Ajker Patrika

ত্রিশালে বিদ্রোহে কোণঠাসা আওয়ামী লীগের প্রার্থী রা

সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১০
ত্রিশালে বিদ্রোহে কোণঠাসা আওয়ামী লীগের প্রার্থী রা

আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম ত্রিশাল। উপজেলার ১২ ইউপির কয়েকটিতে প্রচারণায় বাধা ও হুমকির অভিযোগও রয়েছে। নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী ক্যাম্প ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন বলে জানা গেছে। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও ততই বাড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ত্রিশালের ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগেরই নেতারা। এই বিদ্রোহীরা নৌকার প্রার্থীর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কোথাও কোথাও নৌকার প্রার্থীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলেও খবর মিলেছে। প্রায় প্রতিটি ইউপিতে নৌকার বিপক্ষে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী লড়ছেন। ফলে অনেক ইউপিতে নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সতর্কবার্তা এবং বহিষ্কার করা হলেও তা তেমন কাজে আসেনি।

জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নে নৌকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা একে অপরের ওপর হামলা ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেন। মঠবাড়ীতে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে। একজন বিদ্রোহী প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাঁর কর্মীদের রাতের অন্ধকারে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তবে নৌকার প্রার্থী এ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করেছেন।

সাখুয়া ইউপির এক প্রার্থী অভিযোগ করেন, এক প্রার্থী ৫-৭ শ লোক নিয়ে গভীর রাতে দা, লাঠি নিয়ে রাত একটার পর নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে। পরে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িঘরে পুলিশ পাঠিয়েছে এবং তল্লাশি চালিয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন দুটি কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তবে ওই প্রার্থী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার শেখ বাজারের মিটিংয়ের মূল আয়োজককে মেরে নাক, মুখ ফুলিয়ে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে।’

আরেক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রার্থী জানান, তাঁর তিনটি কার্যালয়ের মধ্যে একটি কিছু দুর্বৃত্ত গভীর রাতে ভেঙে দিয়েছে। তারা চিহ্নিত। থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি করেন তিনি তিনি।

একটি ইউপির নৌকার প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কালো টাকার ছড়াছড়ি ও বহিরাগতদের আগমন বাড়ছে তাঁর ইউপিতে।

তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। নির্বাচন যেভাবে হওয়ার কথা, যেভাবে হওয়ার নিয়ম, সেভাবেই হবে। কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় এবং নির্বাচনকে কলুষিত করার মতো যাতে কিছু না ঘটে, সে জন্য জেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব বাহিনী সচেষ্ট থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

গোপনে ১৯০ মিলিয়ন ডলারের নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত