যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ভরা মৌসুমেও লাগামহীন শীতকালীন সবজির দাম। দুই-একটি ছাড়া প্রায় সব সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাঝে মাঝে দাম ওঠা-নামা করলেও ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। একই অবস্থা মাছ ও মাংসের বাজারেও। তার ওপর ভোজ্য তেল ও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খেরো খাতার হিসাব-নিকাশ।
এবার ভরা শীত মৌসুম জুড়েই যশোরে সবজির বাজার ছিল অনেক চড়া। প্রতিটি সবজির দাম ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ এই শীত মৌসুমে সবজির উৎপাদন এবং সরবরাহ থাকে অনেক বেশি। যেখানে মৌসুম শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজির দাম সর্বনিম্ন দরে চলে আসে। কিন্তু এবার যশোরের সবজি বাজারের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
যশোর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। প্রতিকেজি উচ্ছে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মেটে আলু ৬০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, টমেটো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই মাছ বাজারেও। গরিবের আমিষ খ্যাত তেলাপিয়া মাছ ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি সাইজের রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ কাতলা ২৮০ থেকে ৩০০, প্রতিকেজি কার্প জাতীয় মাছ ১৬০ থেকে ২২০, ইলিশ ১ হাজার ৩০০, বোয়াল ৬০০, শিং ৬০০, টাকি ৫০০ শোল ও পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, কই ১৬০ টাকা দর বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১ শ’ ৭০ টাকা, সুপার তেল ১ শ’ ৬০ টাকা, পাম তেল ১ শ’ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল ১ শ’ ৩০ টাকা আমদানি করা মসুর ৯৫ থেকে ১ শ’ টাকা, মুগ ডাল ১ শ’ ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ১ শ’ টাকা, খেসারি ১ শ’ ৫০ টাকা, ছোলা ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশীয় লাল চিনি ৮৪ টাকা এবং আমদানি করা চিনি ৭৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারও চড়া। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, মহিষ ৬০০, খাসি ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি সোনালি এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
যশোর শহরের বড় বাজার, রেল বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার এবং বেজপাড়া তালতলা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজি কিংবা মাছ, মাংসের এমন চড়া মূল্যের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শহরের মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্তের মানুষকে।
শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা শুভ রায় বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে সব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ; কিন্তু আয়ে বাড়েনি। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগে দুই দিনে এক কেজি মাছ খেলেও, এখন তা চার দিনে খেতে হচ্ছে। তার পরও খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।’
সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকার আদনান সিদ্দিকী বলেন, ‘সংসারে নতুন অতিথি এসেছে। শিশু ও মায়ের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে এখন আমাদের অনেকটা না খাওয়ার মতোই থাকতে হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। এ অবস্থা চললে পরিবারের অনেকেই পুষ্টিহীনতায় ভুগবে।’
মধ্যবিত্তের যখন এমন হাল, তখন নিম্নবিত্তের মানুষের দুর্দশা আরও চরমে। ঘোপ এলাকার গৃহপরিচারিকা মুক্তি খাতুন বলেন, ‘যাদের বাসায় কাজ করি, মাঝে মাঝে তাঁরা রান্না করা মাংস দিলে, তা ছেলেমেয়েদের খেতে দিই। আমরা দুজন শেষ কবে মাংস খেয়েছি, তা মনে নেই। শাক পাতা দিয়ে খাবার খাব সেগুলোরও দাম অনেক বেশি।’
সবজি বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক কম। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে এবারের মতো সবজি ও নিত্য পণ্যর দাম এত বাড়তে দেখিনি।’
যশোরে ভরা মৌসুমেও লাগামহীন শীতকালীন সবজির দাম। দুই-একটি ছাড়া প্রায় সব সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাঝে মাঝে দাম ওঠা-নামা করলেও ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। একই অবস্থা মাছ ও মাংসের বাজারেও। তার ওপর ভোজ্য তেল ও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খেরো খাতার হিসাব-নিকাশ।
এবার ভরা শীত মৌসুম জুড়েই যশোরে সবজির বাজার ছিল অনেক চড়া। প্রতিটি সবজির দাম ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ এই শীত মৌসুমে সবজির উৎপাদন এবং সরবরাহ থাকে অনেক বেশি। যেখানে মৌসুম শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজির দাম সর্বনিম্ন দরে চলে আসে। কিন্তু এবার যশোরের সবজি বাজারের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
যশোর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। প্রতিকেজি উচ্ছে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মেটে আলু ৬০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, টমেটো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই মাছ বাজারেও। গরিবের আমিষ খ্যাত তেলাপিয়া মাছ ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি সাইজের রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ কাতলা ২৮০ থেকে ৩০০, প্রতিকেজি কার্প জাতীয় মাছ ১৬০ থেকে ২২০, ইলিশ ১ হাজার ৩০০, বোয়াল ৬০০, শিং ৬০০, টাকি ৫০০ শোল ও পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, কই ১৬০ টাকা দর বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১ শ’ ৭০ টাকা, সুপার তেল ১ শ’ ৬০ টাকা, পাম তেল ১ শ’ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল ১ শ’ ৩০ টাকা আমদানি করা মসুর ৯৫ থেকে ১ শ’ টাকা, মুগ ডাল ১ শ’ ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ১ শ’ টাকা, খেসারি ১ শ’ ৫০ টাকা, ছোলা ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশীয় লাল চিনি ৮৪ টাকা এবং আমদানি করা চিনি ৭৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারও চড়া। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, মহিষ ৬০০, খাসি ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি সোনালি এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
যশোর শহরের বড় বাজার, রেল বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার এবং বেজপাড়া তালতলা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজি কিংবা মাছ, মাংসের এমন চড়া মূল্যের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শহরের মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্তের মানুষকে।
শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা শুভ রায় বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে সব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ; কিন্তু আয়ে বাড়েনি। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগে দুই দিনে এক কেজি মাছ খেলেও, এখন তা চার দিনে খেতে হচ্ছে। তার পরও খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।’
সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকার আদনান সিদ্দিকী বলেন, ‘সংসারে নতুন অতিথি এসেছে। শিশু ও মায়ের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে এখন আমাদের অনেকটা না খাওয়ার মতোই থাকতে হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। এ অবস্থা চললে পরিবারের অনেকেই পুষ্টিহীনতায় ভুগবে।’
মধ্যবিত্তের যখন এমন হাল, তখন নিম্নবিত্তের মানুষের দুর্দশা আরও চরমে। ঘোপ এলাকার গৃহপরিচারিকা মুক্তি খাতুন বলেন, ‘যাদের বাসায় কাজ করি, মাঝে মাঝে তাঁরা রান্না করা মাংস দিলে, তা ছেলেমেয়েদের খেতে দিই। আমরা দুজন শেষ কবে মাংস খেয়েছি, তা মনে নেই। শাক পাতা দিয়ে খাবার খাব সেগুলোরও দাম অনেক বেশি।’
সবজি বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক কম। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে এবারের মতো সবজি ও নিত্য পণ্যর দাম এত বাড়তে দেখিনি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫