বান্দরবান প্রতিনিধি
শজনে একটি পরিচিত, দামি ও সুস্বাদু সবজি। স্থানীয়ভাবে ‘শাজনা’ নামেই এটি বেশি পরিচিত। লম্বা ডাঁটা, বিচি-সবজি হিসেবে মজাদার। ডাল দিয়ে রান্না করলে এটি সবচেয়ে মজার হয়। পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (পাহাড়ি) কিংবা বাঙালি—সবার কাছেই শজনের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে শজনে বাজারে বিক্রি হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে বারোমাসি সবজি হিসেবে এর কদর বাড়ছে। বান্দরবানে পর্যটকদের কাছেও শজনের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সবজি হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়।
বান্দরবান কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আগে স্বাভাবিকভাবে শজনেগাছ হলেও বর্তমানে এর বাগান তৈরি করছেন কেউ কেউ। আবার রাস্তার দুধারে অনেকে শজনেগাছ রোপণ করছেন। দেখতে অনেকটা কৃষ্ণচূড়াগাছের মতো লম্বা, গাছের ডালে ডালে শজনের ছড়া ধরে। সহজে চুরি না হওয়ায় এবং ঝামেলা না থাকায় ম্রো ও বম জনগোষ্ঠীর লোকজন শজনেগাছের বাগানে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি বিভাগ ও পুষ্টিবিজ্ঞান সূত্রে জানা যায়, শজনে কেবল ডাঁটা সবজি নয়, এটি ভেষজ পণ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এতে যেসব গুণ রয়েছে, কমলালেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি, গাজরের চেয়ে ১ দশমিক ৩ গুণ বেশি ভিটামিন, কলার চেয়ে দেড় গুণ বেশি পটাশিয়াম, দুধের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে।
বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বান্দরবানে সমতলের তুলনায় পাহাড়ি এলাকায় শজনের চাষ বেশি। বাঙালিরা শজনে চাষ করলেও ম্রো এবং বম জনগোষ্ঠীর লোকজনও ব্যাপক হারে শজনে চাষ করেন। বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় প্রায় ১৫টি পরিবারে শজনেগাছ রয়েছে।
নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা চিংচং ম্রো বলেন, তিনি দীর্ঘ বছর ধরে শজনে চাষ করে আসছেন। গত বছর তিনি ৫ মণ শজনে পেয়েছিলেন। এবার আরও কিছু গাছ বেড়েছে, ফলনও ভালো হয়েছে। তাই এবার ২০ মণ শজনে পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, প্রতি মণ শজনে ৫ হাজার ২০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন।
নোয়াপাড়ার পার্শ্ববর্তী চেয়ারম্যান পাড়া, বসন্ত পাড়া এলাকায় জুমচাষের পাশাপাশি শজনেগাছও লাগানো হয়। চাহিদা থাকায় দিন দিন শজনের আবাদ বাড়ছে বলে জানান ইন চং ম্রো, তংরে ম্রোসহ আরও কয়েকজন। ইন চং ম্রো বলেন, সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আবার বিক্রি করেও ভালো অর্থ আয় হয়। প্রতিবছর শজনে ডাঁটা সংগ্রহ করার সময় যে ডাল কাটা হয়, সে ডাল রোপণ করলে ২-৩ বছরের মধ্যে গাছে পরিণত হয়ে ফলন দিতে শুরু করে।
শজনে ব্যবসায়ী মো. মমিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মণ ৫ হাজার ২০০ টাকা দরে কিনে তা সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন। প্রতি শনিবার ট্রাকে কমপক্ষে এক শ মণ শজনে পাঠান। অপর ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ বলেন, ৩০ বছর ধরে তিনি চিম্বুক-নীলগিরি এলাকায় সবজির ব্যবসা করছেন। তিনি মৌসুমি সবজি পাইকারি কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামে পাঠান। এতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দাম ও মান নিয়ে কখনো ঝামেলা হয়নি।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বান্দরবানে শজনে আবাদ দিন দিন বাড়ছে। গত বছর ২২ হেক্টরে শজনে আবাদ হলেও চলতি বছর তা বেড়ে ২৫ হেক্টর জায়গায় আবাদ হয়েছে। গত বছর ৪৪ টন শজনে উৎপাদিত হয়েছিল, চলতি বছর আবাদ বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হওয়ায় ৭৫ টন শজনে উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে।
শজনে একটি পরিচিত, দামি ও সুস্বাদু সবজি। স্থানীয়ভাবে ‘শাজনা’ নামেই এটি বেশি পরিচিত। লম্বা ডাঁটা, বিচি-সবজি হিসেবে মজাদার। ডাল দিয়ে রান্না করলে এটি সবচেয়ে মজার হয়। পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (পাহাড়ি) কিংবা বাঙালি—সবার কাছেই শজনের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে শজনে বাজারে বিক্রি হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে বারোমাসি সবজি হিসেবে এর কদর বাড়ছে। বান্দরবানে পর্যটকদের কাছেও শজনের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সবজি হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়।
বান্দরবান কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আগে স্বাভাবিকভাবে শজনেগাছ হলেও বর্তমানে এর বাগান তৈরি করছেন কেউ কেউ। আবার রাস্তার দুধারে অনেকে শজনেগাছ রোপণ করছেন। দেখতে অনেকটা কৃষ্ণচূড়াগাছের মতো লম্বা, গাছের ডালে ডালে শজনের ছড়া ধরে। সহজে চুরি না হওয়ায় এবং ঝামেলা না থাকায় ম্রো ও বম জনগোষ্ঠীর লোকজন শজনেগাছের বাগানে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি বিভাগ ও পুষ্টিবিজ্ঞান সূত্রে জানা যায়, শজনে কেবল ডাঁটা সবজি নয়, এটি ভেষজ পণ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এতে যেসব গুণ রয়েছে, কমলালেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি, গাজরের চেয়ে ১ দশমিক ৩ গুণ বেশি ভিটামিন, কলার চেয়ে দেড় গুণ বেশি পটাশিয়াম, দুধের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে।
বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বান্দরবানে সমতলের তুলনায় পাহাড়ি এলাকায় শজনের চাষ বেশি। বাঙালিরা শজনে চাষ করলেও ম্রো এবং বম জনগোষ্ঠীর লোকজনও ব্যাপক হারে শজনে চাষ করেন। বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় প্রায় ১৫টি পরিবারে শজনেগাছ রয়েছে।
নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা চিংচং ম্রো বলেন, তিনি দীর্ঘ বছর ধরে শজনে চাষ করে আসছেন। গত বছর তিনি ৫ মণ শজনে পেয়েছিলেন। এবার আরও কিছু গাছ বেড়েছে, ফলনও ভালো হয়েছে। তাই এবার ২০ মণ শজনে পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, প্রতি মণ শজনে ৫ হাজার ২০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন।
নোয়াপাড়ার পার্শ্ববর্তী চেয়ারম্যান পাড়া, বসন্ত পাড়া এলাকায় জুমচাষের পাশাপাশি শজনেগাছও লাগানো হয়। চাহিদা থাকায় দিন দিন শজনের আবাদ বাড়ছে বলে জানান ইন চং ম্রো, তংরে ম্রোসহ আরও কয়েকজন। ইন চং ম্রো বলেন, সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আবার বিক্রি করেও ভালো অর্থ আয় হয়। প্রতিবছর শজনে ডাঁটা সংগ্রহ করার সময় যে ডাল কাটা হয়, সে ডাল রোপণ করলে ২-৩ বছরের মধ্যে গাছে পরিণত হয়ে ফলন দিতে শুরু করে।
শজনে ব্যবসায়ী মো. মমিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মণ ৫ হাজার ২০০ টাকা দরে কিনে তা সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন। প্রতি শনিবার ট্রাকে কমপক্ষে এক শ মণ শজনে পাঠান। অপর ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ বলেন, ৩০ বছর ধরে তিনি চিম্বুক-নীলগিরি এলাকায় সবজির ব্যবসা করছেন। তিনি মৌসুমি সবজি পাইকারি কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামে পাঠান। এতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দাম ও মান নিয়ে কখনো ঝামেলা হয়নি।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বান্দরবানে শজনে আবাদ দিন দিন বাড়ছে। গত বছর ২২ হেক্টরে শজনে আবাদ হলেও চলতি বছর তা বেড়ে ২৫ হেক্টর জায়গায় আবাদ হয়েছে। গত বছর ৪৪ টন শজনে উৎপাদিত হয়েছিল, চলতি বছর আবাদ বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হওয়ায় ৭৫ টন শজনে উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪