সম্পাদকীয়
১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বিত প্যানেল করা সম্ভব হলো না। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে সলিমুল্লাহ হলের জীবন সদস্য করা হয়। এর জন্য ছাপানো নিমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়। সেই নিমন্ত্রণপত্র যায় আলাউদ্দিন আল আজাদের নামে। সেখানে লেখা ছিল, ‘অনুষ্ঠানের পর ওস্তাদ সমবেত ছাত্র ও অতিথিদের সরোদ বাজিয়ে শোনাবেন।’
মজার ব্যাপার হলো, অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ যে সমবেত ছাত্র ও অতিথিদের সরোদ বাজিয়ে শোনাবেন, সে ব্যাপারে ওস্তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ জানতেনও না যে সেদিন তাঁকে সরোদ বাজাতে হবে।
সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. গনির প্লাইমাউথ গাড়ি নিয়ে নুরুল হক ও তাঁর বন্ধু খাঁ সাহেবকে আনতে গেলেন। খাঁ সাহেব তখন থাকতেন বুড়িগঙ্গা নদীর পারে, তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র খাদেম হোসেন খাঁয়ের বাড়িতে। গায়ে লম্বা কোট আর একটা চুরুট মুখে গাড়িতে উঠে বসলেন ওস্তাদ। সঙ্গে ছিলেন খাদেম হোসেন খাঁ। কথায় কথায় সরোদ বাজানোর কথা উঠতেই খাঁ সাহেব গাড়ি থেকে নেমে বললেন, ‘আমার শরীর ভালো না। প্রিয় ছাত্ররা অপেক্ষা করবে আর আমি আনন্দ দিতে পারব না, এটা হতে পারে না।’
সত্যিই নেমে চলে গেলেন বাড়িতে। শূন্যহাতে ফিরতে হলো। তবে এরপর আরও দুজন শিক্ষার্থী ওস্তাদকে আনতে গেলেন। এবার তাঁরা বিফল হলেন না। জীবন সদস্য-সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের পর তিনি শিশুসুলভ সরলতায় নিজের জীবনের কথা বললেন এবং শোনালেন সরোদ।
ওস্তাদের বিনা অনুমতিতে নিমন্ত্রণপত্রে সরোদ বাজানোর কথা উল্লেখ থাকায় আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনিও নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন।
সূত্র: নুরুল হক, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯
১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বিত প্যানেল করা সম্ভব হলো না। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে সলিমুল্লাহ হলের জীবন সদস্য করা হয়। এর জন্য ছাপানো নিমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়। সেই নিমন্ত্রণপত্র যায় আলাউদ্দিন আল আজাদের নামে। সেখানে লেখা ছিল, ‘অনুষ্ঠানের পর ওস্তাদ সমবেত ছাত্র ও অতিথিদের সরোদ বাজিয়ে শোনাবেন।’
মজার ব্যাপার হলো, অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ যে সমবেত ছাত্র ও অতিথিদের সরোদ বাজিয়ে শোনাবেন, সে ব্যাপারে ওস্তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ জানতেনও না যে সেদিন তাঁকে সরোদ বাজাতে হবে।
সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. গনির প্লাইমাউথ গাড়ি নিয়ে নুরুল হক ও তাঁর বন্ধু খাঁ সাহেবকে আনতে গেলেন। খাঁ সাহেব তখন থাকতেন বুড়িগঙ্গা নদীর পারে, তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র খাদেম হোসেন খাঁয়ের বাড়িতে। গায়ে লম্বা কোট আর একটা চুরুট মুখে গাড়িতে উঠে বসলেন ওস্তাদ। সঙ্গে ছিলেন খাদেম হোসেন খাঁ। কথায় কথায় সরোদ বাজানোর কথা উঠতেই খাঁ সাহেব গাড়ি থেকে নেমে বললেন, ‘আমার শরীর ভালো না। প্রিয় ছাত্ররা অপেক্ষা করবে আর আমি আনন্দ দিতে পারব না, এটা হতে পারে না।’
সত্যিই নেমে চলে গেলেন বাড়িতে। শূন্যহাতে ফিরতে হলো। তবে এরপর আরও দুজন শিক্ষার্থী ওস্তাদকে আনতে গেলেন। এবার তাঁরা বিফল হলেন না। জীবন সদস্য-সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের পর তিনি শিশুসুলভ সরলতায় নিজের জীবনের কথা বললেন এবং শোনালেন সরোদ।
ওস্তাদের বিনা অনুমতিতে নিমন্ত্রণপত্রে সরোদ বাজানোর কথা উল্লেখ থাকায় আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনিও নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন।
সূত্র: নুরুল হক, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫