ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের দুই বছর পার হলেও নাব্যতা ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। নদের মূল ভূখণ্ড-নির্ধারণ না হওয়া, অবৈধ দখলদার বৃদ্ধি এবং কারখানা, নাগরিক ও প্লাস্টিক বর্জ্যে নদের জীববৈচিত্র্যও হুমকিতে রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এ জন্য সঠিকভাবে উন্নয়নকাজ পরিচালনার আহবান জানান তাঁরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কাজের সময়সীমার মধ্যেই নদের নাব্যতা ফিরে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দুই হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২৭ কিলোমিটার নদ খননের কাজ ২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ২০২৪ সালের জুনে খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর হিসেবে খনন করা হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, চলমান ব্রহ্মপুত্র নদ খনন প্রকল্পের কাজ পূর্ণ মূল্যায়ন করতে হবে। সম্প্রতি নদ খনন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ময়মনসিংহ ঘুরে সঠিকভাবে খনন কাজ চলছে বলে জানায়। পুরোনো ব্রহ্মপুত্র খনন প্রকল্পটি মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু এখন মানুষের মনে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কারণ, খনন প্রকল্প ইতিবাচক ফলের বদলে নেতিবাচক ফল নিয়ে হাজির হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম সেতু থেকে সার্কিট হাউস এলাকা এবং সেতু থেকে কেওয়াটখালী রেলসেতু পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের দখল সবচেয়ে বেশি। সদর এলাকায় নদ খননের কাজ করলেও জেগে উঠেছে চর। এ ছাড়া শহরের নালা থেকে আবর্জনা মিশছে নদে। কৃষিজমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকও নদে গিয়ে পড়ছে।
পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চিফ মেন্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, নদটি খনন করে পানি প্রবাহের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দখল-দূষণ বন্ধ না হলে মানুষ সুফল পাবে না। ফলে কোনো কাজের কাজই হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, কলকারখানার বর্জ্য গিয়ে নদীতে পড়ে দূষণ হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া রোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের পরামর্শক শরাফত হোসাইন খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ খননের শুরু থেকেই অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসনও উচ্ছেদ অভিযান করছে। তারপরও অনেক অবৈধ দখলদার রয়ে গেছে। তাদের উচ্ছেদে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।
‘পুরোনো ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, বর্তমানে কিশোরগঞ্জের টোক হতে ময়মনসিংহ সদর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারে আটটি লটে ১৮টি কাটার ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চলছে। প্রকল্পের ক্যাপিটাল ড্রেজিং দুবছরে সম্পন্ন করে পরবর্তী তিন বছর গভীরতা সংরক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। করোনার কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিল। ৯০ কিলোমিটার খননের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের প্রায় ৬৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ সদর হতে জামালপুর পর্যন্ত আরও ৭৩ কিলোমিটারের খননকাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এর অধিকাংশই শেরপুর ও জামালপুর জেলায়। পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার সংযোগস্থলে কীভাবে খনন করা হবে, সেখানে কী পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে তার ডিজাইন করার জন্য নেদারল্যান্ডসের ডেলটা রেইস এবং আইডব্লিউএম ও সিজিআইএস সমন্বয়ে স্টাডি করা হচ্ছে। ওই স্টাডি সম্পন্ন হলে জামালপুর সদর হতে যমুনার সংযোগস্থল পর্যন্ত খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক জানান, পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের অধীনে ২১৬ লাখ ঘনমিটার মাটি খননে ব্যয় হয়েছে ২৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ জন্য দুই হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নদী দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব নদনদী দখলমুক্ত করা হবে।
ময়মনসিংহের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের দুই বছর পার হলেও নাব্যতা ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। নদের মূল ভূখণ্ড-নির্ধারণ না হওয়া, অবৈধ দখলদার বৃদ্ধি এবং কারখানা, নাগরিক ও প্লাস্টিক বর্জ্যে নদের জীববৈচিত্র্যও হুমকিতে রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এ জন্য সঠিকভাবে উন্নয়নকাজ পরিচালনার আহবান জানান তাঁরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কাজের সময়সীমার মধ্যেই নদের নাব্যতা ফিরে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দুই হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২৭ কিলোমিটার নদ খননের কাজ ২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ২০২৪ সালের জুনে খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর হিসেবে খনন করা হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, চলমান ব্রহ্মপুত্র নদ খনন প্রকল্পের কাজ পূর্ণ মূল্যায়ন করতে হবে। সম্প্রতি নদ খনন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ময়মনসিংহ ঘুরে সঠিকভাবে খনন কাজ চলছে বলে জানায়। পুরোনো ব্রহ্মপুত্র খনন প্রকল্পটি মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু এখন মানুষের মনে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কারণ, খনন প্রকল্প ইতিবাচক ফলের বদলে নেতিবাচক ফল নিয়ে হাজির হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম সেতু থেকে সার্কিট হাউস এলাকা এবং সেতু থেকে কেওয়াটখালী রেলসেতু পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের দখল সবচেয়ে বেশি। সদর এলাকায় নদ খননের কাজ করলেও জেগে উঠেছে চর। এ ছাড়া শহরের নালা থেকে আবর্জনা মিশছে নদে। কৃষিজমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকও নদে গিয়ে পড়ছে।
পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চিফ মেন্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, নদটি খনন করে পানি প্রবাহের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দখল-দূষণ বন্ধ না হলে মানুষ সুফল পাবে না। ফলে কোনো কাজের কাজই হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, কলকারখানার বর্জ্য গিয়ে নদীতে পড়ে দূষণ হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া রোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের পরামর্শক শরাফত হোসাইন খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ খননের শুরু থেকেই অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসনও উচ্ছেদ অভিযান করছে। তারপরও অনেক অবৈধ দখলদার রয়ে গেছে। তাদের উচ্ছেদে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।
‘পুরোনো ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, বর্তমানে কিশোরগঞ্জের টোক হতে ময়মনসিংহ সদর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারে আটটি লটে ১৮টি কাটার ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চলছে। প্রকল্পের ক্যাপিটাল ড্রেজিং দুবছরে সম্পন্ন করে পরবর্তী তিন বছর গভীরতা সংরক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। করোনার কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিল। ৯০ কিলোমিটার খননের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের প্রায় ৬৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ সদর হতে জামালপুর পর্যন্ত আরও ৭৩ কিলোমিটারের খননকাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এর অধিকাংশই শেরপুর ও জামালপুর জেলায়। পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার সংযোগস্থলে কীভাবে খনন করা হবে, সেখানে কী পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে তার ডিজাইন করার জন্য নেদারল্যান্ডসের ডেলটা রেইস এবং আইডব্লিউএম ও সিজিআইএস সমন্বয়ে স্টাডি করা হচ্ছে। ওই স্টাডি সম্পন্ন হলে জামালপুর সদর হতে যমুনার সংযোগস্থল পর্যন্ত খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক জানান, পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের অধীনে ২১৬ লাখ ঘনমিটার মাটি খননে ব্যয় হয়েছে ২৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ জন্য দুই হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নদী দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব নদনদী দখলমুক্ত করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪