জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার হাজারো পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, বসতভিটা, মৎস্য খাতসহ প্রায় সবকিছুই। মধ্যবিত্তরা বন্যার ধকল মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পারলেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ৪৫ হাজার ২৮৮টি বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। এই সংকটের সময় এনজিওর কিস্তি দিতে হচ্ছে বানভাসি ক্ষতিগ্রস্তদেরও।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি বিষয় বিবেচনা করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও ঋণ আদায় আপাতত স্থগিত রাখতে সার্কুলার দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলো তা মানছে না।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইকবালনগর গ্রামে কয়েকজন ঋণ গ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবারও দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাঠকর্মীরা কিস্তির টাকা নিতে এসেছিলেন। এবারের বন্যায় ইকবালনগর গ্রামের প্রায় ৯৭ শতাংশ বসতভিটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের ৬৫টি পরিবারের মধ্যে কয়েকটি পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হলেও অধিকাংশই সহায়তার আওতায় আসেনি। তবে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কথা জানাল প্রশাসন।
ওই গ্রামের রোকেয়া বেগম বললেন, ‘বন্যায় ঘরটাও ভাসাইয়া নিছেগি। ওখনো ঘর ঠিক করতাম পারছি না। এর মাঝে এনজিও থাইকা ঋণ আনছিলাম। এই ঋণের কিস্তির লাগি সাপ্তায় সাপ্তায় তারা আইন। কাম করি আর যাই করি কিস্তি তারাদের দেওয়াই লাগব। কিস্তির টেকা না দিলে পরে আর ঋণ দিত না।’
একই গ্রামের আছিয়া আক্তার দুই সন্তান আর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্বামী নিয়ে বাস করছেন। বন্যায় বসতভিটাও ভেঙে গেছে। দুটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহেই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়।
গত ১৬ জুনের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। একতলা বা একচালা বাড়ি ডুবে যায়। ফসলি জমি, ঘরের গোলার ধানসহ সবকিছুই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিপুলসংখ্যক গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে। খামারের মাছ, পোলট্রি খামারিসহ সব পেশার মানুষই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ভেসে ও ভেঙে যায়। দোতলা বাড়ি, সরকারি দোতলা অফিস-আদালত ও হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচায় মানুষ। দেড় মাসেরও বেশি সময় পরও এখনো মানুষের কাজ নেই। বেশির ভাগ ভেসে যাওয়া ঘর মেরামত করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো আপাতত মেরামত করে কোনোভাবে কিছু এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে এনজিওর কিস্তির ঋণের চাপ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য।
ইকবালনগর গ্রামের বুরহান আলী বলেন, ‘বন্যার পর এখন পর্যন্ত ঠিকমতো কাজ-কাম করতাম পারতাছি না। পেট চালানোই এখন আমরার কষ্ট ওই গেছে। এর মাঝে কিস্তির টেকাও দেওন লাগে। কিস্তি না দিলে তারা (এনজিও) ঘর থাকি যায় না। সুদে (মহাজনি) ঋণ কইরা আইন্না কিস্তির টেকা দেওয়া লাগের।’
কিস্তি নেওয়ার বিষয়ে ব্র্যাক সুনামগঞ্জ-এর রিজিওনাল ম্যানেজার একে আজাদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা আছে কিস্তি না নেওয়ার। যারা কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে আমরা তাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিচ্ছি না।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন, ‘সার্কুলার আছে সেপ্টেম্বর মাসের আগে কোনো এনজিও কিস্তি নিতে পারবে না। এরপরেও কিস্তি নেওয়ার অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার হাজারো পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, বসতভিটা, মৎস্য খাতসহ প্রায় সবকিছুই। মধ্যবিত্তরা বন্যার ধকল মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পারলেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ৪৫ হাজার ২৮৮টি বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। এই সংকটের সময় এনজিওর কিস্তি দিতে হচ্ছে বানভাসি ক্ষতিগ্রস্তদেরও।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি বিষয় বিবেচনা করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও ঋণ আদায় আপাতত স্থগিত রাখতে সার্কুলার দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলো তা মানছে না।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইকবালনগর গ্রামে কয়েকজন ঋণ গ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবারও দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাঠকর্মীরা কিস্তির টাকা নিতে এসেছিলেন। এবারের বন্যায় ইকবালনগর গ্রামের প্রায় ৯৭ শতাংশ বসতভিটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের ৬৫টি পরিবারের মধ্যে কয়েকটি পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হলেও অধিকাংশই সহায়তার আওতায় আসেনি। তবে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কথা জানাল প্রশাসন।
ওই গ্রামের রোকেয়া বেগম বললেন, ‘বন্যায় ঘরটাও ভাসাইয়া নিছেগি। ওখনো ঘর ঠিক করতাম পারছি না। এর মাঝে এনজিও থাইকা ঋণ আনছিলাম। এই ঋণের কিস্তির লাগি সাপ্তায় সাপ্তায় তারা আইন। কাম করি আর যাই করি কিস্তি তারাদের দেওয়াই লাগব। কিস্তির টেকা না দিলে পরে আর ঋণ দিত না।’
একই গ্রামের আছিয়া আক্তার দুই সন্তান আর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্বামী নিয়ে বাস করছেন। বন্যায় বসতভিটাও ভেঙে গেছে। দুটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহেই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়।
গত ১৬ জুনের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। একতলা বা একচালা বাড়ি ডুবে যায়। ফসলি জমি, ঘরের গোলার ধানসহ সবকিছুই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিপুলসংখ্যক গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে। খামারের মাছ, পোলট্রি খামারিসহ সব পেশার মানুষই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ভেসে ও ভেঙে যায়। দোতলা বাড়ি, সরকারি দোতলা অফিস-আদালত ও হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচায় মানুষ। দেড় মাসেরও বেশি সময় পরও এখনো মানুষের কাজ নেই। বেশির ভাগ ভেসে যাওয়া ঘর মেরামত করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো আপাতত মেরামত করে কোনোভাবে কিছু এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে এনজিওর কিস্তির ঋণের চাপ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য।
ইকবালনগর গ্রামের বুরহান আলী বলেন, ‘বন্যার পর এখন পর্যন্ত ঠিকমতো কাজ-কাম করতাম পারতাছি না। পেট চালানোই এখন আমরার কষ্ট ওই গেছে। এর মাঝে কিস্তির টেকাও দেওন লাগে। কিস্তি না দিলে তারা (এনজিও) ঘর থাকি যায় না। সুদে (মহাজনি) ঋণ কইরা আইন্না কিস্তির টেকা দেওয়া লাগের।’
কিস্তি নেওয়ার বিষয়ে ব্র্যাক সুনামগঞ্জ-এর রিজিওনাল ম্যানেজার একে আজাদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা আছে কিস্তি না নেওয়ার। যারা কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে আমরা তাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিচ্ছি না।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন, ‘সার্কুলার আছে সেপ্টেম্বর মাসের আগে কোনো এনজিও কিস্তি নিতে পারবে না। এরপরেও কিস্তি নেওয়ার অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪