Ajker Patrika

পোশাক খাত নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন নয় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৫৮
পোশাক খাত নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন নয় বিজিএমইএ

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নন উদ্যোক্তারা। কারণ এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিজিএমইএ সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফলে কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

গতকাল অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

ফারুক হাসান বলেন, ‘বর্তমান কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেওয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পরে যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো। বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে বিজিএমইএ ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করবে। তবে পোশাকমালিকেরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করবে।’

যুক্তরাষ্টের বাজারে জিএসপি বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বৃহত্তম এই বাজারে তৈরি পোশাক জিএসপি-সুবিধা পেত না। এখনো পাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল, সেগুলো পোশাক মালিক ও সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কমপ্লায়েন্স বা নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এ দেশের উদ্যোক্তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। ১৫৩টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে দেশে।’

করোনার প্রভাব মোকাবিলার প্রণোদনার ঋণ পরিশোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক কারখানা ইতিমধ্যে ঋণের কিস্তি দেওয়া শুরু করেছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠান পারছে না। কারণ ওসব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতারা মূল্য পরিশোধ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত