রফিকুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ শূন্য থাকায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানের দিনগুলোতে জনবলসংকট থাকছে। এ কারণে শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মাকে টিকা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সহকারী পদে আর নিয়োগ হয়নি। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীর ৩৫টি পদের বিপরীতে ১৩টি পদও আর পূরণ হয়নি। সে জন্য কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাড়াশের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইপিআই কর্মসূচির আওতায় সরকার বিনা মূল্যে ০-১৮ মাস শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মাদের জন্য যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুবেলা এই নয়টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ১৫-৪৯ বছরের নারীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচটি ডোজ টিটি টিকাও দেওয়া হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। কিন্তু প্রায় ৮ বছর ধরে টিকাদান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন করা স্বাস্থ্য সহকারীর ৩৫টি পদের বিপরীতে ১৩টি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে জনবলসংকটে পড়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।
ওই হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে শিশুকে টিকা দিতে আসা তাড়াশ সদরের মৃনাল সরকার বলেন, ‘সকালে আমার শিশুকন্যাকে টিকাদানের জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু টিকাদান কেন্দ্রে একজনমাত্র স্বাস্থ্য সহকারী টিকা প্রয়োগ করছিলেন। সেখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এ ছাড়া অনেক শিশু, মা ও কিশোরীকে টিকা নিতে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। অথচ নারীদের বাসায় অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু টিকা নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
মূলত রোববার ও বুধবার টিকাদানের নির্ধারিত দিনে জনবলসংকটের কারণে টিকাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি বর্তমানে অনেক বেড়েছে।এমনটি জানিয়েছেন পৌর এলাকার শিলা রানী ঘোষ।
তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য হাসপাতালের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্য সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যাও। কিন্তু বাড়েনি স্বাস্থ্য সহকারীর পদ। আর এ উপজেলায় ৩৫ জনের স্থলে আমরা ২২ স্বাস্থ্য সহকারী কাজ করছি। জনবল সংকটের কারণে আমাদের রেশনিং পদ্ধতিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদানের কাজ করতে হচ্ছে। এতে টিকাদানে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের শুধু টিকাদানই নয়, সপ্তাহে আরও তিন দিন বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়।’
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সালের পর সরকারিভাবেই স্বাস্থ্য সহকারী পদে আর কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে তাড়াশ উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদও আর পূরণ হয়নি। তারপরও স্বাস্থ্য সহকারীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ শূন্য থাকায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানের দিনগুলোতে জনবলসংকট থাকছে। এ কারণে শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মাকে টিকা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সহকারী পদে আর নিয়োগ হয়নি। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীর ৩৫টি পদের বিপরীতে ১৩টি পদও আর পূরণ হয়নি। সে জন্য কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাড়াশের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইপিআই কর্মসূচির আওতায় সরকার বিনা মূল্যে ০-১৮ মাস শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মাদের জন্য যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুবেলা এই নয়টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ১৫-৪৯ বছরের নারীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচটি ডোজ টিটি টিকাও দেওয়া হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। কিন্তু প্রায় ৮ বছর ধরে টিকাদান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন করা স্বাস্থ্য সহকারীর ৩৫টি পদের বিপরীতে ১৩টি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে জনবলসংকটে পড়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।
ওই হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে শিশুকে টিকা দিতে আসা তাড়াশ সদরের মৃনাল সরকার বলেন, ‘সকালে আমার শিশুকন্যাকে টিকাদানের জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু টিকাদান কেন্দ্রে একজনমাত্র স্বাস্থ্য সহকারী টিকা প্রয়োগ করছিলেন। সেখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এ ছাড়া অনেক শিশু, মা ও কিশোরীকে টিকা নিতে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। অথচ নারীদের বাসায় অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু টিকা নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
মূলত রোববার ও বুধবার টিকাদানের নির্ধারিত দিনে জনবলসংকটের কারণে টিকাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি বর্তমানে অনেক বেড়েছে।এমনটি জানিয়েছেন পৌর এলাকার শিলা রানী ঘোষ।
তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য হাসপাতালের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্য সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যাও। কিন্তু বাড়েনি স্বাস্থ্য সহকারীর পদ। আর এ উপজেলায় ৩৫ জনের স্থলে আমরা ২২ স্বাস্থ্য সহকারী কাজ করছি। জনবল সংকটের কারণে আমাদের রেশনিং পদ্ধতিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদানের কাজ করতে হচ্ছে। এতে টিকাদানে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের শুধু টিকাদানই নয়, সপ্তাহে আরও তিন দিন বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়।’
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সালের পর সরকারিভাবেই স্বাস্থ্য সহকারী পদে আর কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে তাড়াশ উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদও আর পূরণ হয়নি। তারপরও স্বাস্থ্য সহকারীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪