের তীব্রতা বেশি দেখে সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান।
সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, শূন্য ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। পরে কুড়িয়ে কিছু আসবাব পেয়েছেন এখানে-সেখানে। কিন্তু সিত্রাংয়ের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করতে পারেননি ঘরটি। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকায় ভিটার ওপর নৌকায় ব্যবহৃত ত্রিপল খাটিয়ে কোনোমতে বাস করছে সাত সদস্যের পরিবারটি। শুধু আবুল কালামের পরিবার নয়, নিঝুম দ্বীপের এই ওয়ার্ডের মুন্সি গ্রামের অনেকের চিত্র একই।
২৪ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাড়িতে দেখা হয়, জেলে আবুল কালামের সঙ্গে। মাছ ধরার জন্য বাড়ির পাশে জাল মেরামত করছিলেন তিনি।
আবুল কালাম জানান, তিন ছেলে, এক নাতি, এক ছেলের বউ ও স্ত্রীকে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার তাঁর। ছেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘূর্ণিঝড়ের পর নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। উপার্জন না থাকায় ঘরটি মেরামত করতে পারেননি তিনি। নিজেদের নৌকায় ব্যবহার করা দুটি ত্রিপল এনে কোনোমতে শূন্য ভিটার ওপর বাস করতে হচ্ছে। রাতে প্রচণ্ড শীতে ঘুমানো যায় না। কুড়িয়ে পাওয়া কয়েকটি কাঠের অংশ মাটিতে পেতে তার ওপর কাঁথা বিছিয়ে শুতে হয় তাঁদের। সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি।
আবুল কালামের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন জেলে জাহার হোসেন (৬০)। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর ঘরটি ভেসে যায়।
জাহার হোসেন জানান, বাজারের পাশে বড় ছেলের বাড়ি থেকে কিছু গাছ কেটে এনে ঘর মেরামতের কাজ করছেন। ঘরের ভিটার ওপর কাঠের পালা ও চালা লাগিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ২০ দিন ধরে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি অর্থের অভাবে ঘরে টিন লাগাতে পারছেন না। ঝড়ের পর থেকে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বড় ছেলের বাড়িতে বাস করছেন। ঝড়ের পর সরকারের ১০ কেজি চাল ছাড়া কিছুই পাননি বলে জানান জাহার।
মুন্সি গ্রামের অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে নিঝুম দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই গ্রামের বাসিন্দারা। নদীর একবারে তীরে হওয়ায় বাতাস ও জোয়ারের প্রথম ধাক্কাটা লাগে এখানে।
বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের ছয়-সাত ফুট পানির নিচে তলি যায় পুরো গ্রামটি। একদিকে উচ্চ জোয়ার, অন্যদিকে তীব্র বাতাস ছিল সেদিন।
নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা বাজার থেকে পূর্বদিকে গেলে দেখা যায়, অনেকে ঘর মেরামত করছেন। কেউ ভিটার ওপর দোচালা ঘর তৈরি করছেন। এখানে বেশির ভাগ মানুষ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
নিঝুম দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, সিত্রাংয়ে এই গ্রামটি একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অনেকে এখনো ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেননি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, সিত্রাংয়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনকে শুকনো খাবার দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়; যা প্রতিটি ইউনিয়নে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতির একটি তালিকা পাঠানো হলেও কোনো বরাদ্দ আসেনি।
কনকনে শীত। শূন্য ভিটার ওপর ত্রিপল দিয়ে তাঁবু তৈরি করে বাস করছেন তাঁরা। উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে জোয়ারের পানিতে কুড়িয়ে পাওয়া ঘরের আসবাব-জিনিস। পাশে কয়েকটি নারকেলগাছ দাঁড়িয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের চিহ্ন নিয়ে। তীব্র ঝড়ে কয়েকটি গাছের মাঝখানে ভেঙে যাওয়া অংশ শুকিয়ে গেছে।
জোয়ারের তোড়ে বাড়ির ভিটামাটিতে এখনো বড় বড় গর্তের চিহ্ন। পাশে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা চালবিহীন ঘরে চলছে রান্নার কাজ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে আবুল কালামের পরিবারের বর্তমান অবস্থা এটি।
গত ২৫ অক্টোবর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ভিটামাটি হারায় পরিবারটি। মৎস্যজীবী আবুল কালাম সে সময় রাতের জোয়ারের তীব্রতা বেশি দেখে সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান।
সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, শূন্য ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। পরে কুড়িয়ে কিছু আসবাব পেয়েছেন এখানে-সেখানে। কিন্তু সিত্রাংয়ের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করতে পারেননি ঘরটি। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকায় ভিটার ওপর নৌকায় ব্যবহৃত ত্রিপল খাটিয়ে কোনোমতে বাস করছে সাত সদস্যের পরিবারটি। শুধু আবুল কালামের পরিবার নয়, নিঝুম দ্বীপের এই ওয়ার্ডের মুন্সি গ্রামের অনেকের চিত্র একই।
২৪ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাড়িতে দেখা হয়, জেলে আবুল কালামের সঙ্গে। মাছ ধরার জন্য বাড়ির পাশে জাল মেরামত করছিলেন তিনি।
আবুল কালাম জানান, তিন ছেলে, এক নাতি, এক ছেলের বউ ও স্ত্রীকে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার তাঁর। ছেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘূর্ণিঝড়ের পর নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। উপার্জন না থাকায় ঘরটি মেরামত করতে পারেননি তিনি। নিজেদের নৌকায় ব্যবহার করা দুটি ত্রিপল এনে কোনোমতে শূন্য ভিটার ওপর বাস করতে হচ্ছে। রাতে প্রচণ্ড শীতে ঘুমানো যায় না। কুড়িয়ে পাওয়া কয়েকটি কাঠের অংশ মাটিতে পেতে তার ওপর কাঁথা বিছিয়ে শুতে হয় তাঁদের। সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি।
আবুল কালামের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন জেলে জাহার হোসেন (৬০)। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর ঘরটি ভেসে যায়।
জাহার হোসেন জানান, বাজারের পাশে বড় ছেলের বাড়ি থেকে কিছু গাছ কেটে এনে ঘর মেরামতের কাজ করছেন। ঘরের ভিটার ওপর কাঠের পালা ও চালা লাগিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ২০ দিন ধরে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি অর্থের অভাবে ঘরে টিন লাগাতে পারছেন না। ঝড়ের পর থেকে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বড় ছেলের বাড়িতে বাস করছেন। ঝড়ের পর সরকারের ১০ কেজি চাল ছাড়া কিছুই পাননি বলে জানান জাহার।
মুন্সি গ্রামের অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে নিঝুম দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই গ্রামের বাসিন্দারা। নদীর একবারে তীরে হওয়ায় বাতাস ও জোয়ারের প্রথম ধাক্কাটা লাগে এখানে।
বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের ছয়-সাত ফুট পানির নিচে তলি যায় পুরো গ্রামটি। একদিকে উচ্চ জোয়ার, অন্যদিকে তীব্র বাতাস ছিল সেদিন।
নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা বাজার থেকে পূর্বদিকে গেলে দেখা যায়, অনেকে ঘর মেরামত করছেন। কেউ ভিটার ওপর দোচালা ঘর তৈরি করছেন। এখানে বেশির ভাগ মানুষ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
নিঝুম দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, সিত্রাংয়ে এই গ্রামটি একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অনেকে এখনো ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেননি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, সিত্রাংয়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনকে শুকনো খাবার দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়; যা প্রতিটি ইউনিয়নে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতির একটি তালিকা পাঠানো হলেও কোনো বরাদ্দ আসেনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫