কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় গত ৩০ দিনে ১৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৩ এবং ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ভেড়ামারার বাসিন্দা এবং তাঁরা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক।
জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁদের অধিকাংশ রোগীই ভেড়ামারা, মিরপুর এবং দৌলতপুরের। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিন উপজেলা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। চলতি বছর কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হননি।
আব্দুল হামিদ নামের ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর এলাকার এক রোগী তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে। আক্রান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদ বলেন, তিনি রূপপুর প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে তাঁর জ্বর হয়। দুই দিন পর পরীক্ষা করালে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। প্রথমে তাঁকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তিন দিন আগে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে পানি জমে থাকে। সেখানে প্রচুর মশা। কাজে গেলে মশার কামড় খেতেই হয়।
গতকাল দুপুর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিচ তলার জরুরি বিভাগের পাশের দুটি মাঝারি সাইজের কক্ষে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ১৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সবাই মশারি টাঙিয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন।
মিরপুর উপজেলার রিগানের বড়ভাই রুবায়েত জানান, ১৫ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তাঁর ভাইকে শুক্রবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিমের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো জেলায় মাত্র একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ১১ জন শনাক্ত হয়। এরপর গত ৩০ দিনে ১৫০ জন আক্রান্ত হন। এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বী সরদার (২০) নামের একজন মারা যান। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করতেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় সব সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আক্রান্তরা অধিকাংশই পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ জনই ভেড়ামারার বাসিন্দা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে এডিসের লার্ভা নিধনে ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় গত ৩০ দিনে ১৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৩ এবং ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ভেড়ামারার বাসিন্দা এবং তাঁরা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক।
জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁদের অধিকাংশ রোগীই ভেড়ামারা, মিরপুর এবং দৌলতপুরের। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিন উপজেলা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। চলতি বছর কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হননি।
আব্দুল হামিদ নামের ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর এলাকার এক রোগী তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে। আক্রান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদ বলেন, তিনি রূপপুর প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে তাঁর জ্বর হয়। দুই দিন পর পরীক্ষা করালে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। প্রথমে তাঁকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তিন দিন আগে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে পানি জমে থাকে। সেখানে প্রচুর মশা। কাজে গেলে মশার কামড় খেতেই হয়।
গতকাল দুপুর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিচ তলার জরুরি বিভাগের পাশের দুটি মাঝারি সাইজের কক্ষে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ১৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সবাই মশারি টাঙিয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন।
মিরপুর উপজেলার রিগানের বড়ভাই রুবায়েত জানান, ১৫ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তাঁর ভাইকে শুক্রবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিমের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো জেলায় মাত্র একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ১১ জন শনাক্ত হয়। এরপর গত ৩০ দিনে ১৫০ জন আক্রান্ত হন। এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বী সরদার (২০) নামের একজন মারা যান। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করতেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় সব সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আক্রান্তরা অধিকাংশই পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ জনই ভেড়ামারার বাসিন্দা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে এডিসের লার্ভা নিধনে ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪