জাহীদ রেজা নূর
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত থেকে আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সঙ্গে মিলে পাকিস্তানি সেনারা বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করতে শুরু করেছিল। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ করে।
ইয়াহিয়া খান এই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, ‘কালবিলম্ব না করে মার্কিন সাহায্য অবশ্যই পৌঁছাতে হবে। একটি অর্থপূর্ণ পরিবর্তন…বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ শুধু কাম্যই নয়, বরং নির্দিষ্ট ও অর্থপূর্ণ হতে হবে।’
এই দিন ঢাকার গভর্নর হাউসে ভারতীয় বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়। এতে ভীত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মালিক পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নিরপেক্ষ এলাকা হিসেবে স্বীকৃত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেন। ইয়াহিয়া খান একটি বার্তায় মালিক ও নিয়াজীকে নির্দেশ দেন, সশস্ত্র বাহিনী ও পাকিস্তানের প্রতি অনুগতদের নিরাপত্তা বিধানের।
এই দিন বঙ্গোপসাগরে পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরি ‘এন্টারপ্রাইজ’কে টাস্কফোর্স হিসেবে পাঠানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিতে এটাই ছিল নিক্সন-কিসিঞ্জারের সর্বশেষ ভূ-কৌশলগত পদক্ষেপ। টাস্কফোর্সের রণতরিগুলো ছিল পরমাণু শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজ, ৭০টি বিমানবাহী এন্টারপ্রাইজ, ২৪টি হেলিকপ্টারবাহী উভচর যুদ্ধজাহাজ ত্রিপোলি, তিনটি নিয়ন্ত্রিত মিসাইলবাহী ডেস্ট্রয়ার এবং একটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন। তাতে ছিল ৮০০ মেরিন সেনা।
কেন এই টাস্কফোর্স পাঠানো হলো? এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেয়ার্ড জানান, আটকে পড়া আমেরিকানদের উদ্ধার করার জন্য তা পাঠানো হয়েছে। ২০০ জন মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য এমন রণতরির কী প্রয়োজন, তা আর ব্যাখ্যা করেননি লেয়ার্ড।
ঢাকা থেকে মার্কিন কনসাল জেনারেল এক জরুরি বার্তায় জানালেন, জেনারেল নিয়াজী ও রাও ফরমান আলী তাঁর সঙ্গে দেখা করে একটি বার্তা দিয়েছেন। তাতে তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানি সেনা ও নাগরিকদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস পেলে তারা অস্ত্র সংবরণ করতে প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের কোনো কথা তখনো তাঁরা উল্লেখ করেননি।
মার্কিন কনসাল জেনারেলের কাছ থেকে নিয়াজীর বার্তা পেয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসলামাবাদে দূত ফারল্যান্ডের মাধ্যমে ইয়াহিয়ার কাছে জানতে চান, এ ব্যাপারে তাঁর অনুমোদন আছে কি না। ইয়াহিয়া জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব ক্ষমতা নিয়াজীকে দেওয়া হয়েছে। তিনি সে বার্তা দিল্লিকে এবং নিউইয়র্কে ভুট্টোর কাছে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করেন।
এ দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়ে উত্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি ১১-২ ভোটে অনুমোদিত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পোল্যান্ড প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স নিরপেক্ষ থাকে। ভেটো দেওয়ার আগে সোভিয়েত প্রতিনিধি ইয়াকব মালিক ঘোষণা করেন যে মার্কিন উদ্যোগ ভুল ও অবাস্তব। এই প্রস্তাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সূত্র: মাহমুদুল হক, বাংলাদেশের অভ্যুদয় স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতা: পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা; হাসান ফেরদৌস, মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত থেকে আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সঙ্গে মিলে পাকিস্তানি সেনারা বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করতে শুরু করেছিল। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ করে।
ইয়াহিয়া খান এই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, ‘কালবিলম্ব না করে মার্কিন সাহায্য অবশ্যই পৌঁছাতে হবে। একটি অর্থপূর্ণ পরিবর্তন…বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ শুধু কাম্যই নয়, বরং নির্দিষ্ট ও অর্থপূর্ণ হতে হবে।’
এই দিন ঢাকার গভর্নর হাউসে ভারতীয় বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়। এতে ভীত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মালিক পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নিরপেক্ষ এলাকা হিসেবে স্বীকৃত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেন। ইয়াহিয়া খান একটি বার্তায় মালিক ও নিয়াজীকে নির্দেশ দেন, সশস্ত্র বাহিনী ও পাকিস্তানের প্রতি অনুগতদের নিরাপত্তা বিধানের।
এই দিন বঙ্গোপসাগরে পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরি ‘এন্টারপ্রাইজ’কে টাস্কফোর্স হিসেবে পাঠানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিতে এটাই ছিল নিক্সন-কিসিঞ্জারের সর্বশেষ ভূ-কৌশলগত পদক্ষেপ। টাস্কফোর্সের রণতরিগুলো ছিল পরমাণু শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজ, ৭০টি বিমানবাহী এন্টারপ্রাইজ, ২৪টি হেলিকপ্টারবাহী উভচর যুদ্ধজাহাজ ত্রিপোলি, তিনটি নিয়ন্ত্রিত মিসাইলবাহী ডেস্ট্রয়ার এবং একটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন। তাতে ছিল ৮০০ মেরিন সেনা।
কেন এই টাস্কফোর্স পাঠানো হলো? এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেয়ার্ড জানান, আটকে পড়া আমেরিকানদের উদ্ধার করার জন্য তা পাঠানো হয়েছে। ২০০ জন মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য এমন রণতরির কী প্রয়োজন, তা আর ব্যাখ্যা করেননি লেয়ার্ড।
ঢাকা থেকে মার্কিন কনসাল জেনারেল এক জরুরি বার্তায় জানালেন, জেনারেল নিয়াজী ও রাও ফরমান আলী তাঁর সঙ্গে দেখা করে একটি বার্তা দিয়েছেন। তাতে তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানি সেনা ও নাগরিকদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস পেলে তারা অস্ত্র সংবরণ করতে প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের কোনো কথা তখনো তাঁরা উল্লেখ করেননি।
মার্কিন কনসাল জেনারেলের কাছ থেকে নিয়াজীর বার্তা পেয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসলামাবাদে দূত ফারল্যান্ডের মাধ্যমে ইয়াহিয়ার কাছে জানতে চান, এ ব্যাপারে তাঁর অনুমোদন আছে কি না। ইয়াহিয়া জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব ক্ষমতা নিয়াজীকে দেওয়া হয়েছে। তিনি সে বার্তা দিল্লিকে এবং নিউইয়র্কে ভুট্টোর কাছে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করেন।
এ দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়ে উত্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি ১১-২ ভোটে অনুমোদিত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পোল্যান্ড প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স নিরপেক্ষ থাকে। ভেটো দেওয়ার আগে সোভিয়েত প্রতিনিধি ইয়াকব মালিক ঘোষণা করেন যে মার্কিন উদ্যোগ ভুল ও অবাস্তব। এই প্রস্তাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সূত্র: মাহমুদুল হক, বাংলাদেশের অভ্যুদয় স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতা: পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা; হাসান ফেরদৌস, মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪