আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে কাজাখস্তানে। বিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পরও বিক্ষোভ থামেনি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সঙ্গে যোগ দিয়েছে রুশ সেনারাও। জনবহুল আলমাতি শহরের থমথমে পরিস্থিতি আর জনশূন্য রাস্তায় পড়ে থাকা আগুনে পোড়া গাড়ি দেখে মনে হতে পারে এ যেন এক পরিত্যক্ত নগরী।
সম্প্রতি আলমাতি শহর ঘুরে দেখেছেন বিবিসির সাংবাদিক আবদুল আজিজ। তিনি জানান, শহরটির বাতাসে এখনো ভাসছে পোড়া যানবাহনের গন্ধ। মূল সড়কগুলো জনশূন্য, অলিগলিতেও মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো অবরোধ করে রেখেছে।
আলমাতির বেশির ভাগ ব্যাংক এবং দোকানপাট লুটপাট হয়ে গেছে, যা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে সময় লাগবে। হামলা চালানো হয়েছে ওই এলাকার অনেক মিডিয়া ভবনে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মেয়রের কার্যালয়।
বিবিসি বলছে, গত শুক্রবার আলমাতি শহরে কোনো বিক্ষোভ দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে এখনো গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তাঁরা সবাই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মধ্যবয়সী এক নারী বিবিসিকে বলেন, শুরু থেকেই সরকারের আরও শক্ত হওয়া উচিত ছিল। তারা যদি প্রথমেই শক্তি প্রয়োগ করত, তাহলে এই সহিংসতা ঘটত না।
তবে ক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহানুভূতিও ছিল। অনেক বিক্ষোভকারী দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসেছেন, যেখানে জীবনযাপনের ব্যয় বেশি হলেও আয়ের সুযোগ কম।
এদিকে সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় আলমাতির বাসিন্দারা এখন খাদ্যসংকটের মুখোমুখি। কিছু দোকান খোলা থাকলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছে শুধু নগদ টাকা। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা তোলারও ব্যবস্থা নেই। এর আগে কখনোই এত বড় মাত্রার বিক্ষোভ দেখেনি কাজাখস্তান। আর যে গতিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, তা-ও ছিল অবিশ্বাস্য। এই বিক্ষোভ শুধু জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, এর পেছনে অন্য রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বিশ্ব প্রতিক্রিয়া
কাজাখস্তানের অস্থিরতা প্রতিবেশী রাশিয়া ও চীনের পাশাপাশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পশ্চিমা শক্তিগুলোরও। শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের অংশ হিসেবে মিত্র কাজাখস্তানে প্রায় আড়াই হাজার সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। তবে মস্কোকে কাজাখের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কাজাখস্তানের রাজনৈতিক নেতা ও বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ আহ্বান জানান।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা উল্লেখ করে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাজাখেস্তানে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওয়াশিংটন।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে কাজাখস্তানে। বিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পরও বিক্ষোভ থামেনি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সঙ্গে যোগ দিয়েছে রুশ সেনারাও। জনবহুল আলমাতি শহরের থমথমে পরিস্থিতি আর জনশূন্য রাস্তায় পড়ে থাকা আগুনে পোড়া গাড়ি দেখে মনে হতে পারে এ যেন এক পরিত্যক্ত নগরী।
সম্প্রতি আলমাতি শহর ঘুরে দেখেছেন বিবিসির সাংবাদিক আবদুল আজিজ। তিনি জানান, শহরটির বাতাসে এখনো ভাসছে পোড়া যানবাহনের গন্ধ। মূল সড়কগুলো জনশূন্য, অলিগলিতেও মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো অবরোধ করে রেখেছে।
আলমাতির বেশির ভাগ ব্যাংক এবং দোকানপাট লুটপাট হয়ে গেছে, যা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে সময় লাগবে। হামলা চালানো হয়েছে ওই এলাকার অনেক মিডিয়া ভবনে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মেয়রের কার্যালয়।
বিবিসি বলছে, গত শুক্রবার আলমাতি শহরে কোনো বিক্ষোভ দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে এখনো গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তাঁরা সবাই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মধ্যবয়সী এক নারী বিবিসিকে বলেন, শুরু থেকেই সরকারের আরও শক্ত হওয়া উচিত ছিল। তারা যদি প্রথমেই শক্তি প্রয়োগ করত, তাহলে এই সহিংসতা ঘটত না।
তবে ক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহানুভূতিও ছিল। অনেক বিক্ষোভকারী দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসেছেন, যেখানে জীবনযাপনের ব্যয় বেশি হলেও আয়ের সুযোগ কম।
এদিকে সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় আলমাতির বাসিন্দারা এখন খাদ্যসংকটের মুখোমুখি। কিছু দোকান খোলা থাকলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছে শুধু নগদ টাকা। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা তোলারও ব্যবস্থা নেই। এর আগে কখনোই এত বড় মাত্রার বিক্ষোভ দেখেনি কাজাখস্তান। আর যে গতিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, তা-ও ছিল অবিশ্বাস্য। এই বিক্ষোভ শুধু জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, এর পেছনে অন্য রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বিশ্ব প্রতিক্রিয়া
কাজাখস্তানের অস্থিরতা প্রতিবেশী রাশিয়া ও চীনের পাশাপাশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পশ্চিমা শক্তিগুলোরও। শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের অংশ হিসেবে মিত্র কাজাখস্তানে প্রায় আড়াই হাজার সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। তবে মস্কোকে কাজাখের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কাজাখস্তানের রাজনৈতিক নেতা ও বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ আহ্বান জানান।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা উল্লেখ করে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাজাখেস্তানে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওয়াশিংটন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪