Ajker Patrika

উৎসবের ভাতা মেলেনি, বৈশাখে মুখ মলিন শিক্ষকদের

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৪২
উৎসবের ভাতা মেলেনি, বৈশাখে  মুখ মলিন শিক্ষকদের

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এ বছরও বৈশাখী ভাতাহীন পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে হয়েছে। টাকা ছাড় না হওয়ায় দেশের পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ভাতা পাননি। ব্যাংকে গিয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে গত বছর ১৯ এপ্রিল তাঁরা বৈশাখী ভাতা পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

নাটোরের লালপুরের এমপিওভুক্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ শিক্ষক-কর্মচারী সরকারের দেওয়া বৈশাখী ভাতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের লালপুর শাখায় ভাতার টাকা তুলতে এসে ব্যাংকে টাকা না আসায় বৈশাখী ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না জেনে হতাশ হয়ে ফিরে যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতোই দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর মূল বেতনের ২০ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে বৈশাখী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দুটি ঈদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।

গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আকরাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উৎসব ভাতার ক্ষেত্রে সব সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। প্রতিবছর বৈশাখের পরে বৈশাখী ভাতা আর ঈদের পরে উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। এতে শিক্ষকদের অসম্মানের শামিল হতে হয়।

মঞ্জিলপুকুর কৃষি, কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারকে নিয়মিত দিতেই হয়। আগের মতো বাকি থাকে না। তাহলে সময় মতো দিতে বাধা কোথায়? ভাতা যদি নির্ধারিত সময়ে না পেলে উৎসবের আনন্দ থাকে না। গত বছর বৈশাখের পর বৈশাখী ভাতা ও ঈদের পর উৎসব ভাতা তুলেছেন।’

বালিতিতা ইসলামপুর আশরাফুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সাহাবাজ আলী বলেন, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষার অন্যতম নিয়ামক শিক্ষক। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি এ অবজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ ভূমিকা নেওয়া উচিত।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের লালপুর শাখা ব্যবস্থাপক মো. আবুল হাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বৈশাখী ভাতার টাকা ব্যাংকে আসায় বণ্টন করা হয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতার টাকা ছাড় না হওয়ায় তা ব্যাংকে আসেনি। যার ফলে তাঁদের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত