Ajker Patrika

সহসা শেষ হচ্ছে না দুর্ভোগ

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৭
Thumbnail image

বদরগঞ্জের রাধানগর ইউনিয়নে ধোধরাই নদীর ওপর ভেঙে যাওয়া সেতুর দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। উপজেলায় নতুন তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও তাতে ধোধরারপাড় গ্রামের এই সেতু জায়গা পায়নি। এতে এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধোধরারপাড়ের সেতুটি আড়াই বছর আগে ভেঙে পড়ে। বর্তমানে লোকজন বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হন। তবে গাড়ি ব্যবহার করে ভারী কোনো মালামাল সাঁকো দিয়ে আনা নেওয়া করতে পারেন না এলাকার মানুষ। এ জন্য ঘুরতে হয় ১৫ কিলোমিটার। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘বদরগঞ্জে ২ বছর ধরে ভাঙা সেতু, ঘুরতে হয় ১৫ কিলোমিটার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই অবস্থায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায় ওই এলাকাসহ সাত জায়গায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত মাসে মন্ত্রণালয় থেকে বদরগঞ্জে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ধোধরাই নদীর ওপর সেতুর নাম নেই। ফলে থেকেই যাচ্ছে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ।

ধোধরাই নদী রাধানগর ইউনিয়নটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। নদীর এক পাড়ে রয়েছে বিদ্যালয়-কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বদরগঞ্জ শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক। অপর পাড়ে রয়েছে পাঁচটি গ্রামসহ লিচু ও সবজির জন্য বিখ্যাত চকের ডাঙ্গা এলাকা। চাষিরা তাঁদের ফল ও ফসল নিয়ে ধোধরারপাড় সেতু দিয়েই যাতায়াত করতেন। কিন্তু আড়াই বছর আগে সেতুটি পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে। ফলে স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াত করলেও চাষিরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ফল ও ফসল আনা নেওয়ায়। ৫০ গজ লম্বা সেতুটি না থাকায় চাষিদের কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তারাগঞ্জ অথবা বদরগঞ্জ শহরে গিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করতে হয়।

এলাকার বাসিন্দা মোকছেদ আলী বলেন, ‘সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হলেও তাঁরা ব্রিজ নির্মাণে ভ্রুক্ষেপ রাখে না। আশায় ছিলাম এবার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্রিজ হবে, কিন্তু হলো না।’

উপজেলা প্রকৌশলী বাদশাহ আলমগীর জানান, সড়কটি এলজিইডির হলেও সেতু করার কথা ত্রাণ অধিদপ্তরের।

এ বিষয়ে পিআইও বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘দ্রুত সেতুটি নির্মাণে অনেক চেষ্টা করেছি। এ জন্য সয়েল টেস্ট করে স্থানীয় সাংসদের অগ্রাধিকার তালিকায় সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। তবুও কাজ হলো না। ওই নদীতে সেতুসহ উপজেলায় সাতটি সেতু নির্মাণে প্রস্তাব ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সেখান থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে ধোধরাই নদীর ওপরও সেতু নির্মাণের গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত