আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এশিয়ার বড় অর্থনীতির কিছু দেশে জন্মহার কমে যাওয়াটা অন্যতম উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতা বদলাতে দেশগুলোর সরকার কয়েক শ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
জাপান ১৯৯০-এর দশকে দম্পতিদের অধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে নীতি গ্রহণ করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়া একই ধরনের নীতি নিয়েছিল এ শতকের শূন্য দশকে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ১৯৮৭ সালের দিকে প্রজনন নীতি গ্রহণ করেছিল।
এদিকে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমে যাওয়া চীন সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বাড়ানোর ‘ক্লাবে’ যোগ দিয়েছে।
এসব নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন দেশ কত খরচ করেছে, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সম্প্রতি বলেছেন, জনসংখ্যা বাড়াতে তাঁর দেশ গত ১৬ বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। তা সত্ত্বেও গত বছর দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রজনন হারের নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে। সেখানে নারীপ্রতি সন্তান ধারণের গড় সংখ্যা ০.৭৮-এ নেমে এসেছে।
প্রতিবেশী জাপানে গত বছর ৮ লাখের কম শিশু জন্মের রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি শিশুসংক্রান্ত নীতির বাজেট দ্বিগুণ করে ৭৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশের সামান্য বেশি।
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের অনেক দেশ যখন জন্মহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, সেখানে কিছু দেশ ১৯৭৬ সাল থেকে প্রজনন হার তিন গুণের বেশি করতে চাইছে।
প্রশ্ন হলো, কেন তাহলে এসব দেশ জনসংখ্যা বাড়াতে চায়?
এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, জনসংখ্যা বাড়লে তারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি পণ্য ও সেবা উৎপাদন করবে।
একদিকে বড় জনসংখ্যা মানে সরকারের জন্য উচ্চ ব্যয় হলেও এতে কর রাজস্বও বেশি বাড়ে।
এ ছাড়া এশিয়ার অনেক দেশে বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী দ্রুতগতিতে বাড়ছে। জাপানে এখন ষাটোর্ধ্ব মানুষ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই হিসাবে খুব একটা পিছিয়ে নেই আরও কয়েকটি দেশ।
এ চিত্র ভারতের সঙ্গে তুলনা করা যাক, যেটি সবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এখন ১০ এবং ২০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী এক-তৃতীয়াংশের বেশি। এটি দেশটির প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়। এটা একটা দিক।
আরেকটা দিক হলো, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশ ছোট হয়ে এলে অবসরভোগী জনগোষ্ঠীর ব্যয় ও দেখাশোনার বোঝাও বেড়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণাত্মক জন্মহার সম্মিলিতভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। জন্মহার বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলজুড়ে বেশির ভাগ ব্যবস্থা একই রকম। সেগুলো হলো, নতুন দম্পতির জন্য অর্থ প্রদান, ভর্তুকি বা বিনা মূল্যে শিক্ষা, বাড়তি সেবাযত্ন, কর প্রণোদনা এবং সন্তান জন্মের পরপর পিতামাতার ছুটি বাড়ানো।
তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের গত কয়েক দশকের তথ্য বলছে, দেশগুলোয় নেওয়া জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা ও নীতিগুলোর খুব কমই প্রভাব রয়েছে। জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের নীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও একই ধরনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে।
এশিয়ার বড় অর্থনীতির কিছু দেশে জন্মহার কমে যাওয়াটা অন্যতম উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতা বদলাতে দেশগুলোর সরকার কয়েক শ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
জাপান ১৯৯০-এর দশকে দম্পতিদের অধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে নীতি গ্রহণ করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়া একই ধরনের নীতি নিয়েছিল এ শতকের শূন্য দশকে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ১৯৮৭ সালের দিকে প্রজনন নীতি গ্রহণ করেছিল।
এদিকে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমে যাওয়া চীন সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বাড়ানোর ‘ক্লাবে’ যোগ দিয়েছে।
এসব নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন দেশ কত খরচ করেছে, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সম্প্রতি বলেছেন, জনসংখ্যা বাড়াতে তাঁর দেশ গত ১৬ বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। তা সত্ত্বেও গত বছর দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রজনন হারের নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে। সেখানে নারীপ্রতি সন্তান ধারণের গড় সংখ্যা ০.৭৮-এ নেমে এসেছে।
প্রতিবেশী জাপানে গত বছর ৮ লাখের কম শিশু জন্মের রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি শিশুসংক্রান্ত নীতির বাজেট দ্বিগুণ করে ৭৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশের সামান্য বেশি।
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের অনেক দেশ যখন জন্মহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, সেখানে কিছু দেশ ১৯৭৬ সাল থেকে প্রজনন হার তিন গুণের বেশি করতে চাইছে।
প্রশ্ন হলো, কেন তাহলে এসব দেশ জনসংখ্যা বাড়াতে চায়?
এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, জনসংখ্যা বাড়লে তারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি পণ্য ও সেবা উৎপাদন করবে।
একদিকে বড় জনসংখ্যা মানে সরকারের জন্য উচ্চ ব্যয় হলেও এতে কর রাজস্বও বেশি বাড়ে।
এ ছাড়া এশিয়ার অনেক দেশে বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী দ্রুতগতিতে বাড়ছে। জাপানে এখন ষাটোর্ধ্ব মানুষ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই হিসাবে খুব একটা পিছিয়ে নেই আরও কয়েকটি দেশ।
এ চিত্র ভারতের সঙ্গে তুলনা করা যাক, যেটি সবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এখন ১০ এবং ২০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী এক-তৃতীয়াংশের বেশি। এটি দেশটির প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়। এটা একটা দিক।
আরেকটা দিক হলো, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশ ছোট হয়ে এলে অবসরভোগী জনগোষ্ঠীর ব্যয় ও দেখাশোনার বোঝাও বেড়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণাত্মক জন্মহার সম্মিলিতভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। জন্মহার বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলজুড়ে বেশির ভাগ ব্যবস্থা একই রকম। সেগুলো হলো, নতুন দম্পতির জন্য অর্থ প্রদান, ভর্তুকি বা বিনা মূল্যে শিক্ষা, বাড়তি সেবাযত্ন, কর প্রণোদনা এবং সন্তান জন্মের পরপর পিতামাতার ছুটি বাড়ানো।
তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের গত কয়েক দশকের তথ্য বলছে, দেশগুলোয় নেওয়া জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা ও নীতিগুলোর খুব কমই প্রভাব রয়েছে। জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের নীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও একই ধরনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৬ ঘণ্টা আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২৪ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫