Ajker Patrika

লড়াইয়ের মধ্যে খণ্ড লড়াই

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১১: ২৬
লড়াইয়ের মধ্যে খণ্ড লড়াই

মেলবোর্নে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। এই সংস্করণে দুই দলের একটি করে শিরোপা আছে। ফাইনালে দুই দলের একাদশের লড়াইটা হতে পারে পেস বনাম পেস, স্পিন বনাম স্পিন আর টপ অর্ডারের সঙ্গে টপ অর্ডারের। লড়াইয়ের আগে দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তার জায়গাগুলো। 

পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি
শুরুতে রানের দেখা না পেলেও সেমিফাইনালে এসে ছন্দে ফিরেছে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি। শতরানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন দুজনে। আগের ম্যাচগুলোতে মিডল অর্ডাররা বাঁচিয়েছে এশিয়ান দলটিকে। বাবর-রিজওয়ানের সামর্থ্য নিয়ে কারও প্রশ্ন নেই। শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে ফাইনালেও তাঁদের টেনে আনতে হবে সেমির পারফরম্যান্স।

ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি জস বাটলার-অ্যালেক্স হেলসের ওপেনিং জুটি। নিজেদের দিনে এই জুটি যেকোনো দলকে উড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি এর বড় প্রমাণ। বাটলার-হেলস দুজনেই বিশ্বকাপে আছেন দারুণ ছন্দে।

পাকিস্তানের পেস আক্রমণ
পাকিস্তানের অন্যতম শক্তি পেস আক্রমণ। বাবর আজমদের স্বস্তির বিষয়, ছন্দে ফিরেছেন শাহিন আফ্রিদি। অন্য তিনজন আগে থেকে ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়ে আসছেন এই বিশ্বকাপে। ফাইনালে তাঁরা চারজন জ্বলে উঠলে বিপদ ডেকে আনতে পারে ইংলিশদের। 

ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণ
বাউন্সি উইকেটের জন্য বেশ কয়েকজন পরীক্ষিত পেসার নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এসেছে ইংল্যান্ড। সবাই একসঙ্গে জ্বলে উঠতে না পারলেও এক ম্যাচে স্যাম কারান তো অন্য ম্যাচে মার্ক উড ঠিকই দলকে সাহায্য করেছেন। অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস তো আছেনই। তাঁদের সঙ্গে ক্রিস জর্ডানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেমিতে ইংলিশদের সবচেয়ে সফর বোলার তিনি। তবে ম্যাচটিতে ছিলেন না উড। তিনি ফিরলে জায়গা হারাতে পারেন জর্ডান। 

পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণ
সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ খেলা শাদাব খানের কাছে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট বেশ পরিচিত। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বেশ সফল তিনি। ইতিমধ্যে ঝুলিতে পুরেছেন ১০ উইকেট। তবে সেমিতে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। 

ইংল্যান্ডের স্পিন আক্রমণ
পেসারদের ওপর দায়িত্ব থাকলেও ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন-আপে আছেন আদিল রশিদের মতো স্পিনার। অবশ্য তিনি ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১২৫ রান। রশিদ ব্যর্থ হলে পার্ট-টাইম স্পিনার হিসেবে লিভিংস্টোনের কাঁধে দায়িত্ব বর্তাবে। মঈন আলি অবশ্য মনোযোগটা ব্যাটিংয়ের দিকেই দিচ্ছেন বেশি। খুব কমই আসছেন বোলিংয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত