নরসিংদী ও রায়পুরা প্রতিনিধি
নরসিংদীতে দুই উপজেলায় ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১০টি ও রায়পুরায় ১২টি ইউপি রয়েছে।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে রায়পুরায় ৫১ জন, নরসিংদী সদরে ৩১ জনসহ মোট ৮২ জন লড়ছেন। ইতিমধ্যে রায়পুরার মুছাপুর, মির্জাপুরহ বিভিন্ন ইউপির বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটাররা। তবে প্রশাসন বলছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার সারা দিন প্রার্থী ও সমর্থকেরা শেষ পর্যায়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনার সঙ্গে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা রকমের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনী এলাকার চায়ের দোকানসহ সর্বত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা রকম আলোচনা। তফসিল অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতে প্রচার প্রচার শেষ হয়।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ইউপিতেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী এবং দলের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের একাংশ বলছেন, বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন অনেক আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে দলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কথা হয় কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে। তাঁদের কথাতেও নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠার প্রকাশ পেয়েছে।
রাধানগর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম (চশমা) বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। চশমা প্রতীকে যারা ভোট দেবে তাঁদের দেখে নেওয়ারও হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে আমি চিন্তিত। প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
নৌকার প্রার্থী মো. আবদুস সাদেক বলেন, ‘আমার ইউপিতে বেশির ভাগ নেতা–কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এখানে দুই বিদ্রোহীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষসহ আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর হয়েছে। দলীয় কর্মীরা সহযোগিতা করছেন না বলে, আমি জয় নিয়ে চিন্তিত।’
রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। নৌকার বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ নেই। দলের বিরোধিতা করায় ইতিমধ্যে জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে দোষীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার সদর ও রায়পুরা উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হবে। তবে ভোটের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো হবে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। এখনো পর্যন্ত প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া মাত্র পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
নরসিংদীতে দুই উপজেলায় ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১০টি ও রায়পুরায় ১২টি ইউপি রয়েছে।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে রায়পুরায় ৫১ জন, নরসিংদী সদরে ৩১ জনসহ মোট ৮২ জন লড়ছেন। ইতিমধ্যে রায়পুরার মুছাপুর, মির্জাপুরহ বিভিন্ন ইউপির বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটাররা। তবে প্রশাসন বলছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার সারা দিন প্রার্থী ও সমর্থকেরা শেষ পর্যায়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনার সঙ্গে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা রকমের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনী এলাকার চায়ের দোকানসহ সর্বত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা রকম আলোচনা। তফসিল অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতে প্রচার প্রচার শেষ হয়।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ইউপিতেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী এবং দলের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের একাংশ বলছেন, বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন অনেক আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে দলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কথা হয় কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে। তাঁদের কথাতেও নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠার প্রকাশ পেয়েছে।
রাধানগর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম (চশমা) বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। চশমা প্রতীকে যারা ভোট দেবে তাঁদের দেখে নেওয়ারও হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে আমি চিন্তিত। প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
নৌকার প্রার্থী মো. আবদুস সাদেক বলেন, ‘আমার ইউপিতে বেশির ভাগ নেতা–কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এখানে দুই বিদ্রোহীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষসহ আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর হয়েছে। দলীয় কর্মীরা সহযোগিতা করছেন না বলে, আমি জয় নিয়ে চিন্তিত।’
রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। নৌকার বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ নেই। দলের বিরোধিতা করায় ইতিমধ্যে জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে দোষীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার সদর ও রায়পুরা উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হবে। তবে ভোটের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো হবে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। এখনো পর্যন্ত প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া মাত্র পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪