Ajker Patrika

‘ফুল ব্যাগে’ ভাগ্য পরিবর্তন

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ২২
‘ফুল ব্যাগে’ ভাগ্য পরিবর্তন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ফুল ব্যাগ তৈরির কারখানা। এই উদ্যোগ স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে গ্রামের অসহায় নারী ও পুরুষদের। দুই বন্ধু মিঠুন বিশ্বাস (২৫) ও নিমাই কর্মকারের (২৪) এ উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কারখানায় কাজ করছেন এলাকার অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক নারী। এতে করে একদিকে যেমনি স্বাবলম্বী হচ্ছেন তেমনি এ কাজ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

একসময়ে কারখানায় কাজ করে পরবর্তীতে উদ্যোক্তা হয়েছেন মিঠুন ও নিমাই। ফুল ব্যাগ তৈরি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তাঁরা। এবার অবদান রাখছেন এলাকার অসহায় নারী-পুরুষদের ভাগ্য পরিবর্তনে।

সাধারণত কাপড়, ফাইবার, কভার ও ফোম সেলাই করে তৈরি করা হয় ফুল ব্যাগ। ব্যাগে ফুলের ডিজাইন থাকায় এই ব্যাগটি ফুল ব্যাগ হিসেবেই স্থানীয়ভাবে পরিচিতি লাভ করে। ব্যাগগুলোর আকার ও আকৃতি অনুসারে দামেও রয়েছে বেশ তারতম্য রয়েছে। ব্যাগগুলো সহজেই ধোঁয়া ও ব্যবহার করা যায়, টিকেও বেশি দিন। এ কারণে দিনে দিনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই ফুল ব্যাগ। এখানকার তৈরি ব্যাগ কুষ্টিয়া জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অনলাইনেও পাওয়া যায় এখানকার ব্যাগ।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া এলাকায় ফুল ব্যাগ তৈরির কাজ শুরু করেন দুই বন্ধু মিঠুন বিশ্বাস (২৫) ও নিমাই কর্মকার (২৪)। সে সময় দুই বন্ধু প্রতি মাসে এক হাজার থেকে প্রায় এক হাজার দুই শ পিস ব্যাগ তৈরি করতেন। প্রতিটি ব্যাগ তৈরিতে খরচ হয় এক শ থেকে ১২০ টাকা। আর বিক্রি করা হয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

উপজেলার তেবাড়িয়া এলাকায় ফুল ব্যাগ তৈরির উদ্যোক্তা মিঠুন কুমার বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে এ কাজ শুরু করি। আমি, আমার বন্ধুসহ বর্তমানে ১৭ জন কাজ করছি। প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যাগ তৈরি হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ টাকা।

এ সময় আক্ষেপের স্বরে মিঠুন বলেন, ইচ্ছে আছে নিজের একটি কারখানা করা। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ফুল ব্যাগে ভাগ্য পরিবর্তনের খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পরিদর্শন যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। এ সময় তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে, কুমারখালীতে বেশ কিছু উদ্যোক্তা পাওয়া যাচ্ছে। মিঠুন ও নিমাই ফুল ব্যাগ ও কুসুম কভার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সেই সঙ্গে এলাকার নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন।

ইউএনও বলেন, সোমবার তাদের কারখানা পরিদর্শন করেছি। তাদের কাজকে সহজ ও প্রসারিত করতে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

ইরানে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা জানত রাশিয়া, তেহরানে বিতর্ক তুঙ্গে

গাজীপুরে ইট দিয়ে সাংবাদিকের পা থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত