পবিত্র কুন্ডু

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
ক্রিকেটের ২২ গজে পা থাকতেই রাজনীতির জটিল আর লম্বা ইনিংস খেলতে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। নতুন এই ইনিংসটা কেমন যাবে তাঁর?
নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্যামেরার সামনে, খবরের কাগজের হরফে নিজেই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটের মতো রাজনীতিতেও সেরা অলরাউন্ডার হতে চান। এটা তাঁর আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ নিলে তাঁর চেয়ে আনন্দদায়ী আর কিছু হবে না। যে রাজনীতি জনতার, সেটি লাভবান হবে। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণের, সেটি উপকৃত হবে। কিন্তু ইদানীং যে রাজনীতি ক্ষমতার দম্ভ দেখায়, নিজের কিংবা পরিবারের স্বার্থসিদ্ধির উপায় হয়ে ওঠে, সেই রাজনীতির বৃত্তে ঢুকে পড়লেই মুশকিল। তখন এই তারকা-দ্যুতি গলে গলে পড়বে কাদার মতো। দুই কূল উপচানো মানুষের ভালোবাসার ঢেউ মিলিয়ে যাবে গহিন চড়ায়।
এই উপমহাদেশে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে আগেও আমরা দেখেছি অনেককে। ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, সনাৎ জয়াসুরিয়া, আজহারউদ্দিন, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, নভজ্যোত সিং সিধু, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা। গত বছর বাংলাদেশে বিপিএল খেলতে এসে সাকিবের আগে সদ্য উদাহরণটি গড়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার।
এতগুলো নামের মিছিলে পাকিস্তানের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার ইমরান খানই শুধু নিজেই নিজের পথ তৈরি করে হেঁটেছেন। নির্বাচনে জিতে পরে হয়েছেন দেশের সরকারপ্রধান। বাকিরা প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রণে মেকশিফট ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার।
তবে সাকিব ইমরান খানের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ড কীর্তি গড়লেও ইমরানের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে পড়বেন না কখনোই। কারণ, রাজনীতির পথটা তিনি নিজে তৈরি করেননি। তিনি হতে পারেন রানাতুঙ্গার মতো, জয়াসুরিয়া-আজাদ-আজহার বা সিধুর মতো। হতে পারেন হাতের কাছের উদাহরণ দুর্জয় বা মাশরাফির মতো। এমনকি গৌতম গম্ভীরের মতো, যিনি ক্রিকেট ছেড়ে এসেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন। আইপিএলের দলের মেন্টর ও উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণে-অকারণে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন কোনো ক্রিকেট তারকার সঙ্গে।
সাকিব কি মাশরাফির মতো হবেন? যিনি নিজের নির্বাচনী এলাকার গ্রামীণ জনপদে গিয়ে একটা রবিনহুড ইমেজ দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। গ্রামের সহজ-সরল অভাবী মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশে যাচ্ছেন, তা আমরা দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অজস্র ছবিতে। মাশরাফির মতো হতে পারা সহজ নয়।
তবে আপাত যে পরিস্থিতি তাঁর সামনে, সেটি জটিল। এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন সংস্করণেরই তিনি অধিনায়ক। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বিপিএল দিয়ে তিন মাস পর ক্রিকেটে নেমে পড়বেন কদিন পর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি দলে দুই মৌসুম খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আসন্ন মৌসুমটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য ব্যস্ততম। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন, না ২২ গজে থাকবেন, সেটি এক প্রশ্ন বটে। দুই ফ্রন্ট সামলে চলা খুব কঠিন। রাজনীতির মাঠ খণ্ডকালীন তো নয়।
প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি আছে সাকিবের ওপর। অনেক প্রাপ্তির হাতছানিই হয়তো দেখছেন সামনে। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর চোখ ক্রিকেট বোর্ডের বড় চেয়ারটির দিকে। দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে একটা ঝাঁকুনি দরকার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ক্রিকেট মাঠের অবিচল এই যোদ্ধা, সেই ঝাঁকুনিটা দেওয়ার ক্ষমতা তো রাখেনই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো সভাপতি তার মধ্যে দেখতে চাইবে না, যিনি হররোজ ক্রিকেটের সবকিছু নিয়ে কথা বলবেন। যিনি ক্রিকেটের অবকাঠামো ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত না করে ওপরতলে বসে সবকিছুতে নাক গলাবেন।
ক্রিকেট আর রাজনীতি এক নয়। ক্রিকেটে যেমন বলে, ডিফারেন্ট বল গেম—এ কদিনেই সাকিব সেটি বুঝে ফেলেছেন। ক্রিকেটে কাকভোরে অনুশীলনে গিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ কিংবা আজকাল দিবারাত্রির ক্রিকেটের চাহিদা অনুযায়ী একটি ম্যাচ ডে-তে ১০ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো কাজ শেষ করা সম্ভব। কিন্তু রাজনীতিটা সারাক্ষণ, টোয়েন্টিফোর সেভেন।
নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে সাতসকালের সাকিব আর মাঝরাতে ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখের হাই তোলা সাকিবকে দেখে মনে হয়েছে, রাজনীতির দীর্ঘ, জটিল এবং স্নায়ুক্ষয়ী প্রতীক্ষার প্রান্তর তাঁকে কতটা ক্লান্তি দিতে শুরু করেছে। তবে ভালোবাসার তৃপ্তিও যে পাননি, তা নয়।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান অব দ্য ম্যাচের মতো প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাঠে প্রত্যাশিতভাবেই ভূমিধস বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সাকিব। অনেক ভোটারের সঙ্গেই কথা হয়েছে, যাঁরা ভোট দিয়ে বলেছেন, এমপি সাহেবকে আমরা এ রকম কাছে পাব তো? এই প্রশ্ন, এই সংশয়, এই অনিশ্চয়তা এখন মাগুরা-শ্রীপুরের আকাশে সবচেয়ে ঘনবদ্ধ মেঘের নাম। সাকিব সাধারণ মানুষের কাছে যে দূর আকাশের তারা।
তিনি আজ ঢাকায় তো কাল নিউইয়র্ক। পরশু দুবাই কিংবা লন্ডন। আজ তাঁকে মাগুরার নোমানী ময়দানে ক্ষণিকের জন্য পাওয়া গেলেও কালই তো দেখা যাবে টিভির পর্দায়!
সাকিব অবশ্য কথা দিয়েছেন, তিনি মাগুরাবাসীর পাশে থাকবেন। সু ও দুঃসময়ে। রাজনৈতিক বক্তৃতা রপ্ত করতে পারেননি। ‘জনসমাবেশ’ বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছেন। তবে খুব কাছে দাঁড়িয়ে মুখে সংক্রামক হাসি ছড়িয়ে তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘খুব ছেলেবেলায় মাগুরা থেকে দূরে গিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। এলাকায় যেহেতু ছিলাম না, আপনাদের উপকার করতে না পারলেও অপকার করিনি। এবার আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই। আশা করি সবাইকে পাশে পাব।’ জনতা আপ্লুত। প্রবীণেরা তাঁর মাথায় রাখছেন আশীর্বাদের হাত, অন্যদের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। শ্রীপুরে হিন্দুসম্প্রদায়ের এক নামযজ্ঞে গিয়ে তৃপ্তিসহকারে লুচি-লাবড়া খেয়ে বলেছেন, ‘এটা আমার ফেবারিট।’ মাঠের পাশে কৃষকদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছেন তাঁদের খাবার।
রাজনীতিতে এটা কেউ করেন মানুষকে দেখাতে, কেউ করেন অন্তর থেকে। একজন আরেকজনের অন্তরটা পড়তে অক্ষম। তবে তারকা সাকিব দ্বিতীয় দলে পড়লেই ভালো।
বন্ধু রাজীব গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে অমিতাভ বচ্চন রাজনীতিতে নেমেছিলেন। হেমমতি নন্দন বহুগুনার মতো রাজনীতির এক মহিরুহকে পরাজিত করে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ফিরে এসেছিলেন রুপালি পর্দায়, যেটা তাঁর আসল জায়গা। পদত্যাগ করে বলেছিলেন, রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন নেহাতই আবেগের বশে, ওটা তাঁর জায়গা নয়। অভিনয় আর ক্রিকেটটা পৃথক আসলে বয়সের সীমারেখায়। চাহিদা থাকলে অভিনয় আমরণ চালিয়ে যাওয়া যায়, পেশাদার ক্রিকেট নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায়, বিগ-বির মতো কাজ সাকিব করবেন না। তবে মানুষের আশা, সাকিব রাজনীতির মাঠে লম্বা ইনিংস খেলতেই এসেছেন। তিনি নিজেও বুঝে গেছেন, চাহিদা এখানে দিগন্তবিস্তৃত নয়। বেশি কিছু চায় না জনতা। একটু আশা, একটু ভরসা, আর আবেগের সঙ্গে বিবেকের সামান্য ভারসাম্য রক্ষা। এর আগে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে বোঝাপড়া। যা বস্তুত এ দেশের ক্রিকেটেরও একান্ত কামনা।
এত দিন মানুষের মন জিততে সাকিবের সামনে ছিল ২২ গজের বৃত্তাকার ভূমি। সেটি এখন বিশাল, বিস্তৃত এক প্রান্তর।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
ক্রিকেটের ২২ গজে পা থাকতেই রাজনীতির জটিল আর লম্বা ইনিংস খেলতে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। নতুন এই ইনিংসটা কেমন যাবে তাঁর?
নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্যামেরার সামনে, খবরের কাগজের হরফে নিজেই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটের মতো রাজনীতিতেও সেরা অলরাউন্ডার হতে চান। এটা তাঁর আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ নিলে তাঁর চেয়ে আনন্দদায়ী আর কিছু হবে না। যে রাজনীতি জনতার, সেটি লাভবান হবে। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণের, সেটি উপকৃত হবে। কিন্তু ইদানীং যে রাজনীতি ক্ষমতার দম্ভ দেখায়, নিজের কিংবা পরিবারের স্বার্থসিদ্ধির উপায় হয়ে ওঠে, সেই রাজনীতির বৃত্তে ঢুকে পড়লেই মুশকিল। তখন এই তারকা-দ্যুতি গলে গলে পড়বে কাদার মতো। দুই কূল উপচানো মানুষের ভালোবাসার ঢেউ মিলিয়ে যাবে গহিন চড়ায়।
এই উপমহাদেশে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে আগেও আমরা দেখেছি অনেককে। ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, সনাৎ জয়াসুরিয়া, আজহারউদ্দিন, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, নভজ্যোত সিং সিধু, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা। গত বছর বাংলাদেশে বিপিএল খেলতে এসে সাকিবের আগে সদ্য উদাহরণটি গড়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার।
এতগুলো নামের মিছিলে পাকিস্তানের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার ইমরান খানই শুধু নিজেই নিজের পথ তৈরি করে হেঁটেছেন। নির্বাচনে জিতে পরে হয়েছেন দেশের সরকারপ্রধান। বাকিরা প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রণে মেকশিফট ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার।
তবে সাকিব ইমরান খানের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ড কীর্তি গড়লেও ইমরানের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে পড়বেন না কখনোই। কারণ, রাজনীতির পথটা তিনি নিজে তৈরি করেননি। তিনি হতে পারেন রানাতুঙ্গার মতো, জয়াসুরিয়া-আজাদ-আজহার বা সিধুর মতো। হতে পারেন হাতের কাছের উদাহরণ দুর্জয় বা মাশরাফির মতো। এমনকি গৌতম গম্ভীরের মতো, যিনি ক্রিকেট ছেড়ে এসেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন। আইপিএলের দলের মেন্টর ও উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণে-অকারণে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন কোনো ক্রিকেট তারকার সঙ্গে।
সাকিব কি মাশরাফির মতো হবেন? যিনি নিজের নির্বাচনী এলাকার গ্রামীণ জনপদে গিয়ে একটা রবিনহুড ইমেজ দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। গ্রামের সহজ-সরল অভাবী মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশে যাচ্ছেন, তা আমরা দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অজস্র ছবিতে। মাশরাফির মতো হতে পারা সহজ নয়।
তবে আপাত যে পরিস্থিতি তাঁর সামনে, সেটি জটিল। এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন সংস্করণেরই তিনি অধিনায়ক। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বিপিএল দিয়ে তিন মাস পর ক্রিকেটে নেমে পড়বেন কদিন পর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি দলে দুই মৌসুম খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আসন্ন মৌসুমটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য ব্যস্ততম। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন, না ২২ গজে থাকবেন, সেটি এক প্রশ্ন বটে। দুই ফ্রন্ট সামলে চলা খুব কঠিন। রাজনীতির মাঠ খণ্ডকালীন তো নয়।
প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি আছে সাকিবের ওপর। অনেক প্রাপ্তির হাতছানিই হয়তো দেখছেন সামনে। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর চোখ ক্রিকেট বোর্ডের বড় চেয়ারটির দিকে। দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে একটা ঝাঁকুনি দরকার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ক্রিকেট মাঠের অবিচল এই যোদ্ধা, সেই ঝাঁকুনিটা দেওয়ার ক্ষমতা তো রাখেনই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো সভাপতি তার মধ্যে দেখতে চাইবে না, যিনি হররোজ ক্রিকেটের সবকিছু নিয়ে কথা বলবেন। যিনি ক্রিকেটের অবকাঠামো ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত না করে ওপরতলে বসে সবকিছুতে নাক গলাবেন।
ক্রিকেট আর রাজনীতি এক নয়। ক্রিকেটে যেমন বলে, ডিফারেন্ট বল গেম—এ কদিনেই সাকিব সেটি বুঝে ফেলেছেন। ক্রিকেটে কাকভোরে অনুশীলনে গিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ কিংবা আজকাল দিবারাত্রির ক্রিকেটের চাহিদা অনুযায়ী একটি ম্যাচ ডে-তে ১০ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো কাজ শেষ করা সম্ভব। কিন্তু রাজনীতিটা সারাক্ষণ, টোয়েন্টিফোর সেভেন।
নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে সাতসকালের সাকিব আর মাঝরাতে ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখের হাই তোলা সাকিবকে দেখে মনে হয়েছে, রাজনীতির দীর্ঘ, জটিল এবং স্নায়ুক্ষয়ী প্রতীক্ষার প্রান্তর তাঁকে কতটা ক্লান্তি দিতে শুরু করেছে। তবে ভালোবাসার তৃপ্তিও যে পাননি, তা নয়।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান অব দ্য ম্যাচের মতো প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাঠে প্রত্যাশিতভাবেই ভূমিধস বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সাকিব। অনেক ভোটারের সঙ্গেই কথা হয়েছে, যাঁরা ভোট দিয়ে বলেছেন, এমপি সাহেবকে আমরা এ রকম কাছে পাব তো? এই প্রশ্ন, এই সংশয়, এই অনিশ্চয়তা এখন মাগুরা-শ্রীপুরের আকাশে সবচেয়ে ঘনবদ্ধ মেঘের নাম। সাকিব সাধারণ মানুষের কাছে যে দূর আকাশের তারা।
তিনি আজ ঢাকায় তো কাল নিউইয়র্ক। পরশু দুবাই কিংবা লন্ডন। আজ তাঁকে মাগুরার নোমানী ময়দানে ক্ষণিকের জন্য পাওয়া গেলেও কালই তো দেখা যাবে টিভির পর্দায়!
সাকিব অবশ্য কথা দিয়েছেন, তিনি মাগুরাবাসীর পাশে থাকবেন। সু ও দুঃসময়ে। রাজনৈতিক বক্তৃতা রপ্ত করতে পারেননি। ‘জনসমাবেশ’ বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছেন। তবে খুব কাছে দাঁড়িয়ে মুখে সংক্রামক হাসি ছড়িয়ে তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘খুব ছেলেবেলায় মাগুরা থেকে দূরে গিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। এলাকায় যেহেতু ছিলাম না, আপনাদের উপকার করতে না পারলেও অপকার করিনি। এবার আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই। আশা করি সবাইকে পাশে পাব।’ জনতা আপ্লুত। প্রবীণেরা তাঁর মাথায় রাখছেন আশীর্বাদের হাত, অন্যদের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। শ্রীপুরে হিন্দুসম্প্রদায়ের এক নামযজ্ঞে গিয়ে তৃপ্তিসহকারে লুচি-লাবড়া খেয়ে বলেছেন, ‘এটা আমার ফেবারিট।’ মাঠের পাশে কৃষকদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছেন তাঁদের খাবার।
রাজনীতিতে এটা কেউ করেন মানুষকে দেখাতে, কেউ করেন অন্তর থেকে। একজন আরেকজনের অন্তরটা পড়তে অক্ষম। তবে তারকা সাকিব দ্বিতীয় দলে পড়লেই ভালো।
বন্ধু রাজীব গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে অমিতাভ বচ্চন রাজনীতিতে নেমেছিলেন। হেমমতি নন্দন বহুগুনার মতো রাজনীতির এক মহিরুহকে পরাজিত করে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ফিরে এসেছিলেন রুপালি পর্দায়, যেটা তাঁর আসল জায়গা। পদত্যাগ করে বলেছিলেন, রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন নেহাতই আবেগের বশে, ওটা তাঁর জায়গা নয়। অভিনয় আর ক্রিকেটটা পৃথক আসলে বয়সের সীমারেখায়। চাহিদা থাকলে অভিনয় আমরণ চালিয়ে যাওয়া যায়, পেশাদার ক্রিকেট নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায়, বিগ-বির মতো কাজ সাকিব করবেন না। তবে মানুষের আশা, সাকিব রাজনীতির মাঠে লম্বা ইনিংস খেলতেই এসেছেন। তিনি নিজেও বুঝে গেছেন, চাহিদা এখানে দিগন্তবিস্তৃত নয়। বেশি কিছু চায় না জনতা। একটু আশা, একটু ভরসা, আর আবেগের সঙ্গে বিবেকের সামান্য ভারসাম্য রক্ষা। এর আগে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে বোঝাপড়া। যা বস্তুত এ দেশের ক্রিকেটেরও একান্ত কামনা।
এত দিন মানুষের মন জিততে সাকিবের সামনে ছিল ২২ গজের বৃত্তাকার ভূমি। সেটি এখন বিশাল, বিস্তৃত এক প্রান্তর।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
পবিত্র কুন্ডু

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
ক্রিকেটের ২২ গজে পা থাকতেই রাজনীতির জটিল আর লম্বা ইনিংস খেলতে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। নতুন এই ইনিংসটা কেমন যাবে তাঁর?
নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্যামেরার সামনে, খবরের কাগজের হরফে নিজেই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটের মতো রাজনীতিতেও সেরা অলরাউন্ডার হতে চান। এটা তাঁর আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ নিলে তাঁর চেয়ে আনন্দদায়ী আর কিছু হবে না। যে রাজনীতি জনতার, সেটি লাভবান হবে। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণের, সেটি উপকৃত হবে। কিন্তু ইদানীং যে রাজনীতি ক্ষমতার দম্ভ দেখায়, নিজের কিংবা পরিবারের স্বার্থসিদ্ধির উপায় হয়ে ওঠে, সেই রাজনীতির বৃত্তে ঢুকে পড়লেই মুশকিল। তখন এই তারকা-দ্যুতি গলে গলে পড়বে কাদার মতো। দুই কূল উপচানো মানুষের ভালোবাসার ঢেউ মিলিয়ে যাবে গহিন চড়ায়।
এই উপমহাদেশে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে আগেও আমরা দেখেছি অনেককে। ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, সনাৎ জয়াসুরিয়া, আজহারউদ্দিন, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, নভজ্যোত সিং সিধু, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা। গত বছর বাংলাদেশে বিপিএল খেলতে এসে সাকিবের আগে সদ্য উদাহরণটি গড়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার।
এতগুলো নামের মিছিলে পাকিস্তানের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার ইমরান খানই শুধু নিজেই নিজের পথ তৈরি করে হেঁটেছেন। নির্বাচনে জিতে পরে হয়েছেন দেশের সরকারপ্রধান। বাকিরা প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রণে মেকশিফট ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার।
তবে সাকিব ইমরান খানের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ড কীর্তি গড়লেও ইমরানের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে পড়বেন না কখনোই। কারণ, রাজনীতির পথটা তিনি নিজে তৈরি করেননি। তিনি হতে পারেন রানাতুঙ্গার মতো, জয়াসুরিয়া-আজাদ-আজহার বা সিধুর মতো। হতে পারেন হাতের কাছের উদাহরণ দুর্জয় বা মাশরাফির মতো। এমনকি গৌতম গম্ভীরের মতো, যিনি ক্রিকেট ছেড়ে এসেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন। আইপিএলের দলের মেন্টর ও উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণে-অকারণে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন কোনো ক্রিকেট তারকার সঙ্গে।
সাকিব কি মাশরাফির মতো হবেন? যিনি নিজের নির্বাচনী এলাকার গ্রামীণ জনপদে গিয়ে একটা রবিনহুড ইমেজ দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। গ্রামের সহজ-সরল অভাবী মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশে যাচ্ছেন, তা আমরা দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অজস্র ছবিতে। মাশরাফির মতো হতে পারা সহজ নয়।
তবে আপাত যে পরিস্থিতি তাঁর সামনে, সেটি জটিল। এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন সংস্করণেরই তিনি অধিনায়ক। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বিপিএল দিয়ে তিন মাস পর ক্রিকেটে নেমে পড়বেন কদিন পর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি দলে দুই মৌসুম খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আসন্ন মৌসুমটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য ব্যস্ততম। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন, না ২২ গজে থাকবেন, সেটি এক প্রশ্ন বটে। দুই ফ্রন্ট সামলে চলা খুব কঠিন। রাজনীতির মাঠ খণ্ডকালীন তো নয়।
প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি আছে সাকিবের ওপর। অনেক প্রাপ্তির হাতছানিই হয়তো দেখছেন সামনে। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর চোখ ক্রিকেট বোর্ডের বড় চেয়ারটির দিকে। দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে একটা ঝাঁকুনি দরকার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ক্রিকেট মাঠের অবিচল এই যোদ্ধা, সেই ঝাঁকুনিটা দেওয়ার ক্ষমতা তো রাখেনই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো সভাপতি তার মধ্যে দেখতে চাইবে না, যিনি হররোজ ক্রিকেটের সবকিছু নিয়ে কথা বলবেন। যিনি ক্রিকেটের অবকাঠামো ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত না করে ওপরতলে বসে সবকিছুতে নাক গলাবেন।
ক্রিকেট আর রাজনীতি এক নয়। ক্রিকেটে যেমন বলে, ডিফারেন্ট বল গেম—এ কদিনেই সাকিব সেটি বুঝে ফেলেছেন। ক্রিকেটে কাকভোরে অনুশীলনে গিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ কিংবা আজকাল দিবারাত্রির ক্রিকেটের চাহিদা অনুযায়ী একটি ম্যাচ ডে-তে ১০ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো কাজ শেষ করা সম্ভব। কিন্তু রাজনীতিটা সারাক্ষণ, টোয়েন্টিফোর সেভেন।
নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে সাতসকালের সাকিব আর মাঝরাতে ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখের হাই তোলা সাকিবকে দেখে মনে হয়েছে, রাজনীতির দীর্ঘ, জটিল এবং স্নায়ুক্ষয়ী প্রতীক্ষার প্রান্তর তাঁকে কতটা ক্লান্তি দিতে শুরু করেছে। তবে ভালোবাসার তৃপ্তিও যে পাননি, তা নয়।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান অব দ্য ম্যাচের মতো প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাঠে প্রত্যাশিতভাবেই ভূমিধস বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সাকিব। অনেক ভোটারের সঙ্গেই কথা হয়েছে, যাঁরা ভোট দিয়ে বলেছেন, এমপি সাহেবকে আমরা এ রকম কাছে পাব তো? এই প্রশ্ন, এই সংশয়, এই অনিশ্চয়তা এখন মাগুরা-শ্রীপুরের আকাশে সবচেয়ে ঘনবদ্ধ মেঘের নাম। সাকিব সাধারণ মানুষের কাছে যে দূর আকাশের তারা।
তিনি আজ ঢাকায় তো কাল নিউইয়র্ক। পরশু দুবাই কিংবা লন্ডন। আজ তাঁকে মাগুরার নোমানী ময়দানে ক্ষণিকের জন্য পাওয়া গেলেও কালই তো দেখা যাবে টিভির পর্দায়!
সাকিব অবশ্য কথা দিয়েছেন, তিনি মাগুরাবাসীর পাশে থাকবেন। সু ও দুঃসময়ে। রাজনৈতিক বক্তৃতা রপ্ত করতে পারেননি। ‘জনসমাবেশ’ বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছেন। তবে খুব কাছে দাঁড়িয়ে মুখে সংক্রামক হাসি ছড়িয়ে তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘খুব ছেলেবেলায় মাগুরা থেকে দূরে গিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। এলাকায় যেহেতু ছিলাম না, আপনাদের উপকার করতে না পারলেও অপকার করিনি। এবার আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই। আশা করি সবাইকে পাশে পাব।’ জনতা আপ্লুত। প্রবীণেরা তাঁর মাথায় রাখছেন আশীর্বাদের হাত, অন্যদের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। শ্রীপুরে হিন্দুসম্প্রদায়ের এক নামযজ্ঞে গিয়ে তৃপ্তিসহকারে লুচি-লাবড়া খেয়ে বলেছেন, ‘এটা আমার ফেবারিট।’ মাঠের পাশে কৃষকদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছেন তাঁদের খাবার।
রাজনীতিতে এটা কেউ করেন মানুষকে দেখাতে, কেউ করেন অন্তর থেকে। একজন আরেকজনের অন্তরটা পড়তে অক্ষম। তবে তারকা সাকিব দ্বিতীয় দলে পড়লেই ভালো।
বন্ধু রাজীব গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে অমিতাভ বচ্চন রাজনীতিতে নেমেছিলেন। হেমমতি নন্দন বহুগুনার মতো রাজনীতির এক মহিরুহকে পরাজিত করে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ফিরে এসেছিলেন রুপালি পর্দায়, যেটা তাঁর আসল জায়গা। পদত্যাগ করে বলেছিলেন, রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন নেহাতই আবেগের বশে, ওটা তাঁর জায়গা নয়। অভিনয় আর ক্রিকেটটা পৃথক আসলে বয়সের সীমারেখায়। চাহিদা থাকলে অভিনয় আমরণ চালিয়ে যাওয়া যায়, পেশাদার ক্রিকেট নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায়, বিগ-বির মতো কাজ সাকিব করবেন না। তবে মানুষের আশা, সাকিব রাজনীতির মাঠে লম্বা ইনিংস খেলতেই এসেছেন। তিনি নিজেও বুঝে গেছেন, চাহিদা এখানে দিগন্তবিস্তৃত নয়। বেশি কিছু চায় না জনতা। একটু আশা, একটু ভরসা, আর আবেগের সঙ্গে বিবেকের সামান্য ভারসাম্য রক্ষা। এর আগে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে বোঝাপড়া। যা বস্তুত এ দেশের ক্রিকেটেরও একান্ত কামনা।
এত দিন মানুষের মন জিততে সাকিবের সামনে ছিল ২২ গজের বৃত্তাকার ভূমি। সেটি এখন বিশাল, বিস্তৃত এক প্রান্তর।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
ক্রিকেটের ২২ গজে পা থাকতেই রাজনীতির জটিল আর লম্বা ইনিংস খেলতে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। নতুন এই ইনিংসটা কেমন যাবে তাঁর?
নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্যামেরার সামনে, খবরের কাগজের হরফে নিজেই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটের মতো রাজনীতিতেও সেরা অলরাউন্ডার হতে চান। এটা তাঁর আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ নিলে তাঁর চেয়ে আনন্দদায়ী আর কিছু হবে না। যে রাজনীতি জনতার, সেটি লাভবান হবে। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণের, সেটি উপকৃত হবে। কিন্তু ইদানীং যে রাজনীতি ক্ষমতার দম্ভ দেখায়, নিজের কিংবা পরিবারের স্বার্থসিদ্ধির উপায় হয়ে ওঠে, সেই রাজনীতির বৃত্তে ঢুকে পড়লেই মুশকিল। তখন এই তারকা-দ্যুতি গলে গলে পড়বে কাদার মতো। দুই কূল উপচানো মানুষের ভালোবাসার ঢেউ মিলিয়ে যাবে গহিন চড়ায়।
এই উপমহাদেশে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে আগেও আমরা দেখেছি অনেককে। ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, সনাৎ জয়াসুরিয়া, আজহারউদ্দিন, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, নভজ্যোত সিং সিধু, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা। গত বছর বাংলাদেশে বিপিএল খেলতে এসে সাকিবের আগে সদ্য উদাহরণটি গড়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার।
এতগুলো নামের মিছিলে পাকিস্তানের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার ইমরান খানই শুধু নিজেই নিজের পথ তৈরি করে হেঁটেছেন। নির্বাচনে জিতে পরে হয়েছেন দেশের সরকারপ্রধান। বাকিরা প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রণে মেকশিফট ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার।
তবে সাকিব ইমরান খানের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ড কীর্তি গড়লেও ইমরানের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে পড়বেন না কখনোই। কারণ, রাজনীতির পথটা তিনি নিজে তৈরি করেননি। তিনি হতে পারেন রানাতুঙ্গার মতো, জয়াসুরিয়া-আজাদ-আজহার বা সিধুর মতো। হতে পারেন হাতের কাছের উদাহরণ দুর্জয় বা মাশরাফির মতো। এমনকি গৌতম গম্ভীরের মতো, যিনি ক্রিকেট ছেড়ে এসেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন। আইপিএলের দলের মেন্টর ও উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণে-অকারণে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন কোনো ক্রিকেট তারকার সঙ্গে।
সাকিব কি মাশরাফির মতো হবেন? যিনি নিজের নির্বাচনী এলাকার গ্রামীণ জনপদে গিয়ে একটা রবিনহুড ইমেজ দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। গ্রামের সহজ-সরল অভাবী মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশে যাচ্ছেন, তা আমরা দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অজস্র ছবিতে। মাশরাফির মতো হতে পারা সহজ নয়।
তবে আপাত যে পরিস্থিতি তাঁর সামনে, সেটি জটিল। এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন সংস্করণেরই তিনি অধিনায়ক। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বিপিএল দিয়ে তিন মাস পর ক্রিকেটে নেমে পড়বেন কদিন পর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি দলে দুই মৌসুম খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আসন্ন মৌসুমটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য ব্যস্ততম। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন, না ২২ গজে থাকবেন, সেটি এক প্রশ্ন বটে। দুই ফ্রন্ট সামলে চলা খুব কঠিন। রাজনীতির মাঠ খণ্ডকালীন তো নয়।
প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি আছে সাকিবের ওপর। অনেক প্রাপ্তির হাতছানিই হয়তো দেখছেন সামনে। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর চোখ ক্রিকেট বোর্ডের বড় চেয়ারটির দিকে। দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে একটা ঝাঁকুনি দরকার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ক্রিকেট মাঠের অবিচল এই যোদ্ধা, সেই ঝাঁকুনিটা দেওয়ার ক্ষমতা তো রাখেনই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো সভাপতি তার মধ্যে দেখতে চাইবে না, যিনি হররোজ ক্রিকেটের সবকিছু নিয়ে কথা বলবেন। যিনি ক্রিকেটের অবকাঠামো ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত না করে ওপরতলে বসে সবকিছুতে নাক গলাবেন।
ক্রিকেট আর রাজনীতি এক নয়। ক্রিকেটে যেমন বলে, ডিফারেন্ট বল গেম—এ কদিনেই সাকিব সেটি বুঝে ফেলেছেন। ক্রিকেটে কাকভোরে অনুশীলনে গিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ কিংবা আজকাল দিবারাত্রির ক্রিকেটের চাহিদা অনুযায়ী একটি ম্যাচ ডে-তে ১০ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো কাজ শেষ করা সম্ভব। কিন্তু রাজনীতিটা সারাক্ষণ, টোয়েন্টিফোর সেভেন।
নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে সাতসকালের সাকিব আর মাঝরাতে ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখের হাই তোলা সাকিবকে দেখে মনে হয়েছে, রাজনীতির দীর্ঘ, জটিল এবং স্নায়ুক্ষয়ী প্রতীক্ষার প্রান্তর তাঁকে কতটা ক্লান্তি দিতে শুরু করেছে। তবে ভালোবাসার তৃপ্তিও যে পাননি, তা নয়।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান অব দ্য ম্যাচের মতো প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাঠে প্রত্যাশিতভাবেই ভূমিধস বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সাকিব। অনেক ভোটারের সঙ্গেই কথা হয়েছে, যাঁরা ভোট দিয়ে বলেছেন, এমপি সাহেবকে আমরা এ রকম কাছে পাব তো? এই প্রশ্ন, এই সংশয়, এই অনিশ্চয়তা এখন মাগুরা-শ্রীপুরের আকাশে সবচেয়ে ঘনবদ্ধ মেঘের নাম। সাকিব সাধারণ মানুষের কাছে যে দূর আকাশের তারা।
তিনি আজ ঢাকায় তো কাল নিউইয়র্ক। পরশু দুবাই কিংবা লন্ডন। আজ তাঁকে মাগুরার নোমানী ময়দানে ক্ষণিকের জন্য পাওয়া গেলেও কালই তো দেখা যাবে টিভির পর্দায়!
সাকিব অবশ্য কথা দিয়েছেন, তিনি মাগুরাবাসীর পাশে থাকবেন। সু ও দুঃসময়ে। রাজনৈতিক বক্তৃতা রপ্ত করতে পারেননি। ‘জনসমাবেশ’ বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছেন। তবে খুব কাছে দাঁড়িয়ে মুখে সংক্রামক হাসি ছড়িয়ে তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘খুব ছেলেবেলায় মাগুরা থেকে দূরে গিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। এলাকায় যেহেতু ছিলাম না, আপনাদের উপকার করতে না পারলেও অপকার করিনি। এবার আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই। আশা করি সবাইকে পাশে পাব।’ জনতা আপ্লুত। প্রবীণেরা তাঁর মাথায় রাখছেন আশীর্বাদের হাত, অন্যদের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। শ্রীপুরে হিন্দুসম্প্রদায়ের এক নামযজ্ঞে গিয়ে তৃপ্তিসহকারে লুচি-লাবড়া খেয়ে বলেছেন, ‘এটা আমার ফেবারিট।’ মাঠের পাশে কৃষকদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছেন তাঁদের খাবার।
রাজনীতিতে এটা কেউ করেন মানুষকে দেখাতে, কেউ করেন অন্তর থেকে। একজন আরেকজনের অন্তরটা পড়তে অক্ষম। তবে তারকা সাকিব দ্বিতীয় দলে পড়লেই ভালো।
বন্ধু রাজীব গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে অমিতাভ বচ্চন রাজনীতিতে নেমেছিলেন। হেমমতি নন্দন বহুগুনার মতো রাজনীতির এক মহিরুহকে পরাজিত করে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ফিরে এসেছিলেন রুপালি পর্দায়, যেটা তাঁর আসল জায়গা। পদত্যাগ করে বলেছিলেন, রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন নেহাতই আবেগের বশে, ওটা তাঁর জায়গা নয়। অভিনয় আর ক্রিকেটটা পৃথক আসলে বয়সের সীমারেখায়। চাহিদা থাকলে অভিনয় আমরণ চালিয়ে যাওয়া যায়, পেশাদার ক্রিকেট নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায়, বিগ-বির মতো কাজ সাকিব করবেন না। তবে মানুষের আশা, সাকিব রাজনীতির মাঠে লম্বা ইনিংস খেলতেই এসেছেন। তিনি নিজেও বুঝে গেছেন, চাহিদা এখানে দিগন্তবিস্তৃত নয়। বেশি কিছু চায় না জনতা। একটু আশা, একটু ভরসা, আর আবেগের সঙ্গে বিবেকের সামান্য ভারসাম্য রক্ষা। এর আগে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে বোঝাপড়া। যা বস্তুত এ দেশের ক্রিকেটেরও একান্ত কামনা।
এত দিন মানুষের মন জিততে সাকিবের সামনে ছিল ২২ গজের বৃত্তাকার ভূমি। সেটি এখন বিশাল, বিস্তৃত এক প্রান্তর।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে হাতের মুদ্রায় বিজয়চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরাবন্দী হলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ শরীর আর চওড়া কাঁধে মুজিব কোটটা দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। মিডিয়ার কল্যাণে এই ছবি অনেকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫