নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
শামীম ও সেলিম ওসমানের প্রার্থী হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকার মেয়র পদে ভোটে দাঁড়িয়েছেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পাল্টে গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার গতিপথ। আইভী এমন অভিযোগ তোলার পর গতকাল রোববার দিনভর এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম ছিল নারায়ণগঞ্জ। ভোট সামনে রেখে এত দিন প্রার্থীদের মুখে মুখে ছিল নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা আলাপ-প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আইভীর অভিযোগের পর আলোচনা থেকে ছিটকে গেছেন নাগরিকেরা, সব আলোচনার কেন্দ্রে এখন শামীম ওসমান।
আইভীর অভিযোগ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন শামীম ওসমান। কিন্তু বসে নেই অন্যরা; আইভীর মন্তব্য নিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। গতকাল নগরীর মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য করেছেন। সরকারদলীয় নেতাদের এই বিভেদ নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। আমি বলতে চাই, শামীম ওসমানের পায়ে তৈমুর আলম খন্দকার হাঁটে না। গত ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার এমন কোনো অবস্থা হয় নাই যে শামীম ওসমান বা সেলিম ওসমানের পায়ে আমাকে হাঁটতে হবে।’
এর আগে গতকাল সকালে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর নিজ দলের এমপিকে গডফাদার বলেছেন। বিষয়টি তাঁদের দলের নিজস্ব ব্যাপার, যেখানে আমি জড়িত সেখানে আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী তিনবার বলেছেন, তৈমুর জেতার মতো ক্যান্ডিডেট। সেই আত্মবিশ্বাসে বলতে হয়, তিনি জনগণের সাথে সম্পৃক্ততাকে মূল্যায়ন করে আমাকেই ভোট দিতেন।’
তৈমুর শামীম-আইভীর দ্বন্দ্বকে তাদের দলীয় ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করলেও তৈমুরের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এটিএম কামাল বলেছেন, ‘আইভী উসকানিমূলক কথা বলে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। সে কি বিএনপির নেত্রী, সে বলছে তৈমুর বিএনপির প্রার্থী না। বিএনপির দায়িত্ব কি সে নিয়েছে?’ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকার তো বলে নাই সে বিএনপির প্রার্থী, সে তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাকে ভোট দেওয়ার অধিকার সবার আছে। আইভী যে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এটা একটা গর্হিত কাজ। কোনো প্রার্থীর আরেকজন প্রার্থী সম্পর্কে এসব কথা বলার অধিকার নেই।’
শামীম ওসমানকে গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করে আইভীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বন্দরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে নৌকার প্রার্থী আইভী বলেন, ‘আমি তাঁকে (শামীম ওসমানকে) এটা (গডফাদার) বলিনি, এটা তাঁর বিগত ত্রিশ বছরের উপাধি। সারা বাংলাদেশ তাঁকে জানে। আওয়ামী লীগে জনপ্রিয়দের যেমন স্থান আছে, বিতর্কিতদেরও স্থান আছে। বিশাল দলের মধ্যে সবাই থাকে। এখানে যে টিকে থাকার টিকে থাকবে যে চলে যাওয়ার চলে যাবে।’
এবারের নির্বাচনে ওসমান পরিবারের ভূমিকা নিয়ে আইভী বলেন, ‘তিনি (শামীম ওসমান) আমার দলের লোক। তিনি সমর্থন দিলে দিবে, না দিলে না দিবে। সে আমাকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি আমার বড় ভাইকে সম্মান রাখার চেষ্টা বহুবার করেছি। আমার কিছু করার নেই, জনগণের রায়ই রায়। তারা ষড়যন্ত্র করবে আর তা ধ্বংস করে দেবে জনগণ।’
এদিকে গত শনিবার আইভীর বক্তব্যের পর শামীম ওসমানের ভূমিকা নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা। তবে এক দিনের ব্যবধানে নিজেদের সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন তাঁরা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আইভীর বিরোধিতাকারীরা আর কখনো নৌকা পাবেন না। পরে গত শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক-শোতে তিনি বলেন, ‘শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে অবশ্যই ফ্যাক্টর। ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এ পর্যায়ে এসেছেন। এ জন্যই শামীম ওসমানকে নেত্রী নৌকা প্রতীক দিয়েছেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬ তারিখের নির্বাচনের পরই আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করব—শামীম ওসমান সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা। আমরা নির্বাচনের পর রিপোর্ট তৈরি করে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেব।’
শামীম ও সেলিম ওসমানের প্রার্থী হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকার মেয়র পদে ভোটে দাঁড়িয়েছেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পাল্টে গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার গতিপথ। আইভী এমন অভিযোগ তোলার পর গতকাল রোববার দিনভর এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম ছিল নারায়ণগঞ্জ। ভোট সামনে রেখে এত দিন প্রার্থীদের মুখে মুখে ছিল নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা আলাপ-প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আইভীর অভিযোগের পর আলোচনা থেকে ছিটকে গেছেন নাগরিকেরা, সব আলোচনার কেন্দ্রে এখন শামীম ওসমান।
আইভীর অভিযোগ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন শামীম ওসমান। কিন্তু বসে নেই অন্যরা; আইভীর মন্তব্য নিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। গতকাল নগরীর মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য করেছেন। সরকারদলীয় নেতাদের এই বিভেদ নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। আমি বলতে চাই, শামীম ওসমানের পায়ে তৈমুর আলম খন্দকার হাঁটে না। গত ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার এমন কোনো অবস্থা হয় নাই যে শামীম ওসমান বা সেলিম ওসমানের পায়ে আমাকে হাঁটতে হবে।’
এর আগে গতকাল সকালে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর নিজ দলের এমপিকে গডফাদার বলেছেন। বিষয়টি তাঁদের দলের নিজস্ব ব্যাপার, যেখানে আমি জড়িত সেখানে আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী তিনবার বলেছেন, তৈমুর জেতার মতো ক্যান্ডিডেট। সেই আত্মবিশ্বাসে বলতে হয়, তিনি জনগণের সাথে সম্পৃক্ততাকে মূল্যায়ন করে আমাকেই ভোট দিতেন।’
তৈমুর শামীম-আইভীর দ্বন্দ্বকে তাদের দলীয় ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করলেও তৈমুরের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এটিএম কামাল বলেছেন, ‘আইভী উসকানিমূলক কথা বলে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। সে কি বিএনপির নেত্রী, সে বলছে তৈমুর বিএনপির প্রার্থী না। বিএনপির দায়িত্ব কি সে নিয়েছে?’ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকার তো বলে নাই সে বিএনপির প্রার্থী, সে তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাকে ভোট দেওয়ার অধিকার সবার আছে। আইভী যে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এটা একটা গর্হিত কাজ। কোনো প্রার্থীর আরেকজন প্রার্থী সম্পর্কে এসব কথা বলার অধিকার নেই।’
শামীম ওসমানকে গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করে আইভীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বন্দরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে নৌকার প্রার্থী আইভী বলেন, ‘আমি তাঁকে (শামীম ওসমানকে) এটা (গডফাদার) বলিনি, এটা তাঁর বিগত ত্রিশ বছরের উপাধি। সারা বাংলাদেশ তাঁকে জানে। আওয়ামী লীগে জনপ্রিয়দের যেমন স্থান আছে, বিতর্কিতদেরও স্থান আছে। বিশাল দলের মধ্যে সবাই থাকে। এখানে যে টিকে থাকার টিকে থাকবে যে চলে যাওয়ার চলে যাবে।’
এবারের নির্বাচনে ওসমান পরিবারের ভূমিকা নিয়ে আইভী বলেন, ‘তিনি (শামীম ওসমান) আমার দলের লোক। তিনি সমর্থন দিলে দিবে, না দিলে না দিবে। সে আমাকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি আমার বড় ভাইকে সম্মান রাখার চেষ্টা বহুবার করেছি। আমার কিছু করার নেই, জনগণের রায়ই রায়। তারা ষড়যন্ত্র করবে আর তা ধ্বংস করে দেবে জনগণ।’
এদিকে গত শনিবার আইভীর বক্তব্যের পর শামীম ওসমানের ভূমিকা নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা। তবে এক দিনের ব্যবধানে নিজেদের সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন তাঁরা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আইভীর বিরোধিতাকারীরা আর কখনো নৌকা পাবেন না। পরে গত শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক-শোতে তিনি বলেন, ‘শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে অবশ্যই ফ্যাক্টর। ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এ পর্যায়ে এসেছেন। এ জন্যই শামীম ওসমানকে নেত্রী নৌকা প্রতীক দিয়েছেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬ তারিখের নির্বাচনের পরই আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করব—শামীম ওসমান সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা। আমরা নির্বাচনের পর রিপোর্ট তৈরি করে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪