Ajker Patrika

বীরশ্রেষ্ঠকে সমাহিত করায় সম্মানিত হলেন দয়াল চাকমা

নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১০: ১৯
Thumbnail image

মহান মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে একজন শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। নৌপথে রাঙামাটি সদরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের পাশে শায়িত এই বীরশ্রেষ্ঠ।

জেলার নানিয়ারচরের বুড়িঘাট এলাকায় ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন মুন্সী আব্দুর রউফ। পরের দিন এই বীরশ্রেষ্ঠকে তাৎক্ষণিক সম্মান প্রদর্শন করে সমাহিত করেন দয়াল কৃষ্ণ চাকমা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।

এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে দয়াল কৃষ্ণ চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক দিয়েছে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন।

দয়াল কৃষ্ণ চাকমা নানিয়ারচরের বুড়িঘাটের ভাঙামুড়া গ্রামের ঈশ্বর চন্দ্র চাকমার ছেলে।

স্বাধীনতা দিবসে গতকাল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়ে। এ ছাড়া সকালে উপজেলা পরিষদের মাঠে কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও আলোচনা সভা হয়। পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে সমাহিত করা দয়াল চাকমাকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

দয়াল কৃষ্ণ চাকমা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফকে সমাহিত করতে পেরে নিজেকে মহাভাগ্যবান মনে করেন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিলের ওই যুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি। সেদিন পাহাড়ি জঙ্গলের একটি গাছে উঠে যুদ্ধ দেখছিলেন তিনি। শহীদ হওয়ার একদিন পর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের পবিত্র মরদেহ খুঁজে এনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাহিত করেন। স্বজাতির বা রক্তের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও সেই থেকে দিনের পর দিন শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলটি পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ায় সমাধিস্থলটি বর্তমানে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন দয়াল কৃষ্ণ চাকমার সন্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত