সম্পাদকীয়
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও বিচক্ষণ মানুষ নিঃসন্দেহে। তাঁর হাতে দেশের আইন ও বিচারের ভার ন্যস্ত হওয়ায় আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ে না হলেও কোনো না কোনো সময় যেকোনো অপরাধের বা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। তবে তখন প্রকৃত অপরাধী হয়তো বেঁচে থাকবে না! তাতে কি, মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা তো আছেই।
এই কথাগুলো বলা হলো, শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের ভিত্তিতে। ‘তদন্তে ৫০ বছর যদি লাগে, সে সময় দিতে হবে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার বিচারে কেন বিলম্ব হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়ানো ঠিক? দোষী নির্ণয় করতে তাদের যত দিন সময় লাগে, ততটুকু সময় দিতে হবে। তাতে যদি ৫০ বছর লাগে, তাহলে সেই সময় দিতে হবে।
পরের দিন অবশ্য তিনি এই ৫০ বছরের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের যত দিন না ধরতে পারব, তত দিন সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চলবে; ৫০ বছরের বিষয়টি আপেক্ষিক।’
আইনমন্ত্রী এটাও মনে করেন, এই মামলা ব্যতিক্রম। সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি কেন ‘ব্যতিক্রম’, সেটা আমরা জানি না। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। সেই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এ পর্যন্ত পিছিয়েছে ১০৫ বার। হ্যাঁ, একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এতবার সময় পেছানোর ঘটনাটি অবশ্যই একটি ব্যতিক্রম।
প্রশ্ন হলো, কেন এই ব্যতিক্রমটি ঘটছে? এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১০ অক্টোবরের মধ্যে সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন।
না, রহস্য উদঘাটিত না হয়ে নতুন নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। কেন এমন হলো তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও কারও কাছ থেকে পাওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডটি টক অব দ্য কান্ট্রি হওয়ায় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ঘাতক বা ঘাতকেরা আইনের আওতামুক্ত থাকতে পারবে না। সাংবাদিকেরাও বিষয়টির শেষ না দেখে ছাড়বেন না।
কিন্তু সব আশার গুড়ে বালি পড়েছে। এখন আইনমন্ত্রীই দেখাচ্ছেন লম্বা পথ। কিন্তু পথের শেষে আলো দেখা যাবে কি? মানুষ আনন্দ বা সুখের কথা দ্রুত ভোলে কিন্তু কষ্টটা মনে রাখে। কাউকে পীড়ন করলে সে পীড়ন এসে নিজেকেই নাকি পীড়া দেয়। সাগর-রুনির হত্যা মামলার বিষয়টিও আমাদের পীড়া দিয়েই চলছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও বিচক্ষণ মানুষ নিঃসন্দেহে। তাঁর হাতে দেশের আইন ও বিচারের ভার ন্যস্ত হওয়ায় আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ে না হলেও কোনো না কোনো সময় যেকোনো অপরাধের বা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। তবে তখন প্রকৃত অপরাধী হয়তো বেঁচে থাকবে না! তাতে কি, মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা তো আছেই।
এই কথাগুলো বলা হলো, শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের ভিত্তিতে। ‘তদন্তে ৫০ বছর যদি লাগে, সে সময় দিতে হবে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার বিচারে কেন বিলম্ব হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়ানো ঠিক? দোষী নির্ণয় করতে তাদের যত দিন সময় লাগে, ততটুকু সময় দিতে হবে। তাতে যদি ৫০ বছর লাগে, তাহলে সেই সময় দিতে হবে।
পরের দিন অবশ্য তিনি এই ৫০ বছরের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের যত দিন না ধরতে পারব, তত দিন সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চলবে; ৫০ বছরের বিষয়টি আপেক্ষিক।’
আইনমন্ত্রী এটাও মনে করেন, এই মামলা ব্যতিক্রম। সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি কেন ‘ব্যতিক্রম’, সেটা আমরা জানি না। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। সেই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এ পর্যন্ত পিছিয়েছে ১০৫ বার। হ্যাঁ, একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এতবার সময় পেছানোর ঘটনাটি অবশ্যই একটি ব্যতিক্রম।
প্রশ্ন হলো, কেন এই ব্যতিক্রমটি ঘটছে? এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১০ অক্টোবরের মধ্যে সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন।
না, রহস্য উদঘাটিত না হয়ে নতুন নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। কেন এমন হলো তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও কারও কাছ থেকে পাওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডটি টক অব দ্য কান্ট্রি হওয়ায় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ঘাতক বা ঘাতকেরা আইনের আওতামুক্ত থাকতে পারবে না। সাংবাদিকেরাও বিষয়টির শেষ না দেখে ছাড়বেন না।
কিন্তু সব আশার গুড়ে বালি পড়েছে। এখন আইনমন্ত্রীই দেখাচ্ছেন লম্বা পথ। কিন্তু পথের শেষে আলো দেখা যাবে কি? মানুষ আনন্দ বা সুখের কথা দ্রুত ভোলে কিন্তু কষ্টটা মনে রাখে। কাউকে পীড়ন করলে সে পীড়ন এসে নিজেকেই নাকি পীড়া দেয়। সাগর-রুনির হত্যা মামলার বিষয়টিও আমাদের পীড়া দিয়েই চলছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪