আরাফাত আহমেদ রিফাত
মুসলিম স্থাপত্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন শেরপুরের ‘ঘাগড়া লস্কর খানবাড়ি জামে মসজিদ’। মসজিদটি শেরপুর জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। প্রথমে ‘খানবাড়ি জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত থাকলেও কালের আবর্তে এর সঙ্গে গ্রামের নামও যুক্ত হয়েছে।
মোগল স্থাপত্যকলায় নির্মিত ঐতিহাসিক এই মসজিদ ২০০ বছরের পুরোনো। মসজিদটির দরজার ওপর মূল্যবান পাথরে খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল হিজরি ১২২৮ বা ইংরেজি ১৮০৮ সাল উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয়, বক্সার বিদ্রোহী হিরোঙ্গি খাঁর সময়কালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
তৎকালীন আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদের গঠন পদ্ধতি ও স্থাপত্যশৈলী শিল্পসমৃদ্ধ ও নান্দনিক। মসজিদটির নির্মাণে গ্রিক ও কোরিন থিয়ানরীতির প্রতিফলন দেখা যায়। মসজিদটির ভেতরে দুটি সুদৃঢ় খিলান রয়েছে। এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকার এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩০ ফুট। গম্বুজ ঘিরে চারপাশে রয়েছে ছোট-বড় ১২টি মিনার। মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে একমাত্র দরজা।
ভেতরের মিহরাব ও দেয়ালে বিভিন্ন রঙের ও কারুকার্য করা ফুল ও ফুলদানি আঁকা রয়েছে। দেয়ালের গাঁথুনি ৪ ফুট প্রস্থ।দেয়ালেরআস্তরণ বা পলেস্তারায় ঝিনুকচূর্ণ অথবা ঝিনুকের লালার সঙ্গে সুরকি, পাট বা তন্তুজাতীয় আঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে চারকোনা টালির মতো এক বিশেষ ধরনের ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যার ব্যবহার প্রাচীনকালে ছিল। মসজিদের দরজার ওপর পরিচয় শিলালিপি ও পুরাকীর্তি দেখে সেকালের দক্ষ স্থপতিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
তৎকালীন খানবাড়ির লোকজন মোট ৫৮ শতাংশ জমি মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করে দেন। মসজিদের মূল ভবন ও বারান্দা মিলে ১৭ শতাংশ এবং বাকি ৪১ শতাংশ জায়গায় রয়েছে কবরস্থান। বর্তমানে মসজিদের ভেতরে ইমামসহ ৩০-৩৫ জন একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। এ ছাড়া বাইরের অংশে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
১৯৯৯ সালে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় ‘বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর’। আজও অক্ষত অবস্থায় থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থীরা এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ দেখতে ভিড় করেন। আশঙ্কা হচ্ছে, মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা না হলে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে পারে।
মুসলিম স্থাপত্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন শেরপুরের ‘ঘাগড়া লস্কর খানবাড়ি জামে মসজিদ’। মসজিদটি শেরপুর জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। প্রথমে ‘খানবাড়ি জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত থাকলেও কালের আবর্তে এর সঙ্গে গ্রামের নামও যুক্ত হয়েছে।
মোগল স্থাপত্যকলায় নির্মিত ঐতিহাসিক এই মসজিদ ২০০ বছরের পুরোনো। মসজিদটির দরজার ওপর মূল্যবান পাথরে খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল হিজরি ১২২৮ বা ইংরেজি ১৮০৮ সাল উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয়, বক্সার বিদ্রোহী হিরোঙ্গি খাঁর সময়কালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
তৎকালীন আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদের গঠন পদ্ধতি ও স্থাপত্যশৈলী শিল্পসমৃদ্ধ ও নান্দনিক। মসজিদটির নির্মাণে গ্রিক ও কোরিন থিয়ানরীতির প্রতিফলন দেখা যায়। মসজিদটির ভেতরে দুটি সুদৃঢ় খিলান রয়েছে। এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকার এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩০ ফুট। গম্বুজ ঘিরে চারপাশে রয়েছে ছোট-বড় ১২টি মিনার। মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে একমাত্র দরজা।
ভেতরের মিহরাব ও দেয়ালে বিভিন্ন রঙের ও কারুকার্য করা ফুল ও ফুলদানি আঁকা রয়েছে। দেয়ালের গাঁথুনি ৪ ফুট প্রস্থ।দেয়ালেরআস্তরণ বা পলেস্তারায় ঝিনুকচূর্ণ অথবা ঝিনুকের লালার সঙ্গে সুরকি, পাট বা তন্তুজাতীয় আঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে চারকোনা টালির মতো এক বিশেষ ধরনের ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যার ব্যবহার প্রাচীনকালে ছিল। মসজিদের দরজার ওপর পরিচয় শিলালিপি ও পুরাকীর্তি দেখে সেকালের দক্ষ স্থপতিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
তৎকালীন খানবাড়ির লোকজন মোট ৫৮ শতাংশ জমি মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করে দেন। মসজিদের মূল ভবন ও বারান্দা মিলে ১৭ শতাংশ এবং বাকি ৪১ শতাংশ জায়গায় রয়েছে কবরস্থান। বর্তমানে মসজিদের ভেতরে ইমামসহ ৩০-৩৫ জন একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। এ ছাড়া বাইরের অংশে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
১৯৯৯ সালে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় ‘বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর’। আজও অক্ষত অবস্থায় থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থীরা এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ দেখতে ভিড় করেন। আশঙ্কা হচ্ছে, মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা না হলে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে পারে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪