কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর
কেশবপুরে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলাটি থেকে এক বছরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এবং প্রতিবেশী ভারতে ৭৫৭ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।
আগের চেয়ে উৎপাদন বাড়ায় অনেকেই এখন মাছ চাষে ঝুঁকেছেন। স্বাবলম্বী হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্যচাষি। এ ছাড়া উপজেলার তিনটি মৎস্য আড়তে অন্তত ৭০০ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মাছচাষি, ব্যবসায়ী ও উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে চলতি বছরে ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে ঘের ও পুকুর থেকে উৎপাদিত মাছ সপ্তাহে ৫ দিন দুই মণ করে মাছ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্যচাষি রয়েছেন। ঘরে রয়েছে ৪ হাজার ৬৫৮টি। এসবের আয়তন প্রায় ৭ হাজার ৪৪৯ হেক্টর। এ ছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। যার আয়তন প্রায় ৬৯৮ হেক্টর। মাছের খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের।
গত বছর এসব জলাশয় থেকে রুই, মৃগেল, কাতল, পাবদা, বাটা, সিলভার কার্প, গ্লাস কার্প, পাঙাশ, তেলাপিয়া, টাকি, কই, শিং, বাইন, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া গলদা চিংড়ি ২ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন ও বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ২৪৫ মেট্রিক টন। পাশাপাশি শুঁটকি দেড় মেট্রিক টন ও কুঁচিয়া (কুঁচে) শূন্য দশমিক এক মেট্রিক উৎপাদিত হয়। এ উপজেলায় সাদা মাছের চাহিদা ছিল প্রায় ৬ হাজার ১০ মেট্রিক টন।
অপরদিকে ২৭ জন মাছচাষি ৫৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ২ দশমিক ২২ কোটি পোনা উৎপাদন করেছেন।
চলতি বছরে সাদা মাছ প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গলদা চিংড়ি ২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন, বাগদা চিংড়ি ২৮০ মেট্রিক টন ও শুঁটকি ৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেশবপুর শহরের মৎস্য আড়ত, কাটাখালী ও পাঁজিয়া আড়তে নেওয়া হয় উৎপাদিত এসব মাছ। এ ছাড়া এর বাইরে যশোরের বারোবাজার, মনিরামপুর, কপালিয়া, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আঠারো মাইলসহ বিভিন্ন আড়তে মাছ পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে এসব মাছ ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। রপ্তানি করা হয় ভারতেও। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি এখানে মাছ কিনতে আসেন। অপরদিকে স্থানীয়রা আড়ত থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
কেশবপুর খুচরা মাছ বাজারের সভাপতি আতিয়ার রহমান জানান, আড়তের শ্রমিকদের মাধ্যমে মাছ বাজারজাতকরণের উপযোগী করে চাহিদা অনুযায়ী ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন প্রায় ২০০ মণ করে মাছ ভারতে পাঠানো হয়ে থাকে।
কেশবপুর পাইকারি মৎস্য আড়তের সভাপতি হান্নান বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন এখানকার পাইকারি আড়তের ২২ ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন ঘের ও পুকুরের প্রায় ২ হাজার মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসে। প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকার মাছ প্রতিদিন বিক্রি হয়।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের ও ৬ হাজার ৬৪০টি পুকুর রয়েছে। মাছ রপ্তানি করে গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে।’
আলমগীর কবীর আরও বলেন, ‘এ উপজেলায় মৎস্যচাষি রয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। মাছের খামারে খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তির। এ ছাড়া উপজেলার তিনটি মৎস্য আড়তে অন্তত ৭০০ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।’
কেশবপুর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘চলতি বছরে এ উপজেলায় মাছ চাষের জন্য ঘের ও পুকুরের সংখ্যা বাড়েনি। তবে মাছ উৎপাদন বাড়ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষিদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের প্রতিনিয়ত নানা পরামর্শ দেওয়া ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করায় মাছের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।’
কেশবপুরে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলাটি থেকে এক বছরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এবং প্রতিবেশী ভারতে ৭৫৭ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।
আগের চেয়ে উৎপাদন বাড়ায় অনেকেই এখন মাছ চাষে ঝুঁকেছেন। স্বাবলম্বী হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্যচাষি। এ ছাড়া উপজেলার তিনটি মৎস্য আড়তে অন্তত ৭০০ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মাছচাষি, ব্যবসায়ী ও উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে চলতি বছরে ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে ঘের ও পুকুর থেকে উৎপাদিত মাছ সপ্তাহে ৫ দিন দুই মণ করে মাছ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্যচাষি রয়েছেন। ঘরে রয়েছে ৪ হাজার ৬৫৮টি। এসবের আয়তন প্রায় ৭ হাজার ৪৪৯ হেক্টর। এ ছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। যার আয়তন প্রায় ৬৯৮ হেক্টর। মাছের খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের।
গত বছর এসব জলাশয় থেকে রুই, মৃগেল, কাতল, পাবদা, বাটা, সিলভার কার্প, গ্লাস কার্প, পাঙাশ, তেলাপিয়া, টাকি, কই, শিং, বাইন, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া গলদা চিংড়ি ২ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন ও বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ২৪৫ মেট্রিক টন। পাশাপাশি শুঁটকি দেড় মেট্রিক টন ও কুঁচিয়া (কুঁচে) শূন্য দশমিক এক মেট্রিক উৎপাদিত হয়। এ উপজেলায় সাদা মাছের চাহিদা ছিল প্রায় ৬ হাজার ১০ মেট্রিক টন।
অপরদিকে ২৭ জন মাছচাষি ৫৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ২ দশমিক ২২ কোটি পোনা উৎপাদন করেছেন।
চলতি বছরে সাদা মাছ প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গলদা চিংড়ি ২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন, বাগদা চিংড়ি ২৮০ মেট্রিক টন ও শুঁটকি ৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেশবপুর শহরের মৎস্য আড়ত, কাটাখালী ও পাঁজিয়া আড়তে নেওয়া হয় উৎপাদিত এসব মাছ। এ ছাড়া এর বাইরে যশোরের বারোবাজার, মনিরামপুর, কপালিয়া, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আঠারো মাইলসহ বিভিন্ন আড়তে মাছ পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে এসব মাছ ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। রপ্তানি করা হয় ভারতেও। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি এখানে মাছ কিনতে আসেন। অপরদিকে স্থানীয়রা আড়ত থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
কেশবপুর খুচরা মাছ বাজারের সভাপতি আতিয়ার রহমান জানান, আড়তের শ্রমিকদের মাধ্যমে মাছ বাজারজাতকরণের উপযোগী করে চাহিদা অনুযায়ী ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন প্রায় ২০০ মণ করে মাছ ভারতে পাঠানো হয়ে থাকে।
কেশবপুর পাইকারি মৎস্য আড়তের সভাপতি হান্নান বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন এখানকার পাইকারি আড়তের ২২ ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন ঘের ও পুকুরের প্রায় ২ হাজার মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসে। প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকার মাছ প্রতিদিন বিক্রি হয়।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের ও ৬ হাজার ৬৪০টি পুকুর রয়েছে। মাছ রপ্তানি করে গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে।’
আলমগীর কবীর আরও বলেন, ‘এ উপজেলায় মৎস্যচাষি রয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। মাছের খামারে খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তির। এ ছাড়া উপজেলার তিনটি মৎস্য আড়তে অন্তত ৭০০ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।’
কেশবপুর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘চলতি বছরে এ উপজেলায় মাছ চাষের জন্য ঘের ও পুকুরের সংখ্যা বাড়েনি। তবে মাছ উৎপাদন বাড়ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষিদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের প্রতিনিয়ত নানা পরামর্শ দেওয়া ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করায় মাছের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪