Ajker Patrika

কবিতার বই-ই বেশি আসছে

কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
কবিতার বই-ই বেশি আসছে

কেউ কিনছেন প্রবন্ধের বই, কেউ উপন্যাস, আবার কেউ কবিতা কিংবা গবেষণা অথবা ইতিহাসভিত্তিক বই। কেউ ঘুরছেন স্টলে স্টলে, আবার কেউ আগে থেকেই ভেবে এসেছেন কোন বই কিনবেন। অনেকে আছেন, যাঁরা বহুল বিক্রীত বইয়ের খোঁজে আসেন বইমেলায়।

এবারের বইমেলায় এখন পর্যন্ত বেশি প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই। বাংলা একাডেমির তথ্য বলছে, বইমেলায় এবার ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা ৭৮৯, গল্পের বই ৩৩১টি, উপন্যাস ৩৮০টি, প্রবন্ধ ১২৭টি। তবে গবেষণামূলক বইয়ের সংখ্যা মাত্র ৫৮। এগুলোর মধ্যে এক দিনে বেশি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি, ৯৬টি। এদিন গবেষণার বই প্রকাশিত হয়েছে ১২টি; যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি গবেষণার বই প্রকাশিত হয়েছিল ৮টি। এদিন কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল ৮২টি। ২ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেশি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে ১০ তারিখে, ৭৯টি। এদিন গবেষণার বই এসেছে ১৩টি। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল ৬৪টি। এদিন গবেষণার বই  এসেছে ৪টি।

কবিতার বই কেন কিনছেন, এমন প্রশ্নে অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা অবসরে কবিতা পড়তে ভালোবাসেন। নব সাহিত্য প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফজলুর রহমান বকুল বললেন, ‘আমরা চাচ্ছি নতুন কবিদের নিয়ে কাজ করতে। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের প্রকাশনী থেকে ভালো মানের কবি তৈরি করে দিতে চাচ্ছি আমরা।’ ফজলুর রহমান নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কবিতা ভালোবাসেন এবং ভালো বোঝেন। তাই কবিতার বই নিয়ে তাঁর আগ্রহ বেশি। কবিতার চাহিদা পাঠকের মধ্যে কেমন, এমন প্রশ্নে প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর প্রকাশক এস এম জসিম ভূঁইয়া জানালেন, কবিতার বই বেশি প্রকাশিত হচ্ছে। সে অনুযায়ী বিক্রিও বেশি। কবিতা শর্ট প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে লেখকেরা এটা নিয়েই বেশি কাজ করেন। একটা উপন্যাস বা গল্প লিখতে গেলে অনেক সময় দিতে হয়। তবে স্টলের বিক্রেতারা জানান, তাঁদের স্টল থেকে এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রিলার বই।

মেলায় ঘুরে জানা গেল, নতুন প্রকাশিত কবিতার বইয়ের মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে সালমা জাহান সনিয়ার ‘সভ্যতার শেষ স্টেশন’। এ ছাড়া আছে মো. জয়নাল আবেদীনের ‘সহোদরা’, অভ্র হিমালয় তুষারের ‘অবরুদ্ধ কারাগার’, শাকূর মাহমুদের ‘অপরাধ ও অপেক্ষা’। এবং মানুষ প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে হাসান সৈয়দের ‘চাঁদকুমারী’, মেহেদী হাসান উজ্জ্বলের ‘তুমি নামের অসুখ’, নাসরিন রুনা ও নাছরীন মিতার সম্পাদনায় ‘ভালোবাসায় মিতালী’, সুমী শারমীনের ‘নির্জন সাঁজবাতি’।

নব সাহিত্য প্রকাশনী থেকে এ পর্যন্ত বেশি বিক্রি হয়েছে আজহারুল ইসলামের ‘কালবেলার ছুটি’ কবিতার বইটি। এ ছাড়া প্রকাশিত হয়েছে বসু মৈত্রের ‘নিরুত্তাপ বর্ণমালা’, মরিয়ম মাহবুবার ‘প্রিয়তম’। বিদ্যাপ্রকাশ থেকে এবার বেশি বিক্রীত কবিতার বইটি সায়ান্থ সাখাওয়াতের ‘স্মৃতি ঘরে একা’। এ ছাড়া আছে সুলতানা শিরীন সাজির ‘ঝিমলি এবং বালিহাঁস’, শৈবাল তালুকদারের ‘একাকী বৃক্ষের গান’।

বইমেলার শেষ পর্যায়ে এসে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বই প্রকাশিত হোক আর না হোক, লোকসমাগম দিন দিন বাড়বে—এমনটা ধারণা করছেন মেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত