নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় ধীরগতিতে করোনার টিকা দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় টিকা নিতে আসা লোকজনকে। এতে গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মেই টিকা দেওয়ার কথা। কেন দেরি হচ্ছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচ শতাধিক মানুষ টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে বয়স্করা ফাইজারের বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফাইজারের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছে। টিকা নিতে এসে এই গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের। তবে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে কর্তব্যরত কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
সরেজমিন দেখা গেছে, টিকা নিতে আসা মানুষের তুলনায় সেবিকার সংখ্যা কম। যে কারণে কাগজপত্র তৈরি ও রোগীদের টিকা দিতে সময় লাগছে। এছাড়াও বাড়তি লোকজনকে ম্যানেজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।
টিকা নিতে আসা ঠাকুরাকোনা রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র অন্তর জানায়, ঘণ্টাখানেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। এইমাত্র টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গরমের কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। অসুস্থ লাগছে। মনে হচ্ছে যেন শরীরে জ্বর আসছে।
জেলার মোক্তার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিন জনায়, সকাল ১০টার দিকে টিকা নিতে এসেছি। এখনো আমাদের ডাক পড়েনি। কখন ডাক দিবে তাও জানি না। তিনি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ দিতে এসেছেন।
তৃতীয় ডোজ নিতে আসা শহরের চকপাড়া এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বুস্টার ডোজ নেব। কিন্তু এখনো ডাক দেয়নি। এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়! মনে হচ্ছে অসুস্থ হয় পরব।
শহরের সাতপাই এলাকার প্রমীলা রানি বলেন, বুস্টার ডোজ নিতে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তবে যে লাইন দেখা যাচ্ছে, কখন যে ডাক দিবে বুজতে পারছি না।
যোগমায়া নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বয়স্ক মহিলা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন ডাক দেয়, জানি না।
অনিতা নামে এক বয়স্ক নারী টিকা নিতে দেরি হওয়ায় ক্লান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে চাচ্চিলেন। তবে তাঁর স্বজনেরা তাঁকে বুজিয়ে আবার লাইনে এনে দাঁড় করান। ওই নারী বলেন, টিকা নিয়ে বাঁচনের আগে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেই গরমে মরে যাব। এর থেকে বাড়ি চলে যাওয়াই ভালো।’
মাঝেদা নামে ষাট বছরের এক নারী এসেছেন নাতিকে নিয়ে। তিনিও দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বারবার নাতিকে জিজ্ঞেস করছেন কখন ডাক আসবে?
এ বিষয়ে ওই নারীর নাতি খায়রুল হক বলেন, ‘সকাল দশটার দিকে দাদিকে নিয়ে জেলা পরিষদে এসেছি। এখন প্রায় সাড়ে ১১ টা। আমাদের ডাক এখনো আসেনি। তবে টিকা দিতে কেন দেরি হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত রেডক্রিসেন্ট সদস্য, পুলিশ সদস্য ও সেবিকারা কারণ বলতে রাজি হননি। তারা বলছেন, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে জেলা পরিষদে ফাইজারের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ছাত্রদের এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই টিকা দেওয়ার কথা। দেরি কেন হচ্ছে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
নেত্রকোনায় ধীরগতিতে করোনার টিকা দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় টিকা নিতে আসা লোকজনকে। এতে গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মেই টিকা দেওয়ার কথা। কেন দেরি হচ্ছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচ শতাধিক মানুষ টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে বয়স্করা ফাইজারের বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফাইজারের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছে। টিকা নিতে এসে এই গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের। তবে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে কর্তব্যরত কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
সরেজমিন দেখা গেছে, টিকা নিতে আসা মানুষের তুলনায় সেবিকার সংখ্যা কম। যে কারণে কাগজপত্র তৈরি ও রোগীদের টিকা দিতে সময় লাগছে। এছাড়াও বাড়তি লোকজনকে ম্যানেজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।
টিকা নিতে আসা ঠাকুরাকোনা রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র অন্তর জানায়, ঘণ্টাখানেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। এইমাত্র টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গরমের কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। অসুস্থ লাগছে। মনে হচ্ছে যেন শরীরে জ্বর আসছে।
জেলার মোক্তার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিন জনায়, সকাল ১০টার দিকে টিকা নিতে এসেছি। এখনো আমাদের ডাক পড়েনি। কখন ডাক দিবে তাও জানি না। তিনি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ দিতে এসেছেন।
তৃতীয় ডোজ নিতে আসা শহরের চকপাড়া এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বুস্টার ডোজ নেব। কিন্তু এখনো ডাক দেয়নি। এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়! মনে হচ্ছে অসুস্থ হয় পরব।
শহরের সাতপাই এলাকার প্রমীলা রানি বলেন, বুস্টার ডোজ নিতে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তবে যে লাইন দেখা যাচ্ছে, কখন যে ডাক দিবে বুজতে পারছি না।
যোগমায়া নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বয়স্ক মহিলা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন ডাক দেয়, জানি না।
অনিতা নামে এক বয়স্ক নারী টিকা নিতে দেরি হওয়ায় ক্লান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে চাচ্চিলেন। তবে তাঁর স্বজনেরা তাঁকে বুজিয়ে আবার লাইনে এনে দাঁড় করান। ওই নারী বলেন, টিকা নিয়ে বাঁচনের আগে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেই গরমে মরে যাব। এর থেকে বাড়ি চলে যাওয়াই ভালো।’
মাঝেদা নামে ষাট বছরের এক নারী এসেছেন নাতিকে নিয়ে। তিনিও দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বারবার নাতিকে জিজ্ঞেস করছেন কখন ডাক আসবে?
এ বিষয়ে ওই নারীর নাতি খায়রুল হক বলেন, ‘সকাল দশটার দিকে দাদিকে নিয়ে জেলা পরিষদে এসেছি। এখন প্রায় সাড়ে ১১ টা। আমাদের ডাক এখনো আসেনি। তবে টিকা দিতে কেন দেরি হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত রেডক্রিসেন্ট সদস্য, পুলিশ সদস্য ও সেবিকারা কারণ বলতে রাজি হননি। তারা বলছেন, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে জেলা পরিষদে ফাইজারের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ছাত্রদের এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই টিকা দেওয়ার কথা। দেরি কেন হচ্ছে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪