Ajker Patrika

হাওরে তীব্র সেচ সংকট বোরো নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক

মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১৫: ১৫
হাওরে তীব্র সেচ সংকট বোরো নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক

বছরে ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকা অষ্টগ্রাম উপজেলার এক ফসলি জমিতে চলছে তীব্র পানি সংকট। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরে পানির অভাবে অর্ধশত সেচ পাম্প বন্ধ। এতে সেচ সংকটে বোরো উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কা রয়েছে ২০ হাজার একর জমিতে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, দ্রুত সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে নদী ও খাল খনন করা হোক। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) অষ্টগ্রাম বলছে, সেচের পানি প্রবাহ ধরে রাখতে হাওরের নদী ও খাল খননের প্রস্তাব করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানের থোড় বা ধান বের হওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি দরকার হয়। এ সময় পানি কম থাকলে ধানের শিষ ছোট হয়, আবার শিষে চিটার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক।

উপজেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০ হাজার একর বোরো জমিতে গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে, একদম বন্ধ রয়েছে এমন তথ্য জানা নেই। কিন্তু জোয়ার-ভাটা হিসেব করে সেচ পাম্প মালিকেরা, সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বল্যে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের বাঙ্গালপাড়া, আদমপুর, কলমা, পূর্ব অষ্টগ্রাম, দেওঘর ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের ছোট-বড় বিভিন্ন হাওরে প্রায় ২৫ হাজার একর বোরো জমিতে ১৫ দিন ধরে পানি সেচ বন্ধ রয়েছে। শুকনো মৌসুমে হাওরের খাল বিলে পানি না থাকায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই সমস্যার বাড়ছে। দ্রুত কার্যকর ভূমিকা না নিলে এই এলাকার কৃষকেরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কলমা ইউনিয়নের জয়বাসী দাস বলেন, ‘কি করমু কন্ গাঙ্গে-বিলে পানি নাই। খেতে পানি কেমনে দিমু? আবার পানি না দিলে খেতে ছুঁচা (চিটা) হইব।’

পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের সেতু মিয়া বলেন, ‘এইভাবে নদী শুকাইলে মরুভূমি হবে হাওর। মানুষ খেত-খামার করতে পারবে না। আমরা বেকার হইয়্যা যামু। এই নদী খুদানি ফরজ।’

অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘এই সময়ে সেচ সংকট মানে কৃষকের সর্বনাশ। পানির কারণে ধানে চিটা হবে এবং ব্যাহত হবে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। দ্রুত নদী খনন করে সেচ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ও শাখা কর্মকর্তা মো. রওকন জাহান বলেন, ভাটি এলাকায় নদীর নাব্যতা কমে আসায় চৈত্র মাসে তীব্র সেচ সংকট দেখা দেয়। এই সমস্যা উত্তরণে নদী খনন, নদী সংলগ্ন খাল ও বিলগুলো খনন করা হলে এ সমস্যা থাকবে না। সেচের পানি প্রবাহ ধরে রাখতে নদী ও খাল খননের প্রস্তাব করেছি।

এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, অন্য বছর এই সময় কিছু বৃষ্টিপাত হয়। এবার তাও হয়নি। আবার নদীতে পানি না থাকায় রয়েছে সেচ সংকট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত