আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জোড়া ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। তাদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু জীবিত উদ্ধারের আশা দ্রুত ক্ষয়ে আসছে।
এই অবস্থায় নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। যারা বেঁচে গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে। খাবারসংকট, পাওয়া যাচ্ছে না পানি। বিদ্যুৎ-জ্বালানি নেই বলতে গেলে কোনো জায়গায়। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১টা পর্যন্ত দুই দেশে ২০ হাজার ৭২৩ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে তুরস্কে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন, তুরস্কে ১৭ হাজার ৪০৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
অপরদিকে সিরিয়ায় ৩ হাজার ৩১৭ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বাঁচিয়ে রাখার শঙ্কা
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল সকালে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তা রবার্ট হোল্ডেন বলেন, ভয়াবহ এ দুর্যোগ থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখন হাজারো মানুষ ক্রমবর্ধমান ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি। অবস্থান করছে খোলা আকাশের নিচে। পানি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ নেই। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
রবার্ট হোল্ডেন বলেন, ‘আমরা একটি ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় দেখার আশঙ্কায় আছি। অনুসন্ধান ও উদ্ধারের ক্ষেত্রে গতি ও তীব্রতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে না পারলে প্রাথমিক দুর্যোগের চেয়ে বেশি লোকের ক্ষতি করতে পারে। এটি সহজ কাজ নয়...কার্যক্রমের পরিধি বিশাল।’
মানবাধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আশ্রয়, চিকিৎসাসেবা, পানি ও খাদ্য সরবরাহ করার পথ ক্রমেই আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে সংকটে পড়েছে শিশুরা। এসব এলাকায় দ্রুত কম্বল ও অস্থায়ী আশ্রয় সরবরাহ করা উচিত।
সিরিয়ায় সহায়তা
শক্তিশালী ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সরকারবিরোধীদের অধীনে থাকা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে জাতিসংঘ। গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো বিদেশি ত্রাণ পাচ্ছে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বাব আল হাওয়া ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ছয়টি ট্রাক প্রবেশ করে। দেশটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত এক দশকের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার যেসব প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসবের মধ্যে আলেপ্পো অন্যতম। প্রদেশটির বিভিন্ন শহর এখনো ক্ষমতাসীন বাশার সরকারের বিরোধীরা নিয়ন্ত্রণ করে। সোমবারের ভূমিকম্পে সিরিয়ার অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ অধ্যুষিত আলেপ্পোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গৃহযুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সিরিয়ার ওপর, যেগুলো এখনো কার্যকর আছে। তার মধ্যে একটি হলো সিরিয়ার বিমান ও সমুদ্রবন্দরে বিদেশি উড়োজাহাজ ও জাহাজ প্রবেশ বা নোঙরবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠাতে অনেক দেশের ইচ্ছে থাকলেও উপায় ছিল না।
জোড়া ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। তাদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু জীবিত উদ্ধারের আশা দ্রুত ক্ষয়ে আসছে।
এই অবস্থায় নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। যারা বেঁচে গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে। খাবারসংকট, পাওয়া যাচ্ছে না পানি। বিদ্যুৎ-জ্বালানি নেই বলতে গেলে কোনো জায়গায়। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১টা পর্যন্ত দুই দেশে ২০ হাজার ৭২৩ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে তুরস্কে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন, তুরস্কে ১৭ হাজার ৪০৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
অপরদিকে সিরিয়ায় ৩ হাজার ৩১৭ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বাঁচিয়ে রাখার শঙ্কা
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল সকালে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তা রবার্ট হোল্ডেন বলেন, ভয়াবহ এ দুর্যোগ থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখন হাজারো মানুষ ক্রমবর্ধমান ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি। অবস্থান করছে খোলা আকাশের নিচে। পানি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ নেই। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
রবার্ট হোল্ডেন বলেন, ‘আমরা একটি ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় দেখার আশঙ্কায় আছি। অনুসন্ধান ও উদ্ধারের ক্ষেত্রে গতি ও তীব্রতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে না পারলে প্রাথমিক দুর্যোগের চেয়ে বেশি লোকের ক্ষতি করতে পারে। এটি সহজ কাজ নয়...কার্যক্রমের পরিধি বিশাল।’
মানবাধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আশ্রয়, চিকিৎসাসেবা, পানি ও খাদ্য সরবরাহ করার পথ ক্রমেই আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে সংকটে পড়েছে শিশুরা। এসব এলাকায় দ্রুত কম্বল ও অস্থায়ী আশ্রয় সরবরাহ করা উচিত।
সিরিয়ায় সহায়তা
শক্তিশালী ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সরকারবিরোধীদের অধীনে থাকা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে জাতিসংঘ। গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো বিদেশি ত্রাণ পাচ্ছে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বাব আল হাওয়া ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ছয়টি ট্রাক প্রবেশ করে। দেশটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত এক দশকের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার যেসব প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসবের মধ্যে আলেপ্পো অন্যতম। প্রদেশটির বিভিন্ন শহর এখনো ক্ষমতাসীন বাশার সরকারের বিরোধীরা নিয়ন্ত্রণ করে। সোমবারের ভূমিকম্পে সিরিয়ার অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ অধ্যুষিত আলেপ্পোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গৃহযুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সিরিয়ার ওপর, যেগুলো এখনো কার্যকর আছে। তার মধ্যে একটি হলো সিরিয়ার বিমান ও সমুদ্রবন্দরে বিদেশি উড়োজাহাজ ও জাহাজ প্রবেশ বা নোঙরবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠাতে অনেক দেশের ইচ্ছে থাকলেও উপায় ছিল না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪