সম্পাদকীয়
রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পকার ছিলেন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের ধাত্রী গ্রামে, মাতুলালয়ে। তবে পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলি জেলার গুরুপ গ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে তিনি বাংলাদেশের জামালপুর হাইস্কুল থেকে ১৮৮৮ সালে এন্ট্রান্স, ১৮৯১ সালে পাটনা কলেজ থেকে এফএ এবং ১৮৯৫ সালে বিএ পাস করেন। ১৯০১ সালে তিনি আইন পড়তে বিলেত যান এবং ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯০৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
ছাত্রাবস্থায় তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ‘শ্রীমতী রাধামণি দেবী’ ও ‘শ্রীজানোয়ারচন্দ্র শর্মা’ ছদ্মনামে লিখতেন। জগদিন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ‘মানসী ও মর্মবাণী’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। মূলত গল্পকার এবং কিছুটা ঔপন্যাসিক হিসেবেই বাংলা সাহিত্যে তাঁর পদচারণ। ‘ভারতী’, ‘দাসী’, ‘প্রদীপ’-এর মতো পত্রিকায় তাঁর লেখালেখির শুরু।
সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে ‘ভারতী’ পত্রিকার একটা বড় ভূমিকা ছিল। এখানে নিয়মিত লিখতে লিখতেই তিনি পাঠকসমাজে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। হয়ে ওঠেন পত্রিকার একজন বিশিষ্ট লেখক। ছোটগল্প লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। সরল, অনাবিল ও লঘু ভঙ্গিতে গভীরতম জীবন বিশ্লেষণ তাঁর গল্পের বৈশিষ্ট্য। তিনি শতাধিক গল্প লিখেছেন। তাঁর প্রধান কয়েকটি গল্পগ্রন্থ হলো: নবকথা (১৮৯৯), ষোড়শী (১৯০৬), গল্পাঞ্জলি (১৯১৩), গল্পবীথি (১৯১৬), পত্রপুষ্প (১৯১৭) ও নূতন বউ (১৯২৯)। বিদেশি সাহিত্যেও তাঁর অসামান্য দখল ছিল। প্রমথ চৌধুরী তাঁকে ফরাসি সাহিত্যিক গি দ্য মপাসাঁর সঙ্গে তুলনা করে ‘বাংলা গল্পের মপাসাঁ’ বলেছিলেন।
প্রভাতকুমার মোট ১৪টি উপন্যাস রচনা করেছেন। তার মধ্যে ‘রত্নদীপ’ শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। এই উপন্যাস নিয়ে নাটক ও চলচ্চিত্রও জনপ্রিয় হয়েছিল।
১৯৩২ সালের ৫ এপ্রিল কলকাতায় এই সাহিত্যিকের মৃত্যু হয়।
রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পকার ছিলেন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের ধাত্রী গ্রামে, মাতুলালয়ে। তবে পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলি জেলার গুরুপ গ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে তিনি বাংলাদেশের জামালপুর হাইস্কুল থেকে ১৮৮৮ সালে এন্ট্রান্স, ১৮৯১ সালে পাটনা কলেজ থেকে এফএ এবং ১৮৯৫ সালে বিএ পাস করেন। ১৯০১ সালে তিনি আইন পড়তে বিলেত যান এবং ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯০৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
ছাত্রাবস্থায় তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ‘শ্রীমতী রাধামণি দেবী’ ও ‘শ্রীজানোয়ারচন্দ্র শর্মা’ ছদ্মনামে লিখতেন। জগদিন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ‘মানসী ও মর্মবাণী’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। মূলত গল্পকার এবং কিছুটা ঔপন্যাসিক হিসেবেই বাংলা সাহিত্যে তাঁর পদচারণ। ‘ভারতী’, ‘দাসী’, ‘প্রদীপ’-এর মতো পত্রিকায় তাঁর লেখালেখির শুরু।
সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে ‘ভারতী’ পত্রিকার একটা বড় ভূমিকা ছিল। এখানে নিয়মিত লিখতে লিখতেই তিনি পাঠকসমাজে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। হয়ে ওঠেন পত্রিকার একজন বিশিষ্ট লেখক। ছোটগল্প লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। সরল, অনাবিল ও লঘু ভঙ্গিতে গভীরতম জীবন বিশ্লেষণ তাঁর গল্পের বৈশিষ্ট্য। তিনি শতাধিক গল্প লিখেছেন। তাঁর প্রধান কয়েকটি গল্পগ্রন্থ হলো: নবকথা (১৮৯৯), ষোড়শী (১৯০৬), গল্পাঞ্জলি (১৯১৩), গল্পবীথি (১৯১৬), পত্রপুষ্প (১৯১৭) ও নূতন বউ (১৯২৯)। বিদেশি সাহিত্যেও তাঁর অসামান্য দখল ছিল। প্রমথ চৌধুরী তাঁকে ফরাসি সাহিত্যিক গি দ্য মপাসাঁর সঙ্গে তুলনা করে ‘বাংলা গল্পের মপাসাঁ’ বলেছিলেন।
প্রভাতকুমার মোট ১৪টি উপন্যাস রচনা করেছেন। তার মধ্যে ‘রত্নদীপ’ শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। এই উপন্যাস নিয়ে নাটক ও চলচ্চিত্রও জনপ্রিয় হয়েছিল।
১৯৩২ সালের ৫ এপ্রিল কলকাতায় এই সাহিত্যিকের মৃত্যু হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫