আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে খ্যাত হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে প্রতিবছর দেখা মেলে হাজারো পরিযায়ী পাখির। তবে নানা অব্যবস্থাপনায় চলতি শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখি অন্যবারের তুলনায় অনেক কমেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় বিলের অনেকাংশ ভরাট করা, পদ্মপাতা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ কম থাকায় হাওরে দেখা দিয়েছে খাদ্যের সংকট। এ ছাড়া বিল থেকে লুকিয়ে মাছ ধরা এবং গোপনে পাখি শিকার করা হচ্ছে। এসব কারণে কমে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি। তবে আগের তুলনায় পাখি কমলেও বাইক্কা বিলে দর্শনার্থীদের ভিড় থেমে নেই।
গত শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাইক্কা বিলের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ঝাঁক বেঁধে উড়ছে, ডাকাডাকি করছে পাখি। কিন্তু অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ঝাঁক বেঁধে পাখি ওড়ার সংখ্যা অনেক কম। পাখি কম থাকলেও এদের কলকাকলিতে মুখর নির্জন বিলের প্রান্তর। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। এর সঙ্গে হিজল, তমাল বনে বিলের স্থায়ী বাসিন্দা বেগুনি কালেম, বক, শালিক, চিল মুগ্ধ করছে পাখিপ্রেমী দর্শনার্থীদের।
সিলেট থেকে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, এই জায়গাটা প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর। অনেক ভালো লেগেছে স্থানটি। এখানে এসে পাখি দেখেছি, বিলজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কিছু পাখি। তবে অতিথি পাখি ও দেশীয় পাখির বর্ণনা যেভাবে শুনেছি, সেভাবে মনে হয়নি। অতিথি ও দেশীয় পাখি অনেক কম মনে হয়েছে।
বাইক্কা বিলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা জমাত আলী বলেন, এ বছর শীত তেমন পড়েনি, তাই পাখির সংখ্যা তুলনামূলক কম। তার পরও এই পাখি দেখতে প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। বেশি আসে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
স্থানীয় দর্শনার্থীরা জানান, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত পাখির এই অভয়াশ্রম। প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সমস্যা চিহ্নিত করে সংকট দূর করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
দর্শনার্থী ও পাখিপ্রেমী সঞ্জীব মীতৈ বলেন, এই বিল মাছ-পাখির অভয়াশ্রম। মাছ-পাখির জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বিল ভরাট, খাদ্য ও পরিবেশর অভাবে পাখিরা আগের মতো এই বিলকে নিরাপদ মনে করছে না। অতিথি পাখি এখানে আসে ঠিকই, থাকার পরিবেশ না পেয়ে জেলার অন্যান্য লেক ও জলাশয়ে চলে যায়।
হাওরের সমস্যার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিল থেকে লুকিয়ে মাছ ধরা হয়। গোপনে অনেকে পাখি শিকার করে বিক্রি করে। ক্রেতা ও বিক্রেতা গোপনীয়তা রক্ষা করে পাখি কেনাবেচা করেন। অনেকে সন্ধ্যার পরে গাড়ি নিয়ে এসে পাখি নিয়ে যান।
জানা গেছে, পাখি, মাছ ও জলজ উদ্ভিদ রক্ষায় ২০০৩ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই শ একর আয়তনের বাইক্কা বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে পারলে সারা বছর এখানে পাখি থাকবে। সৌন্দর্য উপভোগ করবে দর্শনার্থীরা এমনটা মনে করেন পরিবেশকর্মীরা।
সিলেটের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে শীত কম, তাই পরিযায়ী পাখি মনে হচ্ছে কম। পাশাপাশি বাইক্কা বিলে প্রচুর কচুরিপানা বৃদ্ধির কারণে পদ্মপাতাসহ বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পাখিদের খাবারের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও পাখি শিকার রোধে এই এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পাখি শিকার রোধে প্রয়োজনীয় শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
মৌলভীবাজারে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে খ্যাত হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে প্রতিবছর দেখা মেলে হাজারো পরিযায়ী পাখির। তবে নানা অব্যবস্থাপনায় চলতি শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখি অন্যবারের তুলনায় অনেক কমেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় বিলের অনেকাংশ ভরাট করা, পদ্মপাতা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ কম থাকায় হাওরে দেখা দিয়েছে খাদ্যের সংকট। এ ছাড়া বিল থেকে লুকিয়ে মাছ ধরা এবং গোপনে পাখি শিকার করা হচ্ছে। এসব কারণে কমে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি। তবে আগের তুলনায় পাখি কমলেও বাইক্কা বিলে দর্শনার্থীদের ভিড় থেমে নেই।
গত শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাইক্কা বিলের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ঝাঁক বেঁধে উড়ছে, ডাকাডাকি করছে পাখি। কিন্তু অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ঝাঁক বেঁধে পাখি ওড়ার সংখ্যা অনেক কম। পাখি কম থাকলেও এদের কলকাকলিতে মুখর নির্জন বিলের প্রান্তর। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। এর সঙ্গে হিজল, তমাল বনে বিলের স্থায়ী বাসিন্দা বেগুনি কালেম, বক, শালিক, চিল মুগ্ধ করছে পাখিপ্রেমী দর্শনার্থীদের।
সিলেট থেকে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, এই জায়গাটা প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর। অনেক ভালো লেগেছে স্থানটি। এখানে এসে পাখি দেখেছি, বিলজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কিছু পাখি। তবে অতিথি পাখি ও দেশীয় পাখির বর্ণনা যেভাবে শুনেছি, সেভাবে মনে হয়নি। অতিথি ও দেশীয় পাখি অনেক কম মনে হয়েছে।
বাইক্কা বিলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা জমাত আলী বলেন, এ বছর শীত তেমন পড়েনি, তাই পাখির সংখ্যা তুলনামূলক কম। তার পরও এই পাখি দেখতে প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। বেশি আসে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
স্থানীয় দর্শনার্থীরা জানান, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত পাখির এই অভয়াশ্রম। প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সমস্যা চিহ্নিত করে সংকট দূর করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
দর্শনার্থী ও পাখিপ্রেমী সঞ্জীব মীতৈ বলেন, এই বিল মাছ-পাখির অভয়াশ্রম। মাছ-পাখির জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বিল ভরাট, খাদ্য ও পরিবেশর অভাবে পাখিরা আগের মতো এই বিলকে নিরাপদ মনে করছে না। অতিথি পাখি এখানে আসে ঠিকই, থাকার পরিবেশ না পেয়ে জেলার অন্যান্য লেক ও জলাশয়ে চলে যায়।
হাওরের সমস্যার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিল থেকে লুকিয়ে মাছ ধরা হয়। গোপনে অনেকে পাখি শিকার করে বিক্রি করে। ক্রেতা ও বিক্রেতা গোপনীয়তা রক্ষা করে পাখি কেনাবেচা করেন। অনেকে সন্ধ্যার পরে গাড়ি নিয়ে এসে পাখি নিয়ে যান।
জানা গেছে, পাখি, মাছ ও জলজ উদ্ভিদ রক্ষায় ২০০৩ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই শ একর আয়তনের বাইক্কা বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে পারলে সারা বছর এখানে পাখি থাকবে। সৌন্দর্য উপভোগ করবে দর্শনার্থীরা এমনটা মনে করেন পরিবেশকর্মীরা।
সিলেটের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে শীত কম, তাই পরিযায়ী পাখি মনে হচ্ছে কম। পাশাপাশি বাইক্কা বিলে প্রচুর কচুরিপানা বৃদ্ধির কারণে পদ্মপাতাসহ বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পাখিদের খাবারের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও পাখি শিকার রোধে এই এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পাখি শিকার রোধে প্রয়োজনীয় শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪