Ajker Patrika

সড়কে ধান শুকানোয় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা

মাগুরা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ১৪: ৫২
Thumbnail image

মাগুরার বিভিন্ন সড়কে শুকানো হচ্ছে বোরো ধান, ভেজা খড় ও বিচালি। এতে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে সড়কগুলোতে। বিষয়টি তদারকি করার জন্য কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরের ছোট আবালপুর গ্রামের বিভিন্ন সড়কে ধানের আঁটি বেঁধে কৃষকেরা রাস্তায় বিছিয়ে রেখেছে। এর মাঝে বেশির ভাগ ধান ভেজা অবস্থায় দেখা গেছে। এসব এলাকাসহ ছোট ব্রিজ, নড়িহাটি, শিবরামপুর, আঠারখাদা রগাম, নিজনান্দুয়ালী প্রায় এলাকার ব্যস্ততম সড়কে দেখা গেছে ভেজা ধান রাস্তায় শুকানো হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ধান রাস্তায় না দিলে শুকানো যাচ্ছে না। তবে সড়কের একপাশে ধানের আঁটি নাড়ছেন বলে জানান, শিবরামপুরের কৃষক জয়নাল। তিনি বলেন, ‘বাড়ি জায়গা নেই। রাস্তায় প্রতি বছরে ধান-খড় শুকাই। এবারও তাই করেছি। দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য একপাশ ফাঁকা করে দিয়েছি।’

ভিজা ধানের ওপর মোটসাইকেল স্লিপ করে জেলার অনেকেই আহত হয়েছেন। এদের মধ্য একজন হলেন মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী সোহেল মিয়া। তিনি পা ও হাতের কবজিতে আঘাত পেয়েছেন।

সোহেল মিয়া জানান, গত সোমবার সকালে তিনি বাড়ি বেরইল পলিতা থেকে সদরের সরকারি কলেজে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে ডেফলিয়া এলাকার সড়কে ভেজা ধান শুকাতে দেওয়া ছিল রাস্তায়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল ব্রেক করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্লিপ করে রাস্তার পাশে এক গাছে ধাক্কা খায় মোটরসাইকেলটি। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

একই অবস্থার কথা জানান আঠারখাদা এলাকার ইদ্রিস শেখ। তিনি বলেন, ‘মসলা গবেষণা হয়ে মাগুরা পুলিশ লাইনে যেতে প্রায় পথই ধানের বিচালি (খড়) সড়কে শুকাতে দোয়া। আইনত এটা সড়কে নাড়া নিষেধ থাকলেও স্থানীয়রা অবাধে করছেন। আর আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। আমার বাম পায়ে তিনটা সেলাই দোয়া লাগছে রাস্তায় পড়ে গিয়ে। খড় ভাবে সড়কে নাড়ছে তাতে নিরাপদে গড়ি চালানোর অবস্থা নেই।’

নড়িহাটি রগ্রামের চা বিক্রেতা সেলিম জানান, ‘আমার দোকানের সামনে রাস্তার মোড়। আর এখানেই অনেকে মাঠের ভেজা ধান শুকাতে দিয়েছে। সারা দিন আমার সামনেই অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে স্লিপ কেটে পড়ে যায়। হাত পা কারও মাথায় আঘাত লাগে। এ রকম দুই সপ্তাহ ধরে হচ্ছে। প্রতি ধানের মৌসুমে এমনটা শুরু হয়। আমি কত বলেছি ভাই রাস্তায় ধান শুকাতে দিস নে। কে শোনে কার কথা।’

মাগুরা হাইওয়ে ট্রাফিকের রামনগর এলাকার সার্জেন্ট মো. শাহাজালার জানান, প্রতি বছর এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। সড়কে এসব খড়, ধান বা অন্য কিছু’ রাখা যাবে না। রাখলেও সব যানের চাকার গ্রিপারের পুরু কম থাকায় স্লিপ কাটে। এতে হতাহতের ঘটনা প্রায় মোনা যায়। আইনত এটা নিষেধ আছে। স্থানীয় পর্যায়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করলে এটা কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত