রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে বাংলাদেশ দলের সবাই যেন ক্লান্ত—ওপেনিং জুটি দাঁড়াচ্ছে না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যর্থ। একটা ম্যাচেই শুধু ভালো হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ওপেনিং ও দ্বিতীয় উইকেট জুটি মিলিয়ে মাত্র তিনবার ফিফটি ছাড়িয়েছে। একটিই শুধু ১০০ পেরিয়েছে। লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টপ অর্ডার ‘ক্লিক’ করেছিল বলেই ম্যাচও বাংলাদেশ জিতেছিল।
গতকাল প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের সুযোগ ছিল চাপমুক্ত থেকে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। গতকাল শুক্রবারও টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। লিটন দাসকে ওপেনিংয়ে ফেরানো তো আছেই। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে আরেকটা সুযোগ দেওয়া আর পুরো টুর্নামেন্টে ‘দর্শকে’র ভূমিকায় থাকা এনামুল হক বিজয়ের তিনে খেলিয়ে বাংলাদেশ পরখ করে দেখতে চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য। এ পরিবর্তনেও ফল আসেনি। তিনজনই ফিরেছেন ৬ ওভারের মধ্যে, দলের স্কোর ২৮ রানের বেশি হয়নি।
১৩ রান করে তানজিদ ফেরেন শার্দুল ঠাকুরের শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে। মোহাম্মদ শামির মুভমেন্টের জবাব ছিল না লিটনের কাছে। আর বিজয় যেভাবে শার্দুলের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে উইকেট তুলে দিলেন—তাঁর সামনে আপাতত জাতীয় দলের দরজা খোলা থাকবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয়ই আছে।
টপ অর্ডারের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে গতকাল বাংলাদেশকে টেনে তুলেছে সাকিব আল হাসান আর তাওহীদ হৃদয়ের পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করা ১১৫ বলে ১০১ রান। সাকিব-হৃদয় দলকে কক্ষপথে ফেরালেও লড়াইয়ের স্কোর এনে দেওয়ার আগেই দুজন ফিরেছেন। বাংলাদেশের স্কোর যে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান উঠেছে—তাতে বড় অবদান লেজের তিন ব্যাটার নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী আর অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের।
৩৪.১ ওভারে ১৬১ রান তুলতে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ২০০ রান হওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। সেখানে হৃদয়ের সঙ্গে ৩২ রানের একটা জুটি গড়লেন নাসুম। থিতু ব্যাটার হৃদয় ৫৪ রানে ফিরলে নাসুম আরেকটি লড়াই চালান মেহেদীকে নিয়ে। অষ্টম উইকেটে ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটিতে স্কোর ২৩০ পেরিয়েছে। আর ২৬০ পার করতে অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে নাসুম পাশে পান তানজিম সাকিবকে। এই জুটি যোগ করে ১৬ বলে ২৭ রান।
নাসুমের ব্যাটিং দক্ষতার সঙ্গে আগেও পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় দলের। গত ডিসেম্বরে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে নাসুমের ১১ বলে ১৮ রান বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছিল ৭ উইকেটে ২৭১ রানের লড়াইয়ের স্কোর। গতকাল নাসুমের ব্যাট হলো আরও চওড়া। ৪৪ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটা খেলতে বেছে নিলেন ভারতকে। প্রেমাদাসায় নাসুমের স্লগ দেখে ভড়কে গেছেন ভারতীয় বোলাররাও। নাসুমের সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মেহেদীও। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা দেখা গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেন যেন প্রমাণ করতে পারছিলেন না। কাল তাঁর ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসটা হয়ে উঠল সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মহামূল্যবান। বোলিংয়ে মুগ্ধ করার আগে মূল্যবান ইনিংস খেলেছেন তানজিম সাকিবও (৮ বলে ১৪ রান)। দুজন শেষ ২ ওভারে তুলেছেন ২৩ রান।
এ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে গোড়ায় গন্ডগোল থাকলেও শেষটা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটারের সম্মিলিত রান ১৭। আর শেষ তিনজনের রান ৮৭ (৭৬ বলে)। লেজের শক্তি দেখা না গেলে কলম্বোয় কালও ভালো করা কঠিন ছিল বাংলাদেশের।লেজের ব্যাটারদের অবদান নিয়ে ম্যাচের পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘অবশ্যই, এটা আমাদের লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে। ২৬০ পেরোনো স্কোর এনে দিয়েছে। ৭ উইকেটে ১৯০ (১৯৩) ছিল। আমাদের লেজ এবং ওপরের দিকে ব্যাটাররা অবদান রাখতে পারছিল না। সেদিক দিয়ে টেল এন্ডাররা ভালো করায় আমাদের গেমে থাকতে সহায়তা করেছে।’
এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে বাংলাদেশ দলের সবাই যেন ক্লান্ত—ওপেনিং জুটি দাঁড়াচ্ছে না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যর্থ। একটা ম্যাচেই শুধু ভালো হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ওপেনিং ও দ্বিতীয় উইকেট জুটি মিলিয়ে মাত্র তিনবার ফিফটি ছাড়িয়েছে। একটিই শুধু ১০০ পেরিয়েছে। লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টপ অর্ডার ‘ক্লিক’ করেছিল বলেই ম্যাচও বাংলাদেশ জিতেছিল।
গতকাল প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের সুযোগ ছিল চাপমুক্ত থেকে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। গতকাল শুক্রবারও টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। লিটন দাসকে ওপেনিংয়ে ফেরানো তো আছেই। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে আরেকটা সুযোগ দেওয়া আর পুরো টুর্নামেন্টে ‘দর্শকে’র ভূমিকায় থাকা এনামুল হক বিজয়ের তিনে খেলিয়ে বাংলাদেশ পরখ করে দেখতে চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য। এ পরিবর্তনেও ফল আসেনি। তিনজনই ফিরেছেন ৬ ওভারের মধ্যে, দলের স্কোর ২৮ রানের বেশি হয়নি।
১৩ রান করে তানজিদ ফেরেন শার্দুল ঠাকুরের শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে। মোহাম্মদ শামির মুভমেন্টের জবাব ছিল না লিটনের কাছে। আর বিজয় যেভাবে শার্দুলের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে উইকেট তুলে দিলেন—তাঁর সামনে আপাতত জাতীয় দলের দরজা খোলা থাকবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয়ই আছে।
টপ অর্ডারের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে গতকাল বাংলাদেশকে টেনে তুলেছে সাকিব আল হাসান আর তাওহীদ হৃদয়ের পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করা ১১৫ বলে ১০১ রান। সাকিব-হৃদয় দলকে কক্ষপথে ফেরালেও লড়াইয়ের স্কোর এনে দেওয়ার আগেই দুজন ফিরেছেন। বাংলাদেশের স্কোর যে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান উঠেছে—তাতে বড় অবদান লেজের তিন ব্যাটার নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী আর অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের।
৩৪.১ ওভারে ১৬১ রান তুলতে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ২০০ রান হওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। সেখানে হৃদয়ের সঙ্গে ৩২ রানের একটা জুটি গড়লেন নাসুম। থিতু ব্যাটার হৃদয় ৫৪ রানে ফিরলে নাসুম আরেকটি লড়াই চালান মেহেদীকে নিয়ে। অষ্টম উইকেটে ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটিতে স্কোর ২৩০ পেরিয়েছে। আর ২৬০ পার করতে অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে নাসুম পাশে পান তানজিম সাকিবকে। এই জুটি যোগ করে ১৬ বলে ২৭ রান।
নাসুমের ব্যাটিং দক্ষতার সঙ্গে আগেও পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় দলের। গত ডিসেম্বরে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে নাসুমের ১১ বলে ১৮ রান বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছিল ৭ উইকেটে ২৭১ রানের লড়াইয়ের স্কোর। গতকাল নাসুমের ব্যাট হলো আরও চওড়া। ৪৪ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটা খেলতে বেছে নিলেন ভারতকে। প্রেমাদাসায় নাসুমের স্লগ দেখে ভড়কে গেছেন ভারতীয় বোলাররাও। নাসুমের সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মেহেদীও। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা দেখা গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেন যেন প্রমাণ করতে পারছিলেন না। কাল তাঁর ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসটা হয়ে উঠল সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মহামূল্যবান। বোলিংয়ে মুগ্ধ করার আগে মূল্যবান ইনিংস খেলেছেন তানজিম সাকিবও (৮ বলে ১৪ রান)। দুজন শেষ ২ ওভারে তুলেছেন ২৩ রান।
এ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে গোড়ায় গন্ডগোল থাকলেও শেষটা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটারের সম্মিলিত রান ১৭। আর শেষ তিনজনের রান ৮৭ (৭৬ বলে)। লেজের শক্তি দেখা না গেলে কলম্বোয় কালও ভালো করা কঠিন ছিল বাংলাদেশের।লেজের ব্যাটারদের অবদান নিয়ে ম্যাচের পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘অবশ্যই, এটা আমাদের লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে। ২৬০ পেরোনো স্কোর এনে দিয়েছে। ৭ উইকেটে ১৯০ (১৯৩) ছিল। আমাদের লেজ এবং ওপরের দিকে ব্যাটাররা অবদান রাখতে পারছিল না। সেদিক দিয়ে টেল এন্ডাররা ভালো করায় আমাদের গেমে থাকতে সহায়তা করেছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪