আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জোহরান মামদানি এবার বাংলাদেশি আন্টিদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
২৪ জুন মধ্যরাতের পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তাঁর হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া ‘বাংলাদেশি আন্টিদেরও’ ধন্যবাদ দেন জোহরান।
প্রাইমারিতে বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেন, ‘এটা শুধু আমার বিজয় নয়, এটা আমাদের সবার। এটা সেই বাংলাদেশি আন্টির বিজয়, যিনি নিউইয়র্কে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য একের পর এক দরজায় কড়া নেড়েছেন। বাসা খুঁজতে খুঁজতে তাঁর পা ব্যথা হয়ে গেছে, দরজায় কড়া নাড়তে আঙুলে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এটা সেই ১৮ বছরের তরুণের বিজয়, যে জীবনের প্রথম ভোটটা দিয়েছে।’
আগামী নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইতিহাস গড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ এই রাজনীতিক।
জোহরান মামদানি এখনও নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত না হলেও সবাই আসন্ন নির্বাচনে তাঁর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচিত হলে জোহরান হবেন নিউইয়র্ক নগরের সবচেয়ে কমবয়সী ও প্রথম মুসলিম মেয়র।
৩৩ বছর বয়সী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম জোহরান মামদানি গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন।
২৪ জুন নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে র্যাঙ্কড-চয়েস ভোটিংয়ের প্রথম রাউন্ডেই জোহরান মামদানি ৪৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে যান। তিনি পান প্রায় ৪ লাখ ৩২ হাজার ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি পান ৩৬.৪ শতাংশ বা প্রায় ৩ লাখ ৬২ হাজার ভোট।
প্রগ্রেসিভ প্রার্থী কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডার তৃতীয় হন, ১১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে।অন্য প্রার্থীরা ছিলেন তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরে।
কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নিউইয়র্কের র্যাঙ্কড-চয়েস নিয়ম অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া প্রার্থীদের একে একে বাদ দেওয়া হয় এবং তাঁদের ভোটারদের দ্বিতীয় পছন্দ অনুযায়ী ভোট অন্যদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।
জানা গেছে, মামদানি ল্যান্ডারসহ প্রগ্রেসিভ প্রার্থীদের অনেক ভোট পেয়ে এগিয়ে যান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছোঁয়ার পথে চলে আসেন। যদিও চূড়ান্ত ফল আসতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে, কুমোর পরাজয় স্বীকারই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মামদানির জয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
কে এই মামদানি
৩৩ বছর বয়সী জোহরান কোয়ামে মামদানি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। তিনি উগান্ডার প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানি ও ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে।
মামদানির জন্ম উগান্ডার কামপালায়। তিনি সাত বছর বয়সে নিউইয়র্কে চলে আসেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মেইনের বোডিন কলেজ থেকে আফ্রিকান স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি কম আয়ের পরিবারের বাসাবাড়ি হারানো ঠেকাতে ’হাউজিং কাউন্সেলর’ হিসেবে কাজ করতেন।
২০২০ সালে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির ৩৬ নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত হন মামদানি। তিনি কুইন্সের আস্টোরিয়া এলাকা প্রতিনিধিত্ব করেন।
চলতি বছরের শুরুতে মামদানি বিয়ে করেছেন ২৭ বছর বয়সী সিরীয় শিল্পী রামা দুয়াজিকে। তিনি ব্রুকলিনে থাকেন। রামার কাজ দ্য নিউইয়র্কার, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ভাইসের মতো আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি অ্যানিমেশন ও সিরামিক শিল্পেও কাজ করেন।
নির্বাচনী প্রচারে তিনি উর্দু ভাষায় ভিডিও, বলিউড ক্লিপ ও স্প্যানিশ ভাষায় বক্তব্য ব্যবহার করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি, বিশেষ করে জেনজিদের মাঝে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জোহরান মামদানি এবার বাংলাদেশি আন্টিদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
২৪ জুন মধ্যরাতের পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তাঁর হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া ‘বাংলাদেশি আন্টিদেরও’ ধন্যবাদ দেন জোহরান।
প্রাইমারিতে বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেন, ‘এটা শুধু আমার বিজয় নয়, এটা আমাদের সবার। এটা সেই বাংলাদেশি আন্টির বিজয়, যিনি নিউইয়র্কে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য একের পর এক দরজায় কড়া নেড়েছেন। বাসা খুঁজতে খুঁজতে তাঁর পা ব্যথা হয়ে গেছে, দরজায় কড়া নাড়তে আঙুলে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এটা সেই ১৮ বছরের তরুণের বিজয়, যে জীবনের প্রথম ভোটটা দিয়েছে।’
আগামী নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইতিহাস গড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ এই রাজনীতিক।
জোহরান মামদানি এখনও নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত না হলেও সবাই আসন্ন নির্বাচনে তাঁর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচিত হলে জোহরান হবেন নিউইয়র্ক নগরের সবচেয়ে কমবয়সী ও প্রথম মুসলিম মেয়র।
৩৩ বছর বয়সী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম জোহরান মামদানি গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন।
২৪ জুন নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে র্যাঙ্কড-চয়েস ভোটিংয়ের প্রথম রাউন্ডেই জোহরান মামদানি ৪৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে যান। তিনি পান প্রায় ৪ লাখ ৩২ হাজার ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি পান ৩৬.৪ শতাংশ বা প্রায় ৩ লাখ ৬২ হাজার ভোট।
প্রগ্রেসিভ প্রার্থী কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডার তৃতীয় হন, ১১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে।অন্য প্রার্থীরা ছিলেন তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরে।
কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নিউইয়র্কের র্যাঙ্কড-চয়েস নিয়ম অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া প্রার্থীদের একে একে বাদ দেওয়া হয় এবং তাঁদের ভোটারদের দ্বিতীয় পছন্দ অনুযায়ী ভোট অন্যদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।
জানা গেছে, মামদানি ল্যান্ডারসহ প্রগ্রেসিভ প্রার্থীদের অনেক ভোট পেয়ে এগিয়ে যান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছোঁয়ার পথে চলে আসেন। যদিও চূড়ান্ত ফল আসতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে, কুমোর পরাজয় স্বীকারই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মামদানির জয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
কে এই মামদানি
৩৩ বছর বয়সী জোহরান কোয়ামে মামদানি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। তিনি উগান্ডার প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানি ও ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে।
মামদানির জন্ম উগান্ডার কামপালায়। তিনি সাত বছর বয়সে নিউইয়র্কে চলে আসেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মেইনের বোডিন কলেজ থেকে আফ্রিকান স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি কম আয়ের পরিবারের বাসাবাড়ি হারানো ঠেকাতে ’হাউজিং কাউন্সেলর’ হিসেবে কাজ করতেন।
২০২০ সালে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির ৩৬ নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত হন মামদানি। তিনি কুইন্সের আস্টোরিয়া এলাকা প্রতিনিধিত্ব করেন।
চলতি বছরের শুরুতে মামদানি বিয়ে করেছেন ২৭ বছর বয়সী সিরীয় শিল্পী রামা দুয়াজিকে। তিনি ব্রুকলিনে থাকেন। রামার কাজ দ্য নিউইয়র্কার, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ভাইসের মতো আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি অ্যানিমেশন ও সিরামিক শিল্পেও কাজ করেন।
নির্বাচনী প্রচারে তিনি উর্দু ভাষায় ভিডিও, বলিউড ক্লিপ ও স্প্যানিশ ভাষায় বক্তব্য ব্যবহার করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি, বিশেষ করে জেনজিদের মাঝে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের রেকো ডিক খনি থেকে দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন যদি পাশে থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনিকে ঘিরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহেই কেনিয়ার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ সম্পদশালী ব্যবসায়ী হ্যারি রয় ভিভার্সের আত্মা এবার হয়তো শান্তি পাবে। কিন্তু মৃত্যুর ১২ বছর পরও তাঁর মরদেহ কোথায় শায়িত হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনির্ধারিতই রয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেউপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।
৪ ঘণ্টা আগেতানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নর্থ মারা সোনার খনি একদিকে যেমন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্দশা, নির্যাতন আর মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হু হু করে বাড়ায় এ খনিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগে