সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের লোকজন। সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলছেন। এ ছাড়া একই বাজারে দামের তারতম্য দেখা গেছে। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দাম রাখছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বাজারে তেলের সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমাফিক টাকা আদায় করছেন।
এক সপ্তাহ আগে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার নির্ধারিত মূল্য ১৪৩ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬২ টাকায়। প্রতি লিটার পাম তেলের মূল্য ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।
বাজারে মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল, আটা, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের। হু হু করে দাম বাড়তে থাকায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বিস্তর ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
গত শনিবার বিকেলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিকন চাল ৬৫ থেকে ৭০ এবং মাঝারি মানের চাল ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৪০ থেকে ৪৫ এবং খোলা ময়দা ৫০ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, বরবটি, পেঁপে, গাজর, টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম নতুনভাবে না বাড়লেও রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০, শিম ৩৫-৪০, শিমের বিচি ১০০, পেঁপে ২৫, বেগুন ৫৫-৬০ আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।
এ বিষয়ে বাজার করতে আসা অটোরিকশাচালক নাসির উদ্দিনের (৫৮) সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। বর্তমানে পরিবারের জন্য ভালো তরকারির ব্যবস্থা করা তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
এবার বছরের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে তা দ্বিগুণে এসে ঠেকেছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও নাসির উদ্দিন অটোরিকশার ভাড়া বাড়াতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া চাইলেই যাত্রীরা ক্ষেপে যান। দিন শেষে মালিকের টাকা পরিশোধের পর যা পাওয়া যায় তা দিয়ে পরিবারের জন্য জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।’
বাজার করতে আসা শাহাবুদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সামনের দিনে কীভাবে চলব, সেটা ভেবেই মাথা ঘুরছে।’
দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়ার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে প্রতিদিন কাটছাঁট করতে হচ্ছে বাজারের তালিকা। বাধ্য হয়ে বাজার করা কমিয়ে দিয়েছি।’
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের সংকট থাকায় তাঁরা সঠিক সময়ে সরবরাহ পাচ্ছেন না। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়ায় বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের দাম।
শুকলাল হাটের ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বলেন, ‘পাইকারেরা তেল, আটা, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে সঠিক সময়ে তা আমাদের দিচ্ছেন না। এ ছাড়া অর্ডারের অর্ধেক পরিমাণ মালামাল দিলেও তাতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অনিক আজকের পত্রিকাকে জানান, বাজারে প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমাফিক দাম বাড়াচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।
সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের লোকজন। সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলছেন। এ ছাড়া একই বাজারে দামের তারতম্য দেখা গেছে। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দাম রাখছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বাজারে তেলের সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমাফিক টাকা আদায় করছেন।
এক সপ্তাহ আগে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার নির্ধারিত মূল্য ১৪৩ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬২ টাকায়। প্রতি লিটার পাম তেলের মূল্য ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।
বাজারে মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল, আটা, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের। হু হু করে দাম বাড়তে থাকায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বিস্তর ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
গত শনিবার বিকেলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিকন চাল ৬৫ থেকে ৭০ এবং মাঝারি মানের চাল ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৪০ থেকে ৪৫ এবং খোলা ময়দা ৫০ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, বরবটি, পেঁপে, গাজর, টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম নতুনভাবে না বাড়লেও রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০, শিম ৩৫-৪০, শিমের বিচি ১০০, পেঁপে ২৫, বেগুন ৫৫-৬০ আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।
এ বিষয়ে বাজার করতে আসা অটোরিকশাচালক নাসির উদ্দিনের (৫৮) সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। বর্তমানে পরিবারের জন্য ভালো তরকারির ব্যবস্থা করা তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
এবার বছরের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে তা দ্বিগুণে এসে ঠেকেছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও নাসির উদ্দিন অটোরিকশার ভাড়া বাড়াতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া চাইলেই যাত্রীরা ক্ষেপে যান। দিন শেষে মালিকের টাকা পরিশোধের পর যা পাওয়া যায় তা দিয়ে পরিবারের জন্য জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।’
বাজার করতে আসা শাহাবুদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সামনের দিনে কীভাবে চলব, সেটা ভেবেই মাথা ঘুরছে।’
দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়ার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে প্রতিদিন কাটছাঁট করতে হচ্ছে বাজারের তালিকা। বাধ্য হয়ে বাজার করা কমিয়ে দিয়েছি।’
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের সংকট থাকায় তাঁরা সঠিক সময়ে সরবরাহ পাচ্ছেন না। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়ায় বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের দাম।
শুকলাল হাটের ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বলেন, ‘পাইকারেরা তেল, আটা, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে সঠিক সময়ে তা আমাদের দিচ্ছেন না। এ ছাড়া অর্ডারের অর্ধেক পরিমাণ মালামাল দিলেও তাতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অনিক আজকের পত্রিকাকে জানান, বাজারে প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমাফিক দাম বাড়াচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪