রাতুল মণ্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে গত বছরের চেয়ে এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম এবার তুলনামূলকভাবে কম। এতে হতাশ চাষিরা। এদিকে লিচুবাগান থেকে এবার বাড়তি হিসেবে ৩২ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, লিচুর মৌসুমে গাজীপুর সদর উপজেলা ও শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়ে যায় কর্মতৎপরতা। রাত জেগে চলে বাদুড় তাড়ানো। পাইকারদের পদচারণায় মুখর থাকে শ্রীপুরের লিচুবাগানগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী ইউনিয়নের ময়তাপাড়া, ফকিরবাড়ি, মধ্যপাড়া, বক্তারপাড়া, শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া, টাংরা, সাইটালিয়া, তেলিহাটি আবদার, ডোমবাড়িচালা, বরমা, পেলাইদ, বারতোপা গ্রামে চলছে লিচু সংগ্রহের কাজ। সেই লিচু বাছাই ও প্যাকেটজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কেওয়া গ্রামের লিচুবাগান মালিক সুরুজ মিয়া জানান, তাঁর বাগানে ৩০টির মতো লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর বাগানে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও বাজারে এ বছর লিচুর দাম কম হওয়ায়, আশানুরূপ লাভ করতে পারবেন না বলে শঙ্কা কাজ করছে তাঁর।
সদর উপজেলার ময়তাপাড়া এলাকার লিচুবাগান মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘লিচুর ফলন বেশ ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং যথাসময়ে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম বেশি না। পাইকারদের আনাগোনা এ বছর একটু কম।’
টাংরা গ্রামের লিচুবাগানের মালিক করিম শেখ বলেন, ‘গত বছর ৯৫ হাজার টাকায় লিচুবাগান বিক্রি করেছিলাম। এ বছর লিচুর ফলন ভালো। লিচু পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছি না। তবে গতবারের মতো পাইকারদের দেখা মিলছে না।’
লিচু ব্যাপারী আতিকুল ইসলাম জানান, তাঁর নিজের কোনো বাগান নেই, তবে গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে লিচুগাছ। মৌসুমের শুরুতে কয়েকটি বাগান কিনে, সেগুলো রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে লিচু সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করেছেন। দাম অন্য বছরের চেয়ে একটু কম। গত কয়েক বছর গাজীপুরের সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় লিচুচাষিরা আশানুরূপ লাভ করতে না পারলেও এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ তাঁরা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মুহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর শ্রীপুর উপজেলায় লিচুর আবাদ হয়েছে ৭২৮ হেক্টর। লিচুগাছ রয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৩০৫টি। এ বছর আবহাওয়া লিচু উৎপাদনের জন্য উপযোগী ছিল। পাশাপাশি গ্রীষ্মের শুরুতে বড় আকারে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক লাভবান হলে ভবিষ্যতে উপজেলায় লিচু চাষে আগ্রহী হবেন কৃষক। আর বাড়তি হিসেবে এ বছর লিচুবাগান থেকে মধু সংগ্রহের জন্য বক্স বসানো হয় ৪ হাজার ২১০টি। আর মধু সংগ্রহ করা হয় ৩২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন।
কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, চায়না-৩ ও বোম্বাই লিচুর চাষ বেড়েছে। এতে লিচুচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে সফল হচ্ছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ৬৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর বিভিন্ন জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচুর ফলন গত বছরের চেয়ে ভালো। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লিচুর চাষ হয়েছে পিরুজালী ইউনিয়নে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে প্রতিবছর লিচুর আবাদ বাড়ছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে গত বছরের চেয়ে এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম এবার তুলনামূলকভাবে কম। এতে হতাশ চাষিরা। এদিকে লিচুবাগান থেকে এবার বাড়তি হিসেবে ৩২ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, লিচুর মৌসুমে গাজীপুর সদর উপজেলা ও শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়ে যায় কর্মতৎপরতা। রাত জেগে চলে বাদুড় তাড়ানো। পাইকারদের পদচারণায় মুখর থাকে শ্রীপুরের লিচুবাগানগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী ইউনিয়নের ময়তাপাড়া, ফকিরবাড়ি, মধ্যপাড়া, বক্তারপাড়া, শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া, টাংরা, সাইটালিয়া, তেলিহাটি আবদার, ডোমবাড়িচালা, বরমা, পেলাইদ, বারতোপা গ্রামে চলছে লিচু সংগ্রহের কাজ। সেই লিচু বাছাই ও প্যাকেটজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কেওয়া গ্রামের লিচুবাগান মালিক সুরুজ মিয়া জানান, তাঁর বাগানে ৩০টির মতো লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর বাগানে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও বাজারে এ বছর লিচুর দাম কম হওয়ায়, আশানুরূপ লাভ করতে পারবেন না বলে শঙ্কা কাজ করছে তাঁর।
সদর উপজেলার ময়তাপাড়া এলাকার লিচুবাগান মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘লিচুর ফলন বেশ ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং যথাসময়ে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম বেশি না। পাইকারদের আনাগোনা এ বছর একটু কম।’
টাংরা গ্রামের লিচুবাগানের মালিক করিম শেখ বলেন, ‘গত বছর ৯৫ হাজার টাকায় লিচুবাগান বিক্রি করেছিলাম। এ বছর লিচুর ফলন ভালো। লিচু পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছি না। তবে গতবারের মতো পাইকারদের দেখা মিলছে না।’
লিচু ব্যাপারী আতিকুল ইসলাম জানান, তাঁর নিজের কোনো বাগান নেই, তবে গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে লিচুগাছ। মৌসুমের শুরুতে কয়েকটি বাগান কিনে, সেগুলো রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে লিচু সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করেছেন। দাম অন্য বছরের চেয়ে একটু কম। গত কয়েক বছর গাজীপুরের সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় লিচুচাষিরা আশানুরূপ লাভ করতে না পারলেও এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ তাঁরা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মুহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর শ্রীপুর উপজেলায় লিচুর আবাদ হয়েছে ৭২৮ হেক্টর। লিচুগাছ রয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৩০৫টি। এ বছর আবহাওয়া লিচু উৎপাদনের জন্য উপযোগী ছিল। পাশাপাশি গ্রীষ্মের শুরুতে বড় আকারে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক লাভবান হলে ভবিষ্যতে উপজেলায় লিচু চাষে আগ্রহী হবেন কৃষক। আর বাড়তি হিসেবে এ বছর লিচুবাগান থেকে মধু সংগ্রহের জন্য বক্স বসানো হয় ৪ হাজার ২১০টি। আর মধু সংগ্রহ করা হয় ৩২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন।
কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, চায়না-৩ ও বোম্বাই লিচুর চাষ বেড়েছে। এতে লিচুচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে সফল হচ্ছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ৬৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর বিভিন্ন জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচুর ফলন গত বছরের চেয়ে ভালো। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লিচুর চাষ হয়েছে পিরুজালী ইউনিয়নে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে প্রতিবছর লিচুর আবাদ বাড়ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪