Ajker Patrika

কুয়াশা ও শীতে ধানের চারা রক্ষায় পলিথিনের ছাউনি

এম মুরশীদ আলী, রূপসা
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৬
Thumbnail image

ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধানের চারা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে রক্ষা পেতে ধানের বীজতলা সকাল ১০টা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রতিদিন সকালে দড়ি টেনে দিয়ে বীজতলার চারার পাতায় জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। এর ফলে চারা সতেজ থাকবে এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদনের জন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৫টি ব্লকে মোট ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল ৫০ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ২৮০ হেক্টর রয়েছে। আদর্শ বীজতলায় উৎপন্ন চারা যে কোনো বৈরী আবহাওয়া মোকাবেলা করতে পারে। তাছাড়া এ বীজতলার চারা জমিতে রোপণের পর শতভাগ চারা জীবিত থাকে এবং অল্প সময়ে বেড়ে ওঠে। এ চারা সবল থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার কোনো কোনো বীজতলার চারা হলুদাভ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, শীতকালে দেশে প্রায়ই ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ দেখা দেয়। এ সময় বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় বাড়তি কিছু যত্ন নিতে হয়। চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ঘন কুয়াশা ও বেশি শীতের সময়ে বোরো ধানের বীজতলা সকাল ১০টা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সাদা পলিথিন ছাউনি দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।

এ ছাড়া সন্ধ্যার সময় চারার গোড়ায় ৩-৫ সে.মি. পানি সেচ দিয়ে বীজতলার চারা ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে সেই পানি বের করে দিতে হবে। এতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় চারার বৃদ্ধি তরান্বিত হয়। প্রতিদিন সকালে দড়ি টেনে দিয়ে বীজতলার চারার পাতায় জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বীজতলায় প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম টিএসপি, ১৫০ গ্রাম এমওপি ও ৪০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। এতে চারার শীত সহিষ্ণুতা বাড়বে। শৈত্য প্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলার চারা হলদে হয়ে গেলে প্রতি শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম পটাশ ও ৬০ গ্রাম জিপসাম সার মিশিয়ে বীজতলায় স্প্রে করুন।

কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা শীতে বীজতলার চারার গোড়া বা পাতা পঁচা রোগ দেখা গেলে ব্যাভিস্টিন বা মেনকোজেব গ্রুপের যেকোনো একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। যতদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকে ততদিন এ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে। রোপণের পর শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে জমিতে ৫-৭ সে.মি. পানি ধরে রাখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত