Ajker Patrika

সন্দেহের বশে এলমাকে পিটিয়ে মেরেছেন স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৮
সন্দেহের বশে এলমাকে পিটিয়ে মেরেছেন স্বামী

পরিচয়-বন্ধুত্বের দেড় মাসের মধ্যেই পরিবারের সম্মতিতে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী এলমাকে ছেড়ে কানাডায় চলে যান স্বামী ইফতেখার আবেদীন (৩৬)। সেই থেকে সন্দেহের শুরু। আট মাস পর দেশে ফিরেই পিটিয়ে হত্যা করেন স্ত্রীকে। নিহত এলমার চাচা গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।

গত মঙ্গলবার বনানীতে এলমা চৌধুরী মেঘলা নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল বুধবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার আবেদীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গোলাম মোহাম্মদ আরও জানান, এলমার স্বামী বারবার অভিযোগ করতেন, এলমার নাকি বয়ফ্রেন্ড আছে। এই সন্দেহে এলমার ওপর মানসিক নির্যাতন করতেন। কারও সঙ্গে দেখা করতেও নিষেধ করতেন। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও না। বিদেশে থেকেও নানা হুমকি দিতেন।’

এদিকে গতকাল এলমার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর স্বজনেরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ধামরাইয়ের পাটানটুলা চলে যান। মর্গ সূত্র জানায়, মৃতদেহ থেকে ভিসেরাসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এলমার ওপরের ঠোঁটে কালচে জখম, নাকে আঘাতের চিহ্ন ও কালচে শিরা জখম রয়েছে। এ ছাড়া ঘাড়ে লম্বালম্বি কালচে জখম, গলার উপরিভাগে, থুতনিতে, পিঠের ডান পাশে, বাম পায়ের বুড়ো আঙুলে কালচে জখম। দুই পায়ের হাঁটুর নিচেও জখমের চিহ্ন রয়েছে।’

এলমার মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে গতকাল অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেছেন ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশ নেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত